হাওড়া, 20 জুন : যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল কেউটে । চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ ৷ ধরা পড়ল এম এ পাশ চোর ৷ তার সঙ্গেই হাতে এল 'মাস্টারমাইন্ড'-এর দুই সাগরেদ এবং চুরি যাওয়া গয়নাও ৷
ঘটনা হাওড়ার নাজিরগঞ্জের ৷ একটি চুরির কিনারা করতে গিয়ে সাঁকরাইল থানার হাতে এল শিক্ষিকা মায়ের ক্লেপটোম্যানিয়্য়াক (Kleptomania) ছেলে এবং তাঁর দুই সহকারী ৷ তার সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে দশ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সোনার গয়না । মূল পান্ডা সৌমাল্য চৌধুরী আসানসোলের বাসিন্দা ৷ তার বাকি দুই সাগরেদের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে ৷
সৌমাল্য চৌধুরী ইংরেজিতে এমএ পাস । চুরি করাই তার নেশা । সেটাই পেশা হিসাবেও বেছে নেয় ৷ আসানসোল, হাওড়া, হুগলি জেলায় কমপক্ষে কুড়িটি চুরির ঘটনায় সে যুক্ত । তার বাবা সরকারি অফিসার ছিলেন । মা ছিলেন শিক্ষিকা । ছেলের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে লজ্জায় আত্মঘাতী হন মা । এতেও শোধরায়নি গুণধর ছেলে ৷ এর আগেও একবার আসানসোল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কয়েক মাসের জন্য জেল খেটে ছাড়া পায় সে ।
পুলিশ জানায়, গত 9 জুন হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটে ৷ প্রায় দশ ভরি সোনার গয়না চুরি যায় ৷ চোর চুরি করে স্কুটি করে পালাবার সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক স্কুটির নম্বর লিখে নেন । এই নম্বরের সূত্র ধরেই পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী ও তার এক সাগরেদ প্রকাশ শাঁসমলকে । এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় অন্য সাগরেদ মাধব সামন্তকে ৷
হাওড়া সিটি পুলিশের (Howrah City Police) ডিসি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাঁকরিয়া জানান, মাধবকে চুরির সামগ্রী বিক্রি করেছিল সৌমাল্য এবং প্রকাশ । হাওড়াতে বিভিন্ন এলাকায় ন'টি চুরি করেছে অভিযুক্তরা । তিনজনকেই রবিবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ অনুমান, বাকি চুরির ঘটনার কিনারা করা যাবে ।
আরও পড়ুন : মাকে মারধর করে বিষ খাওয়ায় বাবা, গৃহবধূর মৃত্যুতে অভিযোগ মেয়ের