দুর্গাপুর, 3 জুন : পুলিশের বিরুদ্ধে দাদাগিরি ও তোলাবাজির অভিযোগ দুর্গাপুরের কাদারোড নিষিদ্ধ পল্লির বাসিন্দাদের ।
অভিযোগ, ওই এলাকার জনৈক বাসিন্দা নতুন একটি বাইক কিনেছে । গতরাতে বাইকটি বাড়ির বাইরেই রাখা ছিল । রাতে পেট্রোলিং-এর সময় ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের চোখে পড়ে বাইকটি । বাইকে নম্বরপ্লেট না থাকায় বাড়ির বাসিন্দা মুন্না ও রাহুলকে ডেকে জেরা করা হয় । পুলিশ বাইকের কাগজপত্র দেখতে চায় । অভিযোগ, বাইকের কাগজ দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ 5 হাজার টাকা দাবি করে । টাকা দিতে না চাইলে প্রথমে শুরু হয় বচসা । পরে হাতাহাতি । রাহুল ও মুন্না ছাড়াও তাদের মা পুষ্পা রায়কেও মারধর করে পুলিশ । খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে এলাকা ছেড়ে পালায় পুলিশ । কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থানে আসেন ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রাহুল মণ্ডল । অভিযোগ, তিনি আসার পরই বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় স্থানীয়দের উপর । মারের চোটে সংজ্ঞা হারায় রাহুল রায় ও মুন্না রায় । পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয় স্থানীয়দের অনেকেই । এরপর আহতদের নিয়ে ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে যায় দুর্বার মহিলা সংগঠনের কর্মীরা । কিন্তু তাদের বক্তব্য না শুনে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ । সব মিলিয়ে প্রায় 12 জন পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে আহত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের ।
স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় প্রতিদিনই চলে পুলিশের দাদাগিরি । নানা অজুহাতে তোলা হয় টাকা । তাদের বক্তব্য, সোমবার অর্থাৎ আজ আসানসোল - দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের DCP(পূর্ব) অভিষেক মোদির কাছে রাহুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাবে ।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, এর আগেও অনেক দুষ্কৃতী ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে । তাই রাতে পেট্রোলিং-এর উপর বিশেষ জোড় দেওয়া হয় । নম্বরপ্লেট ছাড়া বাইকটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের । তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে । অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিন্দর রাম গতরাত থেকেই ঘটনাস্থানেই রয়েছেন । তাঁর দাবি, "ঘটনার বিচার চাই ।"