ETV Bharat / city

গাড়ির দরজায় লুকোনো 3 কোটির ইয়াবা, উদ্ধার করল STF

আগে থেকেই খবর ছিল ৷ সেই মতো নজরদারি চালাচ্ছিল গোযেন্দারা ৷ বাইপাসে অজয় নগর ক্রসিংয়ের সামনে অসমের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়ি থামিয়ে চালানো হয তল্লাশি ৷ সেখান থেকেই উদ্ধার হয় 13 কেজি 534 গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট ।

author img

By

Published : Feb 12, 2020, 2:50 AM IST

Updated : Feb 12, 2020, 3:01 AM IST

drugs recovered
drugs recovered

কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি : গাড়ির দরজার ফাঁপা অংশে থরে থরে সাজানো ইয়াবা ট্যাবলেট । সামনে থেকে দেখলে বোঝার কোনও উপায় নেই । কিন্তু কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সকে ফাঁকি দেওয়া গেল না । উদ্ধার হল তিন কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ইয়াবা ট্যাবলেট । ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।

মূলত মণিপুরকেন্দ্রিক চক্র । তার সঙ্গে বিহার যোগ । গোয়েন্দাদের সন্দেহ, মাদক পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশে । সেখানে জড়িত রাজ্যের মাদক কারবারিরাও । কলকাতায় মাদক ঢুকবে বলে খবর ছিল স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দাদের কাছে । অসমের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে আনা হবে ইয়াবা । সেইমতো চলছিল নজরদারি । সার্ভে পার্ক থানা এলাকার অজয় নগর ক্রসিংয়ের সামনে একটি গাড়ি থামানো হয়। যার নম্বর AS 03H-1104। গাড়িটি চালাচ্ছিল মহম্মদ নাজির হোসেন নামে 32 বছরের যুবক । লাইসেন্স বলে দেয়, সে মণিপুরের বাসিন্দা । এই গাড়িটিতেই মাদক রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় গোয়েন্দারা। তবে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে কিছুই পাওয়া যায়নি । এবার গাড়ির সিটের তলায় শুরু হয় তল্লাশি । না, সেখানেও কিছু নেই । গাড়িতে থাকা অন্য দুজন অর্থাৎ মণিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আমির খান(30) এবং বিহারের বাসিন্দা যোগেশ্বর মাহাত ওরফে অরুণ কুমার(35) তখন চিৎকার শুরু করে । এরপর গোয়েন্দারা সম্ভাব্য সব জায়গায় শুরু করে তল্লাশি । হঠাৎই দরজার ফাঁপা অংশের কথা মাথায় আসে তাদের । সেখানে নেই তো? তারপরই খোলা হয় দরজার সেই অংশ । আর তাতেই বেরিয়ে পড়ে 13 কেজি 534 গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর 3 কোটি টাকারও বেশি । এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে ।

drugs recovered
গ্রেপ্তার তিন পাচারকারী

মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত । সেখান থেকে নানা পথে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা শহরে‌ । আবার কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ । এভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাদকচক্র । কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে খবর এই চক্র তেমনই । ইয়াবা পাওয়া যায় থাইল্যান্ডে । বাংলাদেশের বহু যুবকের জীবন এই নেশার কবলে পড়ে শেষ হয়ে গেছে। কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার করা হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে ।

drugs recovered
গাড়ির দরজার ফাঁপা অংশ থেকে উদ্ধার ইয়াবা

এই ট‍্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণে । এটি কখনো ব্রাউন সুগার কিংবা হিরোইনের সঙ্গে ইনহেইল করা হয় । কখনো ট্যাবলেট এর মতই জলের সঙ্গে গিলে ফেলা হয় । গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা কলকাতার ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ মাদক তুলে দিতে এসেছিল ৷ কিভাবে এই মাদক বাংলাদেশে পাচার করা হত তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে 25 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।

কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি : গাড়ির দরজার ফাঁপা অংশে থরে থরে সাজানো ইয়াবা ট্যাবলেট । সামনে থেকে দেখলে বোঝার কোনও উপায় নেই । কিন্তু কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সকে ফাঁকি দেওয়া গেল না । উদ্ধার হল তিন কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ইয়াবা ট্যাবলেট । ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।

মূলত মণিপুরকেন্দ্রিক চক্র । তার সঙ্গে বিহার যোগ । গোয়েন্দাদের সন্দেহ, মাদক পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশে । সেখানে জড়িত রাজ্যের মাদক কারবারিরাও । কলকাতায় মাদক ঢুকবে বলে খবর ছিল স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দাদের কাছে । অসমের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে আনা হবে ইয়াবা । সেইমতো চলছিল নজরদারি । সার্ভে পার্ক থানা এলাকার অজয় নগর ক্রসিংয়ের সামনে একটি গাড়ি থামানো হয়। যার নম্বর AS 03H-1104। গাড়িটি চালাচ্ছিল মহম্মদ নাজির হোসেন নামে 32 বছরের যুবক । লাইসেন্স বলে দেয়, সে মণিপুরের বাসিন্দা । এই গাড়িটিতেই মাদক রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় গোয়েন্দারা। তবে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে কিছুই পাওয়া যায়নি । এবার গাড়ির সিটের তলায় শুরু হয় তল্লাশি । না, সেখানেও কিছু নেই । গাড়িতে থাকা অন্য দুজন অর্থাৎ মণিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আমির খান(30) এবং বিহারের বাসিন্দা যোগেশ্বর মাহাত ওরফে অরুণ কুমার(35) তখন চিৎকার শুরু করে । এরপর গোয়েন্দারা সম্ভাব্য সব জায়গায় শুরু করে তল্লাশি । হঠাৎই দরজার ফাঁপা অংশের কথা মাথায় আসে তাদের । সেখানে নেই তো? তারপরই খোলা হয় দরজার সেই অংশ । আর তাতেই বেরিয়ে পড়ে 13 কেজি 534 গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর 3 কোটি টাকারও বেশি । এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজনকে ।

drugs recovered
গ্রেপ্তার তিন পাচারকারী

মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত । সেখান থেকে নানা পথে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা শহরে‌ । আবার কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ । এভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাদকচক্র । কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স সূত্রে খবর এই চক্র তেমনই । ইয়াবা পাওয়া যায় থাইল্যান্ডে । বাংলাদেশের বহু যুবকের জীবন এই নেশার কবলে পড়ে শেষ হয়ে গেছে। কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার করা হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে ।

drugs recovered
গাড়ির দরজার ফাঁপা অংশ থেকে উদ্ধার ইয়াবা

এই ট‍্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণে । এটি কখনো ব্রাউন সুগার কিংবা হিরোইনের সঙ্গে ইনহেইল করা হয় । কখনো ট্যাবলেট এর মতই জলের সঙ্গে গিলে ফেলা হয় । গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা কলকাতার ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ মাদক তুলে দিতে এসেছিল ৷ কিভাবে এই মাদক বাংলাদেশে পাচার করা হত তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে 25 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।

Last Updated : Feb 12, 2020, 3:01 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.