হাওড়া , 12 মে : আংশিক লকডাউনে লোকাল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ বিপুল ক্ষতির মুখে হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতি। প্রতিদিনের আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা । লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কমেছে নিত্য যাত্রীর সংখ্যা। কার্যত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দোরগোড়ায় হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতির ফেরি পরিষেবা।
স্বাভাবিক সময়ে যেখানে প্রতি 15 মিনিট অন্তর পাওয়া যেত পরিষেবা। এখন এই আংশিক লকডাউন হতেই কোনও রুটে ৪০ মিনিট আবার কোনও রুটে 1 ঘন্টা অন্তর দেওয়া হচ্ছে পরিষেবা।সংস্থার কর্মীরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় শঙ্কিত।
সংস্থার হিসাব রক্ষক শিশির দাস জানান, "অবিলম্বে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য না করলে আরও সমস্যা বাড়বে। ইতিমধ্যে প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার দৈনিক লোকসান হচ্ছে। যা সরাসরি যাত্রী টিকিট থেকে আসত। এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণ সহ অন্যান্য খরচের হিসাব আলাদা রয়েছে। সেখানেও ক্ষতির মুখ দেখছে এই পরিবহন সমিতি।
তিনি আরও দাবি করেন এখনও পর্যন্ত শুধু কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়েছে। পিএফ এর টাকা জমা করা যায়নি। পরিবহনের যে নিজস্ব তহবিল ছিল যা থেকে ভেঙে গত বছরে লকডাউনের সময় কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়েছিল সেই টাকাও এখনও ফেরানো যায়নি এখনও। এভাবে চলতে থাকলে আগামীদিনে কীভাবে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : দেশে প্রথম 2-18 বছরের মধ্যে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি পেল ভারত বায়োটেক
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "যেহেতু বড় লঞ্চ চালানোর খরচ বেশি তাই লোকসান বাঁচাতে ছোট লঞ্চ দিয়েই পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে এর আগে ২ কোটি টাকা সমিতিকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে রাজ্য সরকার পাশে না দাঁড়ালে সমিতি চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ৷
হাওড়া স্টেশনের প্রত্যহ যাতায়াতকারী প্রায় ১০ লাখ যাত্রীর ৯৫% ও বাস যাত্রীদের ৫% দৈনিক এই ফেরি সার্ভিসের সুযোগ নিতেন কিন্তু এখন কার্যত ফাঁকা টিকিট কাউন্টার। প্রসঙ্গত করোনার জন্য লকডাউন চলাকালীন হাওড়া স্টেশনে লোকাল ট্রেন বন্ধ ছিল বিগত বেশ কয়েক মাস তখনও মুষ্টিমেয় যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে সমিতিকে। হাওড়া-বাবুঘাট, হাওড়া-বাগবাজার, হাওড়া-ফেয়ারলি, রামকৃষ্ণপুর-বাবুঘাট, মেটিয়াবুরুজ-নাজিরগঞ্জ, বজবজ-বাউরিয়া, নূরপুর, গেওখালী-গাড়িয়ারার মত একাধিক রুটে ফেরি সার্ভিস কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।