হাওড়া, 18 মে : লরিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে গিয়ে বিতর্কে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। আজ দুপুরে তাঁর উদ্যোগে 90 জন পরিযায়ী শ্রমিক সপরিবারে লরিতে চেপে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন । BJP-র তরফে অভিযোগ করা হয়, মন্ত্রী বেআইনিভাবে তাঁদের ঘরে পাঠিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশে লরি দুর্ঘটনায় 24 জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রাজ্যের ছজন রয়েছেন । এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথ দুর্ঘটনায় আরও অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আজ মন্ত্রীর উদ্যোগে কয়েকজনকে লরিতে চাপিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। কোনও বাসের বন্দোবস্ত করা হয়নি । যদিও রাজ্য সরকারের তরফে 105টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বুক করা হয়েছে । এই সব ট্রেনে বিনামূল্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আজ মন্ত্রী নিজেই লরির ব্যবস্থা করে দেন । হাওড়া স্টেশন লাগোয়া দিঘা বাস স্ট্যান্ড থেকে দুটি লরিতে চেপে প্রায় 90 জন পরিযায়ী শ্রমিক বিহারের ছাপড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের অনেকেই উত্তর হাওড়ার একাধিক কারখানায় কাজ করেন।
লকডাউন চালু হওয়ার পর সমস্যায় পড়েছিলেন এই শ্রমিকরা । হাতে থাকা অর্থও ফুরিয়ে যায়। একপ্রকার মরিয়া হয়ে ঘরে ফিরতে চান তাঁরা। তাই মন্ত্রী লরির বন্দোবস্ত করেন । ওই শ্রমিকরা বলেন, অবশেষে ঘরে ফিরতে পেরে খুশি । BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য উমেশ রাই মন্ত্রীর এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রী নিজেই আইন ভেঙেছেন। এটা অমানবিক। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে যেভাবে এতগুলো পরিযায়ী শ্রমিককে লরিতে চাপিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে তা এক কথায় অমানবিক। লরির বদলে বাসে বা ট্রেনে করে কেন পাঠানো হল না তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ।
এদিকে লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সাধ্যমত ব্যবস্থা করেছেন। বাসে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। তা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় । তাই তাঁদের সুবিধার জন্যই লরিতে করে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন । তিনি চান যেভাবেই হোক এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরুক। তাই এই চেষ্টা ।