দুর্গাপুর, 27 সেপ্টেম্বর: পরিবহণ মন্ত্রীর কড়া বার্তাতেও গলল না বরফ (Strike by Workers SBSTC Buses) ৷ পুজোর মুখে ধর্মঘটে অনড় দুর্গাপুর-সহ দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন ৷ সমকাজে সমবেতন-সহ সাত দফা দাবির সমর্থনে এই অস্থায়ী কর্মীরা আন্দোলন শুরু করেছিল ৷ যার জেরে ব্যাপক যাত্রী ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর-সহ সমস্ত বাস ডিপোতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের সাক্ষর করা একটি বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁছেছে ৷ যেখানে সংস্থার নিজস্ব অস্থায়ী কর্মীদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুধবার থেকে। দুর্গাপুর ডিপোয় 59 জন অস্থায়ী কর্মীকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি দুর্গাপুর সিটি ডিপোর অফিসে এসে পৌঁছয় ৷ আর সেই নোটিশকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷
সরকারের এই নোটিশকে চক্রান্ত বলেই পালটা তোপ সংস্থার এজেন্সি মারফত নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের। সরকারের পক্ষ থেকেল চলতি মাসের 23 তারিখ এজেন্সি মারফত নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবহণ দফতর ৷ এবার সংস্থার নিজস্ব ঠিকা কর্মীদের আগামিকাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এই অবস্থায় এখনো যাত্রী ভোগান্তি জারি রয়েছে গোটা রাজ্যে, সময়ে বাস না আসা, বাস না আসা পর্যন্ত টিকিট না দেওয়া, এইরকম সমস্যাগুলি লেগেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি বাসের অস্থায়ী কর্মীদের ধর্মঘটের জেরে বিপাকে যাত্রীরা
এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে ৷ তৃণমূল নেতা রমাপ্রসাদ হালদার এই প্রসঙ্গেই জানান, সরকার মানুষের পাশে রয়েছেন, মন্ত্রী আস্বস্ত করেছিলেন পুজোর পর আলোচনাতে বসে সব ঠিক করা হবে ৷ তখন মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে এই আন্দোলন জারি রাখাটা অত্যন্ত অন্যায় ৷ তবে কর্মীদের এই ধর্মঘটে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ তৃণমূলকে পালটা কটাক্ষ করেই বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিত দত্ত জানান, নার্য্য পাওনা এই দাবিকে বিজেপি সমর্থন করেন ৷ এখন দেখার বিষয়, বুধবার এই আন্দোলনের চেহারাটা কী হয় ৷