দুর্গাপুর, ৭ এপ্রিল: মাত্র কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরের জব্বরপল্লির বাসিন্দা এক প্রৌঢ় দুর্ঘটনায় আহত হলে তাঁকে নিয়ে প্রায় ১৩ ঘন্টা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ায় তাঁর পরিবার-পরিজনরা। ১৩ ঘন্টা পরে ওই প্রৌঢ় বিনা চিকিৎসায় মারা যান । প্রৌঢ়ের মৃতদেহ প্রায় ৫ ঘন্টা ফরিদপুর থানার জব্বরপল্লির রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁর প্রতিবেশীরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয় । সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করল দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় (Swasthya Sathi Meeting In Durgapur) ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস, দুর্গাপুর পৌরনিগমের মহানাগরিক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পৌরনিগমের কমিশনার ময়ূরী ভাসূ, মেয়র পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত-সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয় এই জরুরি বৈঠক। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যাতে করে সমস্ত রোগী চিকিৎসা পায়, কোনও রোগীকে না ফেরায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিষয় নিয়েও কড়া বার্তা দেওয়া হয় পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হাসপাতালের বেড মেলেনি, 13 ঘণ্টা ঘুরে প্রৌঢ়ের মৃত্যু
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় থাকা রোগীকে কোনও হাসপাতাল ফেরালে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল কড়া হবে । তারপরেও রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা পাচ্ছে না রোগীরা। একই অভিযোগ আসছিল দুর্গাপুর মহকুমা থেকেও। এই অভিযোগ সামনে আসতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার অভাবে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জব্বরপল্লি এলাকার প্রৌঢ় নির্মল মণ্ডল পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় চলতি মাসের 2 এপ্রিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও হয়নি চিকিৎসা । ৩ তারিখ মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের । স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না পেয়ে এই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর পথ অবরোধ, বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়নি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করেন দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় ।