হাওড়া, 14 নভেম্বর : "যত বড় মাতব্বর হোক না কেন হাওড়াতে ঢুকতে দেব না।" রবিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁকে এভাবেই আক্রমণ করলেন হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : Anubrata Mandal : কেউ দুর্নীতি করলে শুইয়ে দেব, আবারও বেলাগাম অনুব্রত
এদিন, দলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে প্রসূন বলেন, "ভোটের সময় যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাঁদের হাওড়াতে ঢুকতে দেব না। সে যত বড় মাতব্বর হোক না কেন, হাওড়াতে জায়গা হবে না। " তিনি আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে হেরে যাবে ভেবে নিজের দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের হাওড়াতে কোনও স্থান নেই। দল যদি বলে ছেড়ে চলে যান, চলে যাব ৷ দিদির পায়ের তলায় গিয়ে থাকব ৷ কিন্তু যাঁরা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁদের হাওড়ায় ঢুকতে দেব না ৷" উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু বিজেপির টিকিটে তিনি আর ভোটে জিততে পারেননি ৷ এরপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন রাজীব ৷ সম্প্রতি ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে তাঁর প্রত্যাবর্তন হয়েছে ৷
এদিনের মঞ্চ থেকে একবারের জন্যও রাজীবের নাম নেননি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে নাম না নিলেও যে শব্দ প্রয়োগ এদিন তিনি করেন, তাতে তাঁর আক্রমণের নিশানায় রাজীবই ছিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷ তাঁর কটাক্ষ, "কষ্টের দিনে প্লেনে চড়ে উড়ে গেলে। ভেবেছিল দিদি হেরে যাবে ৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ হারাতে পারবে না। বাড়ি গিয়ে প্লেনে চড়ে ভাল খাওয়া-দাওয়া পেলেন। আবার ভোটে হেরে দিদির ছবি বগলদাবা করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের মন তাই তিনি আবার দলে ফিরিয়ে নিয়েছেন এই দলবদলুদের। কিন্তু হাওড়াতে এদের কোনও জায়গা হবে না ৷"