ETV Bharat / city

আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ছাত্র বিক্ষোভ, 5 ঘণ্টা আটকে শিক্ষকরা

স্কুলছুটির পর পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ বিক্ষোভের জেরে কয়েকঘণ্টা আটকে থাকেন জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক ও অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা ।

অভিযুক্ত শিক্ষক
author img

By

Published : Oct 25, 2019, 7:19 AM IST

Updated : Oct 25, 2019, 7:51 AM IST

দুর্গাপুর, 25 অক্টোবর : স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের ৷ তার জন্য স্কুল ছুটির পর প্রায় পাঁচঘণ্টা স্কুলের মধ্যে আটকে থাকলেন শিক্ষকরা ৷ শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের ঘটনা ৷

ওই স্কুলের শিক্ষক বামাকালী মণ্ডলের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গতকাল স্কুল ছুটির পর বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা ৷ তারা দাবি জানায়, অভিযুক্ত প্রাক্তন টিচার-ইন-চার্জ বামাকালী মণ্ডল ছাত্রদের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন তা ফেরত দিতে হবে । না হলে স্কুলের কোনও শিক্ষক শিক্ষিকাকে বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না । এই দাবি নিয়ে এর আগেও স্কুলে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল । সেইসময় বামাকালী মণ্ডল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৷ সেখানে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ওই শিক্ষককে অপমান করে ।

student agitation
বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা

তারপর গতকাল ফের একই দাবিতে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ স্কুল ছুটির পর ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে কয়েকঘণ্টা আটকে থাকেন জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক ও অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা । শেষমেশ প্রধান শিক্ষক দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলেকে বিষয়টি জানান ৷ শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলের মধ্যে আটকে থাকার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের DC পূর্ব অভিষেক গুপ্ত ফোনে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অনুরোধ করেন ছাত্রছাত্রীদের বোঝাতে । কিন্তু এতেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে ছাত্রছাত্রীরা । তাদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে টাকা এখনই ফেরত দিতে হবে । কারণ বাবা-মায়ের অনেক কষ্টার্জিত টাকা রয়েছে এই তহবিলে যার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না । ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে বেশ সমস্যায় পড়ে যান শিক্ষক শিক্ষিকারা ।

দেখুন ভিডিয়ো

দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের নির্দেশে সন্ধে সাতটা নাগাদ জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলে আসেন লাউদোহার BDO মৃণালকান্তি বাগচি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের এই ব্লকের সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় । বোঝানোর চেষ্টা করেন ছাত্রছাত্রীদের । কিন্তু এতেও শান্ত হয়নি ছাত্রছাত্রীরা । তাদের অভিযোগ, এর আগে নিজেই টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বলে কাগজে লিখে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মণ্ডল ৷ কিন্তু, স্কুল থেকে বেরিয়ে উলটে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ওই সময় বামাকালী মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ পালটা ওই শিক্ষক প্রধান শিক্ষক জয়নুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷

গতকাল ছাত্রছাত্রীরা বলে, এবারও যে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায় ৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে । যা চরমে পৌঁছায় নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ স্কুলে আসার পর । বামাকালী মণ্ডল নিয়ে পুলিশ গাড়িতে ওঠতে গেলে স্কুলের সব গেটে তালা মেরে দেয় পড়ুয়ারা ৷ তারা দাবি জানাতে থাকে, অভিযুক্ত শিক্ষককে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যেতে হবে ৷ পুলিশ তা না করায় বাধা দেয় ছাত্রছাত্রীরা । শুরু হয় স্কুলগেটের সামনে বিক্ষোভ ।

স্কুলের মেইন গেটের সামনে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন লাউদোহার BDO মৃণালকান্তি বাগচি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় । শেষপর্যন্ত নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ বামাকালী মণ্ডলকে কোনওরকমে স্কুলের বাইরে নিয়ে এসে পুলিশের গাড়িতে তোলে । ছাত্রছাত্রীরা তখন পুলিশের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে । এরপর লাউদোহার BDO, নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় । প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকারা ।

অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মণ্ডল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে ৷ অন্যদিকে জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক বলেন, "অনেকবার বলা হয়েছিল বামাকালীবাবুকে সব হিসেব বুঝিয়ে দিতে ৷ কিন্তু কেন উনি তা দেননি সেটার উত্তর উনিই দিতে পারেন ।"

ছাত্রদের বিক্ষোভের মাঝে অন্য একটি প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবকদের একাংশ ৷ তাদের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষক হওয়া নিয়ে বামাকালীবাবু ও জয়নুল হকের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিল ৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷

দুর্গাপুর, 25 অক্টোবর : স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের ৷ তার জন্য স্কুল ছুটির পর প্রায় পাঁচঘণ্টা স্কুলের মধ্যে আটকে থাকলেন শিক্ষকরা ৷ শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের ঘটনা ৷

ওই স্কুলের শিক্ষক বামাকালী মণ্ডলের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গতকাল স্কুল ছুটির পর বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা ৷ তারা দাবি জানায়, অভিযুক্ত প্রাক্তন টিচার-ইন-চার্জ বামাকালী মণ্ডল ছাত্রদের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন তা ফেরত দিতে হবে । না হলে স্কুলের কোনও শিক্ষক শিক্ষিকাকে বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না । এই দাবি নিয়ে এর আগেও স্কুলে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল । সেইসময় বামাকালী মণ্ডল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৷ সেখানে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ওই শিক্ষককে অপমান করে ।

student agitation
বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা

তারপর গতকাল ফের একই দাবিতে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ স্কুল ছুটির পর ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে কয়েকঘণ্টা আটকে থাকেন জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক ও অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা । শেষমেশ প্রধান শিক্ষক দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলেকে বিষয়টি জানান ৷ শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলের মধ্যে আটকে থাকার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের DC পূর্ব অভিষেক গুপ্ত ফোনে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অনুরোধ করেন ছাত্রছাত্রীদের বোঝাতে । কিন্তু এতেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে ছাত্রছাত্রীরা । তাদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে টাকা এখনই ফেরত দিতে হবে । কারণ বাবা-মায়ের অনেক কষ্টার্জিত টাকা রয়েছে এই তহবিলে যার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না । ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে বেশ সমস্যায় পড়ে যান শিক্ষক শিক্ষিকারা ।

দেখুন ভিডিয়ো

দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের নির্দেশে সন্ধে সাতটা নাগাদ জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলে আসেন লাউদোহার BDO মৃণালকান্তি বাগচি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের এই ব্লকের সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় । বোঝানোর চেষ্টা করেন ছাত্রছাত্রীদের । কিন্তু এতেও শান্ত হয়নি ছাত্রছাত্রীরা । তাদের অভিযোগ, এর আগে নিজেই টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বলে কাগজে লিখে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মণ্ডল ৷ কিন্তু, স্কুল থেকে বেরিয়ে উলটে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ওই সময় বামাকালী মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ পালটা ওই শিক্ষক প্রধান শিক্ষক জয়নুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷

গতকাল ছাত্রছাত্রীরা বলে, এবারও যে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায় ৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে । যা চরমে পৌঁছায় নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ স্কুলে আসার পর । বামাকালী মণ্ডল নিয়ে পুলিশ গাড়িতে ওঠতে গেলে স্কুলের সব গেটে তালা মেরে দেয় পড়ুয়ারা ৷ তারা দাবি জানাতে থাকে, অভিযুক্ত শিক্ষককে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যেতে হবে ৷ পুলিশ তা না করায় বাধা দেয় ছাত্রছাত্রীরা । শুরু হয় স্কুলগেটের সামনে বিক্ষোভ ।

স্কুলের মেইন গেটের সামনে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন লাউদোহার BDO মৃণালকান্তি বাগচি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় । শেষপর্যন্ত নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ বামাকালী মণ্ডলকে কোনওরকমে স্কুলের বাইরে নিয়ে এসে পুলিশের গাড়িতে তোলে । ছাত্রছাত্রীরা তখন পুলিশের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে । এরপর লাউদোহার BDO, নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় । প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকারা ।

অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মণ্ডল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে ৷ অন্যদিকে জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক বলেন, "অনেকবার বলা হয়েছিল বামাকালীবাবুকে সব হিসেব বুঝিয়ে দিতে ৷ কিন্তু কেন উনি তা দেননি সেটার উত্তর উনিই দিতে পারেন ।"

ছাত্রদের বিক্ষোভের মাঝে অন্য একটি প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবকদের একাংশ ৷ তাদের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষক হওয়া নিয়ে বামাকালীবাবু ও জয়নুল হকের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিল ৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷

Intro:দুর্গাপুরঃ আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে স্কুলের এক শিক্ষকে বামাকালী মন্ডলের বিরুদ্ধে। ঐ শিক্ষককে ঐ টাকা ফেরত দিতে হবে অবিলম্বে বৃহস্পতিবার এই অভিযোগকে সামনে রেখে জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল ছুটির পর প্রায় ৫ ঘন্টা স্কুলের মধ্যে আটকে রেখে দেয় ছাত্রছাত্রীরা।অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ল নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ, বিডিও এবং টিএমসি এর ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবী ওই শিক্ষককে কোমরে দড়ি পরিয়ে থানায় নিয়ে যেতে হবে।এই বিদ্যালয়ে গত কয়েকমাস ধরেই এই "" নাটক "চলছে।
ছাত্র ছাত্রীদের দাবী ছিল, যেভাবেই হোক অভিযুক্ত প্রাক্তন টিচার ইন চার্জ বামাকালী মণ্ডল ছাত্রদের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন তা ফেরত দিতে হবে। নচেৎ স্কুলের কোনো শিক্ষক শিক্ষিকাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না।উল্লেখ্য এই দাবী নিয়ে এর আগেও এই স্কুলে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।সেইসময় বামাকালী মন্ডল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ওই শিক্ষককে অপমান করে।তারপর আবার আজ।
টানা কয়েক ঘন্টা স্কুল ছুটির পরও ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভে আটকে থাকে জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।শেষমেশ প্রধান শিক্ষক দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বান কোলের দ্বারস্থ হন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলের মধ্যে আটকে থাকার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্ত ফোনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হকের সাথে কথা বলেন, অনুরোধ করেন ছাত্র ছাত্রীদের বোঝাতে।কিন্তু এতেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ ছিল অভিযুক্ত শিক্ষককে টাকা এখনি ফেরত দিতে হবে। কারণ বাবা-মায়ের অনেক কষ্টার্জিত টাকা রয়েছে এই তহবিলে যার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভে বেশ সমস্যায় পড়ে যান শিক্ষক শিক্ষিকারা।দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের নির্দেশে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলে আসেন লাউদোহার বিডিও মৃনাল কান্তি বাগচী ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা টিএমসি এর এই ব্লকের সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়।বোঝানোর চেষ্টা করেন ছাত্র ছাত্রীদের।কিন্তু এতেও শান্ত হয়নি ছাত্রছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ ছিল, এর আগে নিজেই টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বলে কাগজে লিখে দিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালি মন্ডল, এরপর স্কুল গন্ডীর বাইরে গিয়ে প্রতিশ্রুতি শুধু ভেঙে ফেলাই নয় রীতিমতো মিথ্যে করে ছাত্র ছাত্রীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছিল বামাকালী বাবু,।এরপরও যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে এরপর।যা চরমে পৌঁছোয় নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলে আসার পরই।বামাকালী মন্ডল নামে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল স্কুলের তরফে, পাল্টা বামাকালীবাবুও অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হকের বিরুদ্ধেও।
উত্তেজিত ছাত্র ছাত্রীদের রোষের মুখ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মণ্ডলকে পুলিশ গাড়ীতে ওঠাতে গেলে স্কুলের সব গেটে তালা মেরে দিয়ে ফের বিক্ষোভ শুরু করে দেয় ছাত্র ছাত্রীরা।অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলের বাইরে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে বলে আওয়াজ ওঠে।পুলিশ তা না করায় বাধা দেয় ছাত্রছাত্রীরা। শুরু হয় স্কুল গেটের সামনে প্রবল বিক্ষোভ।
স্কুলের মেন গেটের সামনে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন লাউদোহার বিডিও মৃনাল কান্তি বাগচী ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায়।
শেষ পর্যন্ত নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মণ্ডলকে কোনোক্রমে স্কুলের বাইরে নিয়ে এসে পুলিশের গাড়ীতে তোলেন। ততক্ষনে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ গাড়ীর পেছন ধাওয়া করে।
এরপর লাউদোহার বিডিও, নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ কোনোক্রমে সামাল দেয় পরিস্থিতি। প্রায় ৫ ঘন্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
অভিযুক্ত শিক্ষক বামাকালী মন্ডল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে তাকে, অন্যদিকে জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক জানিয়েছেন, অনেকবার বলা হয়েছিল বামাকালীবাবুকে সব হিসেব বুঝিয়ে দিতে কিন্তু কেন উনি তা দেননি সেটার উত্তর উনিই দিতে পারেন। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছাত্রী বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে পাঁচ ঘন্টা পর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘেরাও মুক্ত হন।কিন্তু এই স্কুলে কি অন্য খেলা চলছে?বামাকালীবাবু ও জয়নুল হকের এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে বসা নিয়ে যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল সেই লড়াই এ কি আজ ছাত্ররা সামিল হয়ে পড়ল?অবিলম্বে মহকুমা উচ্চ শিক্ষা দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরুক এই বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সামনে এমন আওয়াজ ও উঠছে।।Body:হConclusion:হ
Last Updated : Oct 25, 2019, 7:51 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.