দুর্গাপুর, 30 মার্চ : কোরোনায় আক্রান্ত শেওড়াফুলির বাসিন্দা কয়েকদিন আগে ট্রেনে দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন । সেখানে একটি হোটেলে ছিলেন । পরে ট্রেনেই কলকাতা ফেরেন বলে সূত্রের খবর ।
আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্গাপুরের সাগরভাঙায় একটি বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানায় অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনেরাল ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন ৷ গতমাসে তাঁর প্রোমোশন হয় ৷ পোস্টিং হয় কলকাতা অফিসে ৷ চলতি মাসের 13 তারিখ তিনি দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন ৷ বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় কারখানার একটি ইউনিট রয়েছে ৷ 13 তারিখ দুর্গাপুরের কাজ মিটিয়ে বড়জোড়াতেও গিয়েছিলেন ৷ রাত হয়ে যাওয়ায় সেদিন আর কলকাতা ফেরেননি । ছিলেন দুর্গাপুর স্টেশন রোডের কাছে একটি বেসরকারি হোটেলে ৷ 14 তারিখ ট্রেনে কলকাতা ফেরেন ৷
তাঁর এক আত্মীয় সম্প্রতি বিদেশ থেকে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ 17 তারিখ ওই ব্যক্তির জ্বর হয় ৷ জ্বর নিয়েও কলকাতা অফিসে যাতায়াত করেছেন তিনি ৷
28 মার্চ তাঁকে বেলেঘাটা ID হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত ৷ এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৷ কারণ তিনি ট্রেনে দুর্গাপুর যাওয়া-আসা করেছেন ৷ দুর্গাপুর ও বড়জোড়া অফিসে গিয়েছেন ৷ সেখানে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন ৷ দুর্গাপুরের একটি হোটেলে ছিলেন ৷ জ্বর নিয়ে কলকাতা অফিসেও যাতায়াত করেছেন ৷
এই ক'দিনে কারা কারা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাজ্য সরকারের তরফে তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে ৷ পশ্চিম বর্ধমান জেলার CMOH দেবাশিস হালদার জানান, স্বাস্থ্য ভবন থেকে এখনও সেরকম কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি ৷ যেরকম গাইডলাইন দেওয়া হবে সেভাবে কাজ করা হবে ৷
আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না ৷ আক্রান্তের ভাইয়ের বক্তব্য, "আমিও বুঝতে পারছি না ৷ পরিবারে সকলেই এক সঙ্গেই থাকি একই বাড়িতে । আমাদের বাড়িতে কেউ বিদেশে বা বাইরে কোথাও যাননি । এমনকী দাদাও কোথাও যাননি । তবে দাদা চাকরি করছিলেন দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় । গত জানুয়ারি মাসে ট্রান্সফার হয়ে কলকাতায় আসেন । কেবল 13 তারিখে একটি জরুরি কাজের জন্য দুর্গাপুর অফিসে গিয়েছিলেন । সেদিনটা একটি হোটেলে রাত কাটিয়েছেন । পরদিন ব্ল্যাক ডায়মন্ডে বাড়ি ফিরে আসেন ৷ 15 তারিখে জয়নগরে দেশের বাড়ি যান । রাতে হঠাৎ জ্বর আসে । পর দিন হিন্দ মোটরে এক চিকিৎসকের কাছে যোগাযোগ করে চিকিৎসা করান । লোকাল ট্রেন এবং মেইল ট্রেনে থেকেই হয়তো তিনি আক্রান্ত হতে পারেন । তা ছাড়া অন্য কোন জায়গা থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই নেই ৷ "