বাঁকুড়া, 1 নভেম্বর : দুর্গাপুর ব্য়ারেজের লক গেট ভাঙার পর দেড়দিন পেরিয়ে গেছে । এই পরিস্থিতিতে ব্য়ারেজ জল শূন্য় হয়ে পড়লে, ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রে বিদ্য়ুৎ উৎপাদন ব্য়হত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ একইভাবে দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের বিদ্য়ুৎ উৎপাদনে ব্য়াঘাত দেখা দিতে পারে ৷ ফলে 48 ঘণ্টার মধ্য়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, রাজ্য়ে ব্য়াপক বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে ৷
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান সহ দুর্গাপুরের আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্র থেকে ৷ এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর ব্য়ারেজের লকগেট ভেঙে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ৷ ফলে মেজিয়া তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রে বিদ্য়ুৎ উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷ যার জেরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বেশকয়েকটি জেলায় বিদ্য়ুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছে মেজিয়া তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম ৷ একই পরিস্থিতি ডিভিসির দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনেরও ৷ সেখানেও বিদ্য়ুৎ উৎপাদন ব্য়হত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ এই দু’টি তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রে দিনে 3 হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হয় ৷ পশ্চিমবঙ্গে পাশের রাজ্য় বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিদ্য়ুর সরবরাহ করা হয় থার্মাল পাওয়ার স্টেশন থেকে ৷ বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু না হলে প্রতিবেশী রাজ্য়েও বিদ্য়ুৎ সঙ্কট দেখা দিতে পারে ৷
এ নিয়ে মেজিয়া তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ বলেন, এমটিপিএসে দু’টি রিজার্ভারের 15 লাখ কিউবিক মিটার জল ধরে ৷ শনিবার দুপুর পর্যন্ত যতটা সম্ভব ইনটেক পাম্প হাউস থেকে জল ভরে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ তাতে মেজিয়া তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রে আগামী দু’দিন উৎপাদন স্বাভাবিক থাকবে ৷ তবে, তারপর বিদ্য়ুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ডিজিএমের তরফে এও জানানো হয়েছে, দিনে 8 ইউনিট চালাতে দেড় লক্ষ কিউবিকমিটার জল প্রয়োজন হয় ৷ অন্য়দিকে , সেচ দপ্তরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, 48 ঘণ্টার মধ্য়ে মেরামতির কাজ শেষ হয়ে যাবে ৷ মেরামতির কাজ শেষ হলেই ডিভিসি আপার ভ্য়ালির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়বে ৷ ফলে জল কষ্ট বা বিদ্য়ুৎ সরবরাহে কোনো ব্য়াঘাত হবে না বলে জানিয়েছে সেচ দপ্তর ৷ যদিও, 2017 সালে দুর্গাপুর ব্য়ারেজে 1 নম্বর লকগেট ভাঙার সময় প্রায় 5 দিন সময় লেগেছিল তা মেরামতি করতে ৷