দুর্গাপুর, 30 জুন: দুর্গাপুর প্রজেক্টেস লিমিটেডকে(DPL)এবার বাঁচাতে উদ্যোগী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের হাত ধরে দুর্গাপুরে প্রথম রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয় ডিপিএল কারখানা ৷ এই কারখানাকে বাঁচাতে বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে বামেদের মত একই সুরে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
মমতা বলেন, "ডিপিএলকে বাঁচাতে তার অব্যবহৃত জমি বিক্রি করতে হবে ।" পনেরো দিনের মধ্যে ডিপিএলের জমি ও আবাসন নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে রিপোর্ট দিতে বললেন আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটককে । বুধবার দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডিপিএলকে কীভাবে বাঁচানো যায় সে নিয়েও মন্ত্রী মলয় ঘটককে দ্রুত পরিকল্পনা করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, "ডিপিএলটা এবার সমাধান করো মলয়। ডিপিএল-র পড়ে থাকা জমি বিক্রি করে ডিপিএলটা দাঁড় করিয়ে দিতে পারি আমি । ওখানে যাদের ঘর বাড়ি আছে তাদের ঘর বাড়ি তৈরি করে দেব । কোনও অসুবিধা হবে না ।" তিনি আরও বলেন, "বেআইনিভাবে যারা বসে আছে তাদের তো তাড়াতে পারব না । তাদের সঙ্গে কথা বলে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেব ।"
এদিন ক্ষোভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "তিন চার বছর ধরে বলে আসছি । আর বলবো না ।" এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী মমতাকে বলেন, "ডিপিএলের অতিরিক্ত জমিতে শিল্প হবে । রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমকে তা দেওয়া হয়েছে । ক্যাবিনেট অনুমোদন করেছে । পরিত্যক্ত আবাসনগুলি ভেঙে শিল্প ও উন্নয়ন হবে । কারখানার পাশের জমিতে হবে আবাসন ।"
আরও পড়ুন: ‘আমি সবার থেকে ভাল ধান কাটতে পারি, আপনারা কেও পারেন ?’ প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
এভাবেই দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিপিএলকে কীভাবে নতুন করে সাজানো যায় সেই নিয়েও একাধিক নির্দেশ দিলেন (Mamata Banerjee advises for DPL development)। এই একই কথা বলেছিলেন রাজ্যের প্রয়াত শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন । এবার সে কথাই শোনা গেল রাজ্যের বর্তমান প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও ।