দুর্গাপুর, 6 ফেব্রুয়ারি : দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে । প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বাইরে থেকে ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছে রোগীদের । হাসপাতালের সুপার জানালেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের ছাড়পত্র না মেলায় কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই ডায়ালিসিস ইউনিট চালানোও যাচ্ছে না । দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এই মূল্যবান যন্ত্রপাতি । কবে চালু হবে এই ডায়ালিসিস ইউনিট? উত্তর নেই কারও কাছেই ।
2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক তহবিলের অর্থ সাহায্যে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট তৈরি হয় । প্রথমদিকে একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই ডায়ালিসিস ইউনিট সাত-আট মাস চলে । কিন্তু এইভাবে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে হাসপাতালে কোনও ইউনিট চালাতে হলে নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য দপ্তরের ছাড়পত্র লাগে । সেই ছাড়পত্র না নিয়েই ডায়ালিসিস ইউনিট চালু হয়ে যায় । যার ফলে পরে আবার তা বন্ধ হয়ে যায় । তারপর থেকে প্রায় দীর্ঘ দু'বছর পেরিয়ে গেলেও এই ডায়ালিসিস ইউনিট আর চালু হয়নি ।
ডায়ালিসিস ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে রোগীরা । প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছে তাঁদের । অথচ সরকারি হাসপাতালে পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে ডায়ালিসিসের অত্যাধুনিক ও দামি যন্ত্রপাতি ।
এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ডায়ালিসিস ইউনিট বন্ধ পরে থাকায় তাঁদের দুর্দশার কথা । ডায়ালিসিস ইউনিটের ঘরের দরজায় আবর্জনা রাখা । দরজার কাচও ভাঙা ঘরটির । ধুলো পরে গেছে দামি যন্ত্রপাতিতে । হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বলেন, "এই ডায়ালিসিস ইউনিট বেসরকারি সংস্থা দিয়ে চালাতে স্বাস্থ্য ভবন থেকে ছাড়পত্র লাগে । তা পাওয়া যায়নি । আমরা জানিয়েছি অনেকবার ।"
যে হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল প্রায় 10 লাখ মানুষ কেন স্বাস্থ্যভবন সব থাকতেও সেই হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটি চালানোর অনুমোদন দিচ্ছে না তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ।