দুর্গাপুর, 10 অগস্ট: আরএসএস (RSS)-এর ছাত্র সংগঠন 'অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ' (Akhil Bharatiya Vidyarthi Parishad) বা এবিভিপি (ABVP)-এর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল দুর্গাপুরে (Durgapur) ৷ এবিভিপি সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি (TMCP)-এর স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা ৷ এই ঘটনায় এবিভিপি-এর অন্তত 15 জন ছাত্র আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে ৷ বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের দেখতে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) ৷
এদিন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনায় সরব হন অগ্নিমিত্রা ৷ তাঁর অভিযোগ, অন্য়ায়ের প্রতিবাদে সামিল হওয়াতেই এবিভিপি-এর কর্মীরা টিএমসিপি-এর সদস্যদের হাতে আক্রান্ত হন ৷ এর জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ দীপঙ্কর লাহাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক ৷ তাঁর দাবি, দীপঙ্কর লাহা এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা নতুন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের অনুগামীরাই এবিভিপি-এর সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছেন ৷
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ দীপঙ্কর ৷ তিনি বলেন, যা ঘটেছে, সেটা অনভিপ্রেত ৷ কোনও পক্ষেরও এভাবে আক্রান্ত হওয়া উচিত নয় ৷ এই ঘটনায় টিএমসিপি-এর কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দীপঙ্কর ৷ পাশাপাশি, তাঁর ইঙ্গিত, এমন ঘটনার জন্য এবিভিপি-ই দায়ী ৷ এই সংঘর্ষের নেপথ্য গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠনের 'উস্কানি'কেই দায়ী করেছেন দীপঙ্কর ৷
এদিকে, বুধবার বিকেলে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই এই ঘটনা নিয়ে সরব হন ৷ তাঁর নেতৃত্বে দলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা মিছিল করে নিউ টাউনশিপ থানায় যান ৷ দোষীদের 24 ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা ৷ বিধায়কের সাফ কথা, এই দাবি যদি না মানা হয় তাহলে দলের তরফ বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে ৷ ঘটনার জেরে এখনও থমথমে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷