দুর্গাপুর, 10 নভেম্বর : বিপর্যয় যেন কাটছেই না দুর্গাপুরের মানসিক ভারসম্যহীন এক মহিলার জীবন থেকে ৷ গত কয়েকদিন আগে স্বামীকে হারিয়েছেন ৷ শিশু সন্তানের জন্মও দিয়েছেন তিনি ৷ আর সেই সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে ওই মহিলার এই শীতে ঠাঁই হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বারান্দায় । 5 দিন আগে কাঁকসার মলানদিঘির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে জন্ম দেন শিশুর।
পূর্ব বর্ধমানের অদূরিয়া এলাকায় 19 বছর আগে মলানদিঘির হরিকি গ্রামের বছর 35-য়ের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার । স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে চিকিৎসার অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন । তারপর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। বাপের বাড়ি বলেও কিছু নেই ৷ মা-বাবা মারা গিয়েছেন। জায়গা দেয়নি দাদা-বউদিও। সব হারিয়ে ঠাঁই হয়েছে মলানদিঘির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে।
আরও পড়ুন: দামোদরে এসে ঝুঁকির পারাপার চাক্ষুষ করলেন অগ্নিমিত্রা, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেতুর দাবি
এহেন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা কারও লালসার শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারপর মলানদিঘি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে এই ঠান্ডায় একটি শিশুর জন্ম দেন তিনি। প্রশাসনও সেভাবে তাকায়নি তাঁর দিকে। ঠান্ডায় সদ্য শিশুকে নিয়ে চরম সম্যসায় তিনি। স্থানীয়রা জানান, স্বামীর পরিবারের লোকজন না দেখায় এবং চিকিৎসা না হওয়ায় এই করুণ অবস্থা তাঁর। ওই মহিলাকে যাতে বাড়ি ফেরানো যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান, মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায়।