ETV Bharat / city

১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে ASP-র গেটে আন্দোলন শ্রমিকদের

PMO থেকে ASP-সহ আরও দুটি কারখানার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের কথা জানানো হয়েছে। আজ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ASP-র গেটের বাইরে আন্দোলনে নামে CITU।

অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট
author img

By

Published : Feb 20, 2019, 3:26 PM IST

দুর্গাপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি : দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে (ASP) কৌশলগত বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই সিদ্ধান্তের পর কোনও সংস্থা দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টকে অধিগ্রহণ করেনি। তা নিয়ে বেশ স্বস্তিতে ছিল শ্রমিকমহল। কয়েকদিন আগে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় PMO থেকে ASP-সহ আরও দুটি কারখানার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের কথা জানানো হয়েছে। আজ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ASP-র গেটের বাইরে আন্দোলনে নামে CITU। যোগ দিয়েছে INTUC-সহ একাধিক শ্রমিক সংগঠন।

এই কারখানায় যাতে বিলগ্নীকরণ না করা হয় তার জন্য CITU, INTUC-সহ আরও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন আসানসোলের BJP সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মাধ্যমে দিল্লিতে ইস্পাত মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন। কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী চৌধুরি বীরেন্দ্র সিং কয়েকমাস আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা পরিদর্শনে আসেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিলগ্নীকরণের প্রশ্নের জবাবে বলেন, "যাতে ASP-কে দুর্গাপুরের অন্য একটি কারখানা DSP-র সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।" ইস্পাতমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে শ্রমিক মহল খানিকটা অক্সিজেন পায়। এবার ASP, সালেম ও ভদ্রাবতী এই তিনটি কারখানার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসায় ফের উত্তপ্ত শ্রমিক সংগঠন।

undefined

কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসেন। কিন্তু তাঁর মুখে কারখানা সংক্রান্ত একটি শব্দও শোনা যায়নি। এনিয়ে শ্রমিকমহলে সমালোচনা শুরু হয়। এবার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের নতুন সিদ্ধান্তে শ্রমিকমহলে চূড়ান্ত অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

দুর্গাপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি : দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে (ASP) কৌশলগত বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই সিদ্ধান্তের পর কোনও সংস্থা দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টকে অধিগ্রহণ করেনি। তা নিয়ে বেশ স্বস্তিতে ছিল শ্রমিকমহল। কয়েকদিন আগে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় PMO থেকে ASP-সহ আরও দুটি কারখানার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের কথা জানানো হয়েছে। আজ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ASP-র গেটের বাইরে আন্দোলনে নামে CITU। যোগ দিয়েছে INTUC-সহ একাধিক শ্রমিক সংগঠন।

এই কারখানায় যাতে বিলগ্নীকরণ না করা হয় তার জন্য CITU, INTUC-সহ আরও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন আসানসোলের BJP সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মাধ্যমে দিল্লিতে ইস্পাত মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন। কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী চৌধুরি বীরেন্দ্র সিং কয়েকমাস আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা পরিদর্শনে আসেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিলগ্নীকরণের প্রশ্নের জবাবে বলেন, "যাতে ASP-কে দুর্গাপুরের অন্য একটি কারখানা DSP-র সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।" ইস্পাতমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে শ্রমিক মহল খানিকটা অক্সিজেন পায়। এবার ASP, সালেম ও ভদ্রাবতী এই তিনটি কারখানার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসায় ফের উত্তপ্ত শ্রমিক সংগঠন।

undefined

কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসেন। কিন্তু তাঁর মুখে কারখানা সংক্রান্ত একটি শব্দও শোনা যায়নি। এনিয়ে শ্রমিকমহলে সমালোচনা শুরু হয়। এবার ১০০ শতাংশ বিলগ্নীকরণের নতুন সিদ্ধান্তে শ্রমিকমহলে চূড়ান্ত অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

Intro:বর্তমান কেন্দ্র সরকারের সময় কালে দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত এএসপি কারখানা কৌশলগত বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সিদ্ধান্তের পরে কোনও সংস্থা দুর্গাপুরের এএসপি(আ্যলয় স্টিল প্ল্যান্ট) কে অধিগ্রহণ এর জন্য ইচ্ছে প্রকাশ না করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল শ্রমিকমহলে।কিন্তু এবার পিএমও দপ্তর থেকে এই রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানা সহ আরো দুটি কারখানার ১০০% বিলগ্নীকরনের কথা একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে ফের আন্দোলন শুরু কারখানার সামনে।বুধবার এই বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এএসপি কারখানার গেটের বাইরে আন্দোলনে "সিটু"।

দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার "" কৌশলগত বিলগ্নীকরন""এর সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই সিটু,আইএনটিইউসি সহ বামপন্থী সমিস্ত শ্রমিক সংগঠন একযোগে এবং রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি এককভাবে কারখানার বিলগ্নীকরন ঠেকাতে আন্দোলন শুরু করে।আইএনটিটিইউসি র পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই মাস এই রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানার গেটের বাইরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।যাতে করে কোনও বেসরকারি সংস্থা এই কারখানা পরিদর্শনে না আসতে পারে তার জন্য দিনরাত পাহারা দেওয়া হয় শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন এর পক্ষ থেকে।আর সেইসময় সিটু,আইএনটিইউসি সহ আরো কয়েকটা শ্রমিক সংগঠন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় র মাধ্যমে দিল্লি তে ইস্পাত মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন এই কারখানা যাতে বিলগ্নীকরন না করা হয় তার জন্য।কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং কয়েকমাস আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিক সন্মেলনে এএসপি কারখানা বিলগ্নীকরন প্রশ্নের জবাবে বলেন "" যাতে করে এএসপি কারখানা কে দুর্গাপুরের অপর একটি কারখানা ডিএসপি র সাথে মার্চ করে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।""ইস্পাতমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে শ্রমিক মহল অক্সিজেন পায়।কিন্তু এবার আবার এএসপি, সালেম ও ভদ্রাবতী এই তিনটি কারখানার ১০০% বিলগ্নীকরন এর সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসায় ফের লড়াই এর প্রস্তুতি শ্রমিক সংগঠনগুলি নিতে শুরু করল।আজ সিটু র পক্ষ থেকে শুরু হোল আন্দোলন। মাত্র কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এলেও তার মুখে কারখানা সংক্রান্ত একটি শব্দও শোনা যায়নি। যা নিয়ে শ্রমিকমহলে সমালোচনা শুরু হয়।তার ওপর এবার এএসপি কারখানাকে ১০০% বিলগ্নীকরন এর যে নয়া সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার পরে এবার শ্রমিকমহলে চুড়ান্ত অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।উল্লেখ্য এর আগের এন ডি এ সরকারের সময়কালে দুর্গাপুরের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।যে ক্ষত আজও মেটেনি।বহু শ্রমিক বেকার হয়ে যায় সেইসময়।তারপর আবার লোকসভা ভোটের আগে এএসপি কারখানার এই ১০০% বিলগ্নীকরন এর সিদ্ধান্তের জেরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হোল।Body:বর্তমান কেন্দ্র সরকারের সময় কালে দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত এএসপি কারখানা কৌশলগত বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সিদ্ধান্তের পরে কোনও সংস্থা দুর্গাপুরের এএসপি(আ্যলয় স্টিল প্ল্যান্ট) কে অধিগ্রহণ এর জন্য ইচ্ছে প্রকাশ না করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল শ্রমিকমহলে।কিন্তু এবার পিএমও দপ্তর থেকে এই রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানা সহ আরো দুটি কারখানার ১০০% বিলগ্নীকরনের কথা একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে ফের আন্দোলন শুরু কারখানার সামনে।বুধবার এই বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এএসপি কারখানার গেটের বাইরে আন্দোলনে "সিটু"।

দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার "" কৌশলগত বিলগ্নীকরন""এর সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই সিটু,আইএনটিইউসি সহ বামপন্থী সমিস্ত শ্রমিক সংগঠন একযোগে এবং রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি এককভাবে কারখানার বিলগ্নীকরন ঠেকাতে আন্দোলন শুরু করে।আইএনটিটিইউসি র পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই মাস এই রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানার গেটের বাইরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।যাতে করে কোনও বেসরকারি সংস্থা এই কারখানা পরিদর্শনে না আসতে পারে তার জন্য দিনরাত পাহারা দেওয়া হয় শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন এর পক্ষ থেকে।আর সেইসময় সিটু,আইএনটিইউসি সহ আরো কয়েকটা শ্রমিক সংগঠন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় র মাধ্যমে দিল্লি তে ইস্পাত মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন এই কারখানা যাতে বিলগ্নীকরন না করা হয় তার জন্য।কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং কয়েকমাস আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিক সন্মেলনে এএসপি কারখানা বিলগ্নীকরন প্রশ্নের জবাবে বলেন "" যাতে করে এএসপি কারখানা কে দুর্গাপুরের অপর একটি কারখানা ডিএসপি র সাথে মার্চ করে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।""ইস্পাতমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে শ্রমিক মহল অক্সিজেন পায়।কিন্তু এবার আবার এএসপি, সালেম ও ভদ্রাবতী এই তিনটি কারখানার ১০০% বিলগ্নীকরন এর সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসায় ফের লড়াই এর প্রস্তুতি শ্রমিক সংগঠনগুলি নিতে শুরু করল।আজ সিটু র পক্ষ থেকে শুরু হোল আন্দোলন। মাত্র কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এলেও তার মুখে কারখানা সংক্রান্ত একটি শব্দও শোনা যায়নি। যা নিয়ে শ্রমিকমহলে সমালোচনা শুরু হয়।তার ওপর এবার এএসপি কারখানাকে ১০০% বিলগ্নীকরন এর যে নয়া সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার পরে এবার শ্রমিকমহলে চুড়ান্ত অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।উল্লেখ্য এর আগের এন ডি এ সরকারের সময়কালে দুর্গাপুরের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।যে ক্ষত আজও মেটেনি।বহু শ্রমিক বেকার হয়ে যায় সেইসময়।তারপর আবার লোকসভা ভোটের আগে এএসপি কারখানার এই ১০০% বিলগ্নীকরন এর সিদ্ধান্তের জেরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হোল।Conclusion:বর্তমান কেন্দ্র সরকারের সময় কালে দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত এএসপি কারখানা কৌশলগত বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সিদ্ধান্তের পরে কোনও সংস্থা দুর্গাপুরের এএসপি(আ্যলয় স্টিল প্ল্যান্ট) কে অধিগ্রহণ এর জন্য ইচ্ছে প্রকাশ না করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল শ্রমিকমহলে।কিন্তু এবার পিএমও দপ্তর থেকে এই রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানা সহ আরো দুটি কারখানার ১০০% বিলগ্নীকরনের কথা একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে ফের আন্দোলন শুরু কারখানার সামনে।বুধবার এই বিলগ্নীকরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এএসপি কারখানার গেটের বাইরে আন্দোলনে "সিটু"।

দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার "" কৌশলগত বিলগ্নীকরন""এর সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই সিটু,আইএনটিইউসি সহ বামপন্থী সমিস্ত শ্রমিক সংগঠন একযোগে এবং রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি এককভাবে কারখানার বিলগ্নীকরন ঠেকাতে আন্দোলন শুরু করে।আইএনটিটিইউসি র পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই মাস এই রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানার গেটের বাইরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।যাতে করে কোনও বেসরকারি সংস্থা এই কারখানা পরিদর্শনে না আসতে পারে তার জন্য দিনরাত পাহারা দেওয়া হয় শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন এর পক্ষ থেকে।আর সেইসময় সিটু,আইএনটিইউসি সহ আরো কয়েকটা শ্রমিক সংগঠন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় র মাধ্যমে দিল্লি তে ইস্পাত মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন এই কারখানা যাতে বিলগ্নীকরন না করা হয় তার জন্য।কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং কয়েকমাস আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিক সন্মেলনে এএসপি কারখানা বিলগ্নীকরন প্রশ্নের জবাবে বলেন "" যাতে করে এএসপি কারখানা কে দুর্গাপুরের অপর একটি কারখানা ডিএসপি র সাথে মার্চ করে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।""ইস্পাতমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে শ্রমিক মহল অক্সিজেন পায়।কিন্তু এবার আবার এএসপি, সালেম ও ভদ্রাবতী এই তিনটি কারখানার ১০০% বিলগ্নীকরন এর সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসায় ফের লড়াই এর প্রস্তুতি শ্রমিক সংগঠনগুলি নিতে শুরু করল।আজ সিটু র পক্ষ থেকে শুরু হোল আন্দোলন। মাত্র কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এলেও তার মুখে কারখানা সংক্রান্ত একটি শব্দও শোনা যায়নি। যা নিয়ে শ্রমিকমহলে সমালোচনা শুরু হয়।তার ওপর এবার এএসপি কারখানাকে ১০০% বিলগ্নীকরন এর যে নয়া সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার পরে এবার শ্রমিকমহলে চুড়ান্ত অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।উল্লেখ্য এর আগের এন ডি এ সরকারের সময়কালে দুর্গাপুরের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।যে ক্ষত আজও মেটেনি।বহু শ্রমিক বেকার হয়ে যায় সেইসময়।তারপর আবার লোকসভা ভোটের আগে এএসপি কারখানার এই ১০০% বিলগ্নীকরন এর সিদ্ধান্তের জেরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হোল।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.