ETV Bharat / city

''পুরানো কাগজ আছে গো'', সাড়া নেই গৃহস্থের

কোরোনা আতঙ্কে আজ অনেকের জীবিকা প্রায় বন্ধের মুখে ৷ পেটে টান ধরছে গরিব মানুষের ৷ গৃহস্থের কাছ থেকে পুরানো কাগজ, ভাঙাচোরা জিনিস কিনে সংসার চালায় হকাররা ৷ কিন্তু কোরোনা আতঙ্কে আজ হকারকে ঘরে প্রবেশ করাচ্ছে না কেউ ৷ এরফলে হকারদের জীবিকা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে ৷

scrap paper business
কোরোনা আতঙ্কে সমস্যায় হকাররা
author img

By

Published : Jun 22, 2020, 8:07 PM IST

Updated : Jun 23, 2020, 8:44 PM IST

দুর্গাপুর , 22 জুন : কবি বিষ্ণু দে বলেছিলেন, জীবন এক দীর্ঘশ্বাস ৷ সবার কাছে নয় ৷ তবে কারও কারও কাছে জীবন দীর্ঘশ্বাসই ৷ দেশ জুড়ে কোরোনা সংক্রমণের ফলে গরিব মানুষের কাছে এই দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘতর হচ্ছে ৷ জীবন আছে ৷ অথচ জীবিকা নেই ৷ দুমুঠো খেয়ে পেটের খিদে মেটাবে তার উপায় নেই ৷ পুরানো কাগজ, ভাঙাচোরা জিনিস ঘরে জমছে ৷ বাড়ির পাশ দিয়ে হকার ডাক দিচ্ছে, "পুরানো কাগজ, ভাঙাচোরা জিনিস দেবে গো" ৷ আওয়াজ শুনেও গৃহস্থ ডাকছে না হকারকে ৷ কোরোনা আতঙ্ক ৷ কোরোনা আতঙ্কে হকারকে বাড়িতে ডাকতে ভয় ৷ কাঁধে চটের ঝোলা নিয়ে ঘুরে ঘুরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁকডাক করেও অধিকাংশ দিন শূন্য হাতে ফিরত হচ্ছে তাদের ৷

হকাররা কিনতে পারছে না পুরনো বই, খাতা, পেপার

হকাররা পুরানো বই খাতা পেপার কিনতে পারছে না গ্রাহকদের কাছে । হকাররা কিনতে পারছে না পুরনো বই, খাতা, পেপার , প্যাকিং বাক্স সহ কাগজের জিনিসপত্র। তাই গুদাম গুলিও একেবারে ফাঁকা। এই ব্যবসার সাথে জড়িত হাজার হাজার মানুষ আজ উপার্জনহীন হয়ে বিকল্প ব্যবসার কথা ভাবছে। পুরানো বই-খাতা-পেপার কাগজের তৈরি প্যাকিং বাক্স, বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে নিয়ে আসে হকাররা ।এই কাজ করে এতদিন পর্যন্ত ওরা প্রতিদিন গড়ে দেড়শ থেকে দু'শো টাকা রোজগার করত । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে বাড়ি বাড়ি ঢোকা বন্ধ। বাড়িতে পুরানো জিনিসপত্র কিনতে গেলে গৃহস্থের সাফ কথা, "এখন আসবেন না।" ওদের রুটি-রুজি তে টান পড়েছে। সেই সমস্ত সামগ্রী বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে কিনে এনে ওরা সেগুলি বিক্রি করত গুদাম মালিকদের কাছে। এখন আনলক ওয়ান পর্ব চলছে। দীর্ঘ লকডাউনে এক টাকাও রোজগার হয়নি । জমানো পুঁজি ভেঙে কোনও রকমে সংসার প্রতিপালন করেছে । এখন এদিক-ওদিক পড়ে থাকা কাগজপত্র কুড়িয়ে সারাদিনে 30 থেকে 40 টাকা আয় হচ্ছে । তাও আবার সবদিন হচ্ছেই না ।

আর গুদাম মালিকরা পেপার পাঠিয়ে দেন পাটনাতে । আর পুরানো বইপত্র পাঠাতেন চণ্ডীগড়ে। কিন্তু এখন সব বন্ধ । মালপত্র আসছে না। আগে গুদাম মালিকরা মাসে গড়ে 30 থেকে 40 হাজার টাকা উপার্জন করত। হকাররা এখন সামান্য যা পুরানো কাগজ পাচ্ছে তা বিক্রি করছে কাগজের ঠোঙা তৈরি করে যারা তাদের কাছে। সারাদিনে মেরেকেটে 100 টাকার ব্যবসাও হচ্ছে না এই গুদাম মালিকদেরও। নুর মহম্মদ আনসারি নামে এক গুদাম মালিক জানালেন , "হকারদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না । যেহেতু ওরা মাল পাচ্ছে না । তাই আমরাও মালপত্রের জোগান পাচ্ছি না । খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের । দুর্গাপুরের কয়েক হাজার মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে। আজ আমরা সবাই দিশেহারা। কেউ আমাদের খোঁজ রাখেনি।"

সরকারি সহায়তা নেই । ব্যবসা বন্ধ। নুর মহম্মদ আনসারি, জিল্লু শেখরা এখন কী করবেন, ভেবে উঠতে পারছেন না। কখনও কখনও ভাবছেন নতুন ব্যবসার কথা। কিন্তু কী করবেন? পুঁজি কোথায় ? তাই এই পুরানো বই খাতা পেপার বিক্রির সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার হকাররা আজ দুশ্চিন্তার প্রহর কাটাচ্ছে । আশায় আছে সুদিন ফেরার।

দুর্গাপুর , 22 জুন : কবি বিষ্ণু দে বলেছিলেন, জীবন এক দীর্ঘশ্বাস ৷ সবার কাছে নয় ৷ তবে কারও কারও কাছে জীবন দীর্ঘশ্বাসই ৷ দেশ জুড়ে কোরোনা সংক্রমণের ফলে গরিব মানুষের কাছে এই দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘতর হচ্ছে ৷ জীবন আছে ৷ অথচ জীবিকা নেই ৷ দুমুঠো খেয়ে পেটের খিদে মেটাবে তার উপায় নেই ৷ পুরানো কাগজ, ভাঙাচোরা জিনিস ঘরে জমছে ৷ বাড়ির পাশ দিয়ে হকার ডাক দিচ্ছে, "পুরানো কাগজ, ভাঙাচোরা জিনিস দেবে গো" ৷ আওয়াজ শুনেও গৃহস্থ ডাকছে না হকারকে ৷ কোরোনা আতঙ্ক ৷ কোরোনা আতঙ্কে হকারকে বাড়িতে ডাকতে ভয় ৷ কাঁধে চটের ঝোলা নিয়ে ঘুরে ঘুরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁকডাক করেও অধিকাংশ দিন শূন্য হাতে ফিরত হচ্ছে তাদের ৷

হকাররা কিনতে পারছে না পুরনো বই, খাতা, পেপার

হকাররা পুরানো বই খাতা পেপার কিনতে পারছে না গ্রাহকদের কাছে । হকাররা কিনতে পারছে না পুরনো বই, খাতা, পেপার , প্যাকিং বাক্স সহ কাগজের জিনিসপত্র। তাই গুদাম গুলিও একেবারে ফাঁকা। এই ব্যবসার সাথে জড়িত হাজার হাজার মানুষ আজ উপার্জনহীন হয়ে বিকল্প ব্যবসার কথা ভাবছে। পুরানো বই-খাতা-পেপার কাগজের তৈরি প্যাকিং বাক্স, বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিনে নিয়ে আসে হকাররা ।এই কাজ করে এতদিন পর্যন্ত ওরা প্রতিদিন গড়ে দেড়শ থেকে দু'শো টাকা রোজগার করত । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে বাড়ি বাড়ি ঢোকা বন্ধ। বাড়িতে পুরানো জিনিসপত্র কিনতে গেলে গৃহস্থের সাফ কথা, "এখন আসবেন না।" ওদের রুটি-রুজি তে টান পড়েছে। সেই সমস্ত সামগ্রী বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে কিনে এনে ওরা সেগুলি বিক্রি করত গুদাম মালিকদের কাছে। এখন আনলক ওয়ান পর্ব চলছে। দীর্ঘ লকডাউনে এক টাকাও রোজগার হয়নি । জমানো পুঁজি ভেঙে কোনও রকমে সংসার প্রতিপালন করেছে । এখন এদিক-ওদিক পড়ে থাকা কাগজপত্র কুড়িয়ে সারাদিনে 30 থেকে 40 টাকা আয় হচ্ছে । তাও আবার সবদিন হচ্ছেই না ।

আর গুদাম মালিকরা পেপার পাঠিয়ে দেন পাটনাতে । আর পুরানো বইপত্র পাঠাতেন চণ্ডীগড়ে। কিন্তু এখন সব বন্ধ । মালপত্র আসছে না। আগে গুদাম মালিকরা মাসে গড়ে 30 থেকে 40 হাজার টাকা উপার্জন করত। হকাররা এখন সামান্য যা পুরানো কাগজ পাচ্ছে তা বিক্রি করছে কাগজের ঠোঙা তৈরি করে যারা তাদের কাছে। সারাদিনে মেরেকেটে 100 টাকার ব্যবসাও হচ্ছে না এই গুদাম মালিকদেরও। নুর মহম্মদ আনসারি নামে এক গুদাম মালিক জানালেন , "হকারদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না । যেহেতু ওরা মাল পাচ্ছে না । তাই আমরাও মালপত্রের জোগান পাচ্ছি না । খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের । দুর্গাপুরের কয়েক হাজার মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে। আজ আমরা সবাই দিশেহারা। কেউ আমাদের খোঁজ রাখেনি।"

সরকারি সহায়তা নেই । ব্যবসা বন্ধ। নুর মহম্মদ আনসারি, জিল্লু শেখরা এখন কী করবেন, ভেবে উঠতে পারছেন না। কখনও কখনও ভাবছেন নতুন ব্যবসার কথা। কিন্তু কী করবেন? পুঁজি কোথায় ? তাই এই পুরানো বই খাতা পেপার বিক্রির সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার হকাররা আজ দুশ্চিন্তার প্রহর কাটাচ্ছে । আশায় আছে সুদিন ফেরার।

Last Updated : Jun 23, 2020, 8:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.