ETV Bharat / city

নম্বরপ্লেটহীন বাইক কার ? পুলিশের জেরার পরেই ধুন্ধুমার দুর্গাপুরে - locals protest

একটি নম্বরপ্লেটহীন বাইককে কেন্দ্র করে গতরাতে উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের কাদারোডে নিষিদ্ধপল্লিতে । পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয় 12 জন ।

নম্বরপ্লেটহীন বাইক
author img

By

Published : Jun 3, 2019, 3:13 PM IST

Updated : Jun 3, 2019, 4:15 PM IST

দুর্গাপুর, 3 জুন : পুলিশের বিরুদ্ধে দাদাগিরি ও তোলাবাজির অভিযোগ দুর্গাপুরের কাদারোড নিষিদ্ধ পল্লির বাসিন্দাদের ।

অভিযোগ, ওই এলাকার জনৈক বাসিন্দা নতুন একটি বাইক কিনেছে । গতরাতে বাইকটি বাড়ির বাইরেই রাখা ছিল । রাতে পেট্রোলিং-এর সময় ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের চোখে পড়ে বাইকটি । বাইকে নম্বরপ্লেট না থাকায় বাড়ির বাসিন্দা মুন্না ও রাহুলকে ডেকে জেরা করা হয় । পুলিশ বাইকের কাগজপত্র দেখতে চায় । অভিযোগ, বাইকের কাগজ দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ 5 হাজার টাকা দাবি করে । টাকা দিতে না চাইলে প্রথমে শুরু হয় বচসা । পরে হাতাহাতি । রাহুল ও মুন্না ছাড়াও তাদের মা পুষ্পা রায়কেও মারধর করে পুলিশ । খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে এলাকা ছেড়ে পালায় পুলিশ । কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থানে আসেন ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রাহুল মণ্ডল । অভিযোগ, তিনি আসার পরই বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় স্থানীয়দের উপর । মারের চোটে সংজ্ঞা হারায় রাহুল রায় ও মুন্না রায় । পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয় স্থানীয়দের অনেকেই । এরপর আহতদের নিয়ে ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে যায় দুর্বার মহিলা সংগঠনের কর্মীরা । কিন্তু তাদের বক্তব্য না শুনে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ । সব মিলিয়ে প্রায় 12 জন পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে আহত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের ।

ভিডিয়োয় দেখুন

স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় প্রতিদিনই চলে পুলিশের দাদাগিরি । নানা অজুহাতে তোলা হয় টাকা । তাদের বক্তব্য, সোমবার অর্থাৎ আজ আসানসোল - দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের DCP(পূর্ব) অভিষেক মোদির কাছে রাহুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাবে ।

অন্যদিকে পুলিশের দাবি, এর আগেও অনেক দুষ্কৃতী ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে । তাই রাতে পেট্রোলিং-এর উপর বিশেষ জোড় দেওয়া হয় । নম্বরপ্লেট ছাড়া বাইকটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের । তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে । অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিন্দর রাম গতরাত থেকেই ঘটনাস্থানেই রয়েছেন । তাঁর দাবি, "ঘটনার বিচার চাই ।"

দুর্গাপুর, 3 জুন : পুলিশের বিরুদ্ধে দাদাগিরি ও তোলাবাজির অভিযোগ দুর্গাপুরের কাদারোড নিষিদ্ধ পল্লির বাসিন্দাদের ।

অভিযোগ, ওই এলাকার জনৈক বাসিন্দা নতুন একটি বাইক কিনেছে । গতরাতে বাইকটি বাড়ির বাইরেই রাখা ছিল । রাতে পেট্রোলিং-এর সময় ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের চোখে পড়ে বাইকটি । বাইকে নম্বরপ্লেট না থাকায় বাড়ির বাসিন্দা মুন্না ও রাহুলকে ডেকে জেরা করা হয় । পুলিশ বাইকের কাগজপত্র দেখতে চায় । অভিযোগ, বাইকের কাগজ দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ 5 হাজার টাকা দাবি করে । টাকা দিতে না চাইলে প্রথমে শুরু হয় বচসা । পরে হাতাহাতি । রাহুল ও মুন্না ছাড়াও তাদের মা পুষ্পা রায়কেও মারধর করে পুলিশ । খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে এলাকা ছেড়ে পালায় পুলিশ । কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থানে আসেন ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রাহুল মণ্ডল । অভিযোগ, তিনি আসার পরই বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় স্থানীয়দের উপর । মারের চোটে সংজ্ঞা হারায় রাহুল রায় ও মুন্না রায় । পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয় স্থানীয়দের অনেকেই । এরপর আহতদের নিয়ে ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে যায় দুর্বার মহিলা সংগঠনের কর্মীরা । কিন্তু তাদের বক্তব্য না শুনে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ । সব মিলিয়ে প্রায় 12 জন পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে আহত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের ।

ভিডিয়োয় দেখুন

স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় প্রতিদিনই চলে পুলিশের দাদাগিরি । নানা অজুহাতে তোলা হয় টাকা । তাদের বক্তব্য, সোমবার অর্থাৎ আজ আসানসোল - দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের DCP(পূর্ব) অভিষেক মোদির কাছে রাহুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাবে ।

অন্যদিকে পুলিশের দাবি, এর আগেও অনেক দুষ্কৃতী ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে । তাই রাতে পেট্রোলিং-এর উপর বিশেষ জোড় দেওয়া হয় । নম্বরপ্লেট ছাড়া বাইকটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের । তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে । অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিন্দর রাম গতরাত থেকেই ঘটনাস্থানেই রয়েছেন । তাঁর দাবি, "ঘটনার বিচার চাই ।"

Intro:দুর্গাপুর থানা এলাকার কাদারোড যৌনপল্লীতে পুলিশের বিরুদ্ধে রবিবার রাতভর ""গুন্ডাগিরি"" চালানোর অভিযোগ কাদারোড যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার গা ঘেঁষে সেই পঞ্চাশের দশকে তৈরি হয় কাদারোড যৌনপল্লী। প্রায় 700 থেকে 800 জন যৌনকর্মী তাদের যৌনপেশার তাগিদে এই কাদারোড এসে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখানে পাকাপাকিভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করে।এই যৌনপল্লী এলাকাতেই আবার অনেক সাধারন মানুষেরও বসবাস। অভিযোগ যৌনপল্লী এলাকায় একটি হোটেল চালান পুষ্পা রায় নামক এক মহিলা। তার দুই সন্তান রাহুল ও মুন্না রায় নতুন একটি মোটর বাইক কিনেছে। রবিবার রাতে সেটি তাদের বাড়ির বাইরে রাখা ছিল। স্থানীয় ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের রাতের পেট্রোল গাড়ি গিয়ে দেখতে পায় নাম্বারহীন বাইকটি বাইরে রাখা আছে। এরপরে মুন্না ও রাহুল রায় কে ডেকে পেট্রোল গাড়িতে থাকাএকজন পুলিশকর্মী ও দু-তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার তাদের কাছে নতুন গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাই এবং পরে নতুন গাড়ি কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা চাই বলে অভিযোগ। আর এই নিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। শুরু হয় পুলিশের সাথে প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দারা।পুষ্পা রায় এবং তার দুই ছেলে রাহুল ও মুন্না কে বেধড়ক মারধর শুরু হয়।তখন যৌনপল্লীর বাসিন্দারা প্রতিরোধ করলে ওই পুলিশ কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালায়।এর কিছুক্ষন পরে ঘটনাস্থলে আসে ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রাহুল মন্ডল। অভিযোগ রাহুল বাবু আসার পরেই বেধড়ক লাঠিচার্জ করে যৌনপল্লীতে জমায়েত করা মহিলা ও পুরুষদের ওপর।লাঠিপেটা হয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রাহুল ও মুন্না রায়।সেইসময় পুলিশকে বাধা দিতে গিয়ে যৌনপল্লীর আরো বহু মহিলাকর্মীও পুলিশের মার খায় বলে অভিযোগ। এরপরে পুলিশ চলে গেলে ওই যৌনকর্মীদের এবং আহতদের নিয়ে ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে যায় দুর্বার মহিলা সংগঠনের কর্মীরা।সেইসময় রাহুল মন্ডল তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।ওয়ারিয়া ফাঁড়ি থেকেই রাহুল,মুন্না এবং পুষ্পা রায়কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।প্রায় ১০-১২ জন পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে আহত হয়েছে বলে দাবী যৌনপল্লী এলাকার বাসিন্দাদের।তাদের অভিযোগ এই যৌনপল্লীতে রাতে ""পুলিশের দাদাগিরি "" চলে।গভীর রাতে যৌনপল্লীর মহিলাদের বাড়ির দরজা খুলে দেখা হয় কেও আছে কিনা।যদি কোনও খরিদ্দার কে ধরতে পারে তাহলে তাকে ধরে তার বাড়ির লোকদের ডেকে তাকে ছাড়া হবে এমন ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের।এরা এখন সমবেতভাবে আসানসোল - দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পুর্ব) অভিষেক মোদীর কাছে সোমবার ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অফিসার-ইন-চার্জ রাহুল মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেবে বলে জানায়।পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।তবে পুলিশের দাবী কাদারোড যৌনপল্লীতে সন্ধ্যার পরে আর সেখানে যৌনব্যাবসার পুলিশি অনুমোদন না থাকা স্বত্তেও এখানে গভীর রাত অবধি যৌনপল্লীতে বহু কুখ্যাত লোকের আনাগোনা। তাই পুলিশ রাতে এই জায়গায় নাইট পেট্রোলিং এ জোর দেয়।এর আগে এই রেডলাইট এলাকা থেকে বহু কুখ্যাত সশস্ত্র দুষ্কৃতিকারী এসে উপস্থিত হয়েছে এবং ধরাও পড়েছে।তাই এই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে রাতে একটি নাম্বারপ্লেটহীন বাইক দেখে সন্দেহ হওয়াও ওই বাড়ির লোকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।তবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আচার আচরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগের কথা যৌনপল্লীর বসবাসরতদের মুখে শোনা গেল।।এই ওয়ার্ডের টিএমসি কাউন্সিলর রবিন্দর রাম কাল রাত থেকে ঘটিনাস্থলেই আছেন।এলাকার মানুষ তার কাছে সুবিচার চাইছেন।Body:কপিConclusion:কপি
Last Updated : Jun 3, 2019, 4:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.