দুর্গাপুর, 26 মার্চ : দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে কালোবাজারি রুখতে আজ দুর্গাপুর নগরনিগমের দু'নম্বর বোরো কমিটির পক্ষ থেকে অভিযান চলল ৷ চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের নিয়ে পাইকারি বাজারগুলিতে অভিযান চালান । ব্যবসায়ীদের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করলেন, দেশের এই দূরাবস্থার সময় বাড়তি মুনাফার কথা মাথায় না রেখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান ।
কোরোনা আতঙ্কের জেরে লকডাউন-এর কথা ঘোষণা আর তারপরেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে অতিরিক্ত জিনিস কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে আমজনতার মধ্যে । সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মজুদ থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠছে দুর্গাপুরে । পাশাপাশি কালোবাজারির অভিযোও উটেছে ৷ আলু , চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গত তিনদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলে অভিযোগ । মাত্র দু’দিন আগে যে চাল 800 টাকা প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে সেই চালের দাম আজ 1200 টাকা প্রতি বস্তা । বাজারে পর্যাপ্ত আলুর যোগান থাকতেও আজ আলুর দাম কেজি প্রতি চার টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । একইভাবে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেল, চিনিসহ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ৷ সাধারণ মানুষের থেকে অভিযোগ পেয়ে এবার অভিযানে নামলেন দুর্গাপুর পৌরনিগমের দু'নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার ।
প্রথমে করজোড়ে ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ করলেন রমাপ্রসাদবাবু ৷ পরে তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘এরপরে যদি আপনারা চড়া দামে জিনিস বিক্রি করেন তাহলে কিন্তু প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গৃহীত হবে ।’’ দুর্গাপুর বেনাচিতি, চণ্ডীদাস, আশিস মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা সবজির দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীর দাম একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । আর তাই নিয়েই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ । বাজারে গিয়ে একশ্রেণির মানুষ যখন অপ্রয়োজনে ভুরি ভুরি খাদ্য সামগ্রী মজুদ করতে শুরু করেছেন ঠিক তখনই উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের ক্ষেত্রে । তাঁরা কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এই কঠিন সময়ে বাড়তি দামে কিনতে পারছেন না । যা নিয়ে এবার দুর্গাপুর নগরনিগমের দু'নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যানকে আসরে নামতে দেখা গেল ।