ETV Bharat / city

Vadhu Festival: বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাদু উৎসবকে বাঁচাতে তৎপর কাঁকসার বাগদি সমাজ

অস্তিত্ব সংকটে বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি ভাদু উৎসব ৷ আর সেই ভাদু উৎসবকে বাঁচাতে তৎপর কাঁকসা বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবপুর গ্রামের বাগদি সমাজ ৷ আর তাঁদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত ৷

Bagdi Soceity Take a Foot Step to Protect The Bengals Folklore Vadhu Festival in Kanksa Durgapur
বাংলার লোকসংস্কৃতি ‘ভাদু উৎসব’কে বাঁচাতে তৎপর কাঁকসার বাগদী সমাজ
author img

By

Published : Sep 12, 2021, 5:31 PM IST

দুর্গাপুর, 12 সেপ্টেম্বর : বাংলার লোকশিল্পের অন্যতম একটি ভাদু উৎসব ৷ গ্রামবাংলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব এটি ৷ মূলত পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানের জঙ্গলমহল এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায় গোটা ভাদ্র মাসজুড়ে এই উৎসব পালন করে থাকে ৷ কিন্তু, বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে বাংলার প্রাচীন এই লোকসংস্কৃতি ৷ তাই এই লোকসংস্কৃতিকে বাঁচাতে তৎপর দুর্গাপুরের কাঁকসা বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ শিবপুর গ্রামের বাগদি সমাজ ৷ প্রতিবছর গোটা ভাদ্রজুড়ে নিয়ম মেনে তাঁরা ভাদু উৎসব তথা ভাদু পুজো করেন ৷ আর এই ভাদু উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর ৷

ভাদু উৎসব হল, যেখানে কনে রুপী ভাদুদেবীকে পুজো করেন গ্রামবাসীরা ৷ ভাদুর মূর্তির চারপাশে গোল করে সবাই জড়ো হন এবং চলে ভাদুর বিশেষ গান ও নাচ ৷ এই গান ও নাচ হল ভাদু পুজোর মন্ত্র এবং আচার ৷ যাকে লোকশিল্পের জগতে ভাদু গান বলা হয় ৷ এই ভাদু উৎসব বা পুজোর প্রচলন সম্পর্কে নানা অভিমত রয়েছে ৷ বলা হয় ভাদ্র মাসে এই উৎসব পালিত হয় বলে, একে ভাদু উৎসব বলা হয় ৷ কিন্তু, 1985 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা গেজেটিয়ার পুরুলিয়া গ্রন্থে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভাদু উৎসবের ইতিহাস অন্য কথা বলে ৷

আরও পড়ুন : Dev Saswata: হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর নজরকাড়া ট্রেলার, দেবের প্রশংসায় দরাজ শাশ্বত

মানভূম অঞ্চলের প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, পঞ্চকোট রাজ পরিবারের নীলমণি সিং দেও’র তৃতীয় কন্যা ছিলেন ভদ্রবতী ৷ তাঁর বিয়ের দিন বর এবং বরযাত্রী বিয়ের জন্য রাজবাড়িতে যাওয়া সময় ডাকাতরা হামলা চালায় ৷ ডাকাতদের হাতে খুন হন ভদ্রাবতীর হবু স্বামী ৷ কথিত আছে, মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন ভদ্রাবতী ৷ সেই শোকে তিনি চিতার আগুনে নিজের প্রাণ বিসর্জন করেছিলন ৷ ভদ্রাবতীর এই করুণ পরিণতিকেই গ্রামবাংলার লোকসংস্কৃতিতে ভাদু উৎসব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বলতে গেলে, ভাদু গানে ভদ্রবতীর সেই করুণ পরিণতিকেই তুলে ধরা হয় ৷ যেখানে গ্রামের আদিবাসী গৃহবধূরা ভাদুর মাথায় সিঁদুর দেন ৷ সেই সঙ্গে চাল ও পয়সা দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : Cyber Crime : সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কের নামে ভুয়ো পেজ, টাকা চেয়ে মেসেজ

গ্রামবাংলার প্রাচীন এই ঐতিহ্য আজ সংকটের মুখে ৷ আধুনিকতার বেড়াজালে কোথাও যেন ভাদু উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে ৷ তাই এই বাংলার এই লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর ৷ সরকারিভাবে এই উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস শুরু করেছেন তিনি ৷ আর এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন শিবপুর বাগদি সমাজের লোকজন ৷ প্রতিবারের মতো এবারও কাঁকসার জঙ্গলমহলে ভাদু উৎসব পালিত হচ্ছে ৷ প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের জেরে ভাদু উৎসবের মতো গ্রামবাংলার বহু লোকসংস্কৃতি আজ অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে রয়েছে ৷

দুর্গাপুর, 12 সেপ্টেম্বর : বাংলার লোকশিল্পের অন্যতম একটি ভাদু উৎসব ৷ গ্রামবাংলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব এটি ৷ মূলত পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানের জঙ্গলমহল এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায় গোটা ভাদ্র মাসজুড়ে এই উৎসব পালন করে থাকে ৷ কিন্তু, বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে বাংলার প্রাচীন এই লোকসংস্কৃতি ৷ তাই এই লোকসংস্কৃতিকে বাঁচাতে তৎপর দুর্গাপুরের কাঁকসা বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ শিবপুর গ্রামের বাগদি সমাজ ৷ প্রতিবছর গোটা ভাদ্রজুড়ে নিয়ম মেনে তাঁরা ভাদু উৎসব তথা ভাদু পুজো করেন ৷ আর এই ভাদু উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর ৷

ভাদু উৎসব হল, যেখানে কনে রুপী ভাদুদেবীকে পুজো করেন গ্রামবাসীরা ৷ ভাদুর মূর্তির চারপাশে গোল করে সবাই জড়ো হন এবং চলে ভাদুর বিশেষ গান ও নাচ ৷ এই গান ও নাচ হল ভাদু পুজোর মন্ত্র এবং আচার ৷ যাকে লোকশিল্পের জগতে ভাদু গান বলা হয় ৷ এই ভাদু উৎসব বা পুজোর প্রচলন সম্পর্কে নানা অভিমত রয়েছে ৷ বলা হয় ভাদ্র মাসে এই উৎসব পালিত হয় বলে, একে ভাদু উৎসব বলা হয় ৷ কিন্তু, 1985 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা গেজেটিয়ার পুরুলিয়া গ্রন্থে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভাদু উৎসবের ইতিহাস অন্য কথা বলে ৷

আরও পড়ুন : Dev Saswata: হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর নজরকাড়া ট্রেলার, দেবের প্রশংসায় দরাজ শাশ্বত

মানভূম অঞ্চলের প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, পঞ্চকোট রাজ পরিবারের নীলমণি সিং দেও’র তৃতীয় কন্যা ছিলেন ভদ্রবতী ৷ তাঁর বিয়ের দিন বর এবং বরযাত্রী বিয়ের জন্য রাজবাড়িতে যাওয়া সময় ডাকাতরা হামলা চালায় ৷ ডাকাতদের হাতে খুন হন ভদ্রাবতীর হবু স্বামী ৷ কথিত আছে, মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন ভদ্রাবতী ৷ সেই শোকে তিনি চিতার আগুনে নিজের প্রাণ বিসর্জন করেছিলন ৷ ভদ্রাবতীর এই করুণ পরিণতিকেই গ্রামবাংলার লোকসংস্কৃতিতে ভাদু উৎসব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বলতে গেলে, ভাদু গানে ভদ্রবতীর সেই করুণ পরিণতিকেই তুলে ধরা হয় ৷ যেখানে গ্রামের আদিবাসী গৃহবধূরা ভাদুর মাথায় সিঁদুর দেন ৷ সেই সঙ্গে চাল ও পয়সা দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : Cyber Crime : সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কের নামে ভুয়ো পেজ, টাকা চেয়ে মেসেজ

গ্রামবাংলার প্রাচীন এই ঐতিহ্য আজ সংকটের মুখে ৷ আধুনিকতার বেড়াজালে কোথাও যেন ভাদু উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে ৷ তাই এই বাংলার এই লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর ৷ সরকারিভাবে এই উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস শুরু করেছেন তিনি ৷ আর এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন শিবপুর বাগদি সমাজের লোকজন ৷ প্রতিবারের মতো এবারও কাঁকসার জঙ্গলমহলে ভাদু উৎসব পালিত হচ্ছে ৷ প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের জেরে ভাদু উৎসবের মতো গ্রামবাংলার বহু লোকসংস্কৃতি আজ অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে রয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.