দুর্গাপুর, 29 ফেব্রুয়ারি: শিল্পনগরী দুর্গাপুরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পাঁচ বছর আগে এ-জোন নেতাজি সুভাষ রোডের পাশে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় নিজেদের সুবিশাল জায়গায় বসুন্ধরা পার্ক তৈরি করে । অভিযোগ, দেখভালের অভাবে বর্তমানে তা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে ৷
দূষণের জেরে হাঁসফাঁস করে ওঠা মানুষগুলো যাতে একটু মুক্ত বাতাস আর শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পায়, তার জন্য তৈরি এই বসুন্ধরা পার্কে দীর্ঘ এলাকাজুড়ে সোনাঝুরি,ঝাউ,শাল ও সেগুন গাছ লাগানো হয় । তৈরি করা হয় সুবিশাল জলাধারও । শিশুদের জন্য বিভিন্ন জীব জন্তুর কংক্রিটের মডেল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় এই পার্ক ৷ থিম পার্কের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে কাজ থেমে যায় ৷ বর্তমানে উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই পার্ক অসামাজিক কাজকর্মের মূলকেন্দ্র হয়ে উঠেছে । আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা এলাকা । চারিদিকে ঘন জঙ্গল থাকায় জলাধারের পাশে রোজ আসর বসে, চলে অবাধ মদ্যপান । ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মদের বোতল প্রমাণ দেয় তার ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই ছেলেমেয়েরা এই নির্জন অন্ধকার এলাকায় ঢুকে পড়ে । নিরাপত্তারক্ষী ও আলো না থাকায় প্রতিদিনই এই বসুন্ধরা পার্কে অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে চলেছে । নির্জন এই এলাকা এখন সুইসাইড জোনে পরিণত হয়েছে । বসুন্ধরা পার্কের জলাধারেই ৪-৫ জনের মৃত্যু হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে এখানে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হোক ও নিরাপত্তারক্ষী রাখা হোক । এই বিশাল এলাকায় আলো না থাকায় কোনও বড় অপরাধমূলক ঘটনাও ঘটে যেতে পারে । প্রয়োজনে কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে এই বসুন্ধরা পার্ক তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তারা ৷ বাণিজ্যিক কোনও সংস্থা এই পার্কের দেখভাল করলে পার্কটি আগামী দিনে দুর্গাপুরের মানুষের কাছে অন্যতম প্রধান একটি বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করেন বাসিন্দারা ।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বি.বি রায় বলেন,‘‘ প্রশাসন ভবনের সিজিএম এর সঙ্গে কথা বলছি বিষয়টি নিয়ে ।’’