দুর্গাপুর, 28 অগাস্ট: কোরোনা পরিস্থিত ও লকডাউনের জেরে কাজ না থাকায় স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমার প্রায় 90 জন অস্থায়ীকর্মীর ৷ মূলত শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে চালু হওয়া সামাজিক সুরক্ষা যোজনাতে সরকার অসংগঠিত শ্রমিকের থেকে প্রতি মাসে 25 টাকা করে সংগ্রহ করত । সেই টাকা সংগ্রহের কাজ করত এই 90 জন অস্থায়ী কর্মী ৷ মাথা পিছু দুই টাকা করে কমিশন পেতেন তারা ৷ কিন্তু কোরোনা পরিস্থিত ও লকডাউনের জেরে মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের সেই টাকা দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেন ৷ তারপর থেকেই কাজ নেই প্রায় 90 জন কর্মীর ৷ এরপরই আজ জেলা শাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ৷
আজ দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের কাছে একটি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানায় তারা । সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রমিকদের সুরক্ষার কারণে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের মাথাপিছু 30 টাকা দিয়ে এবং শ্রমিকদের কাছে মাসিক 25 টাকা নিয়ে প্রতি মাসে তাঁদের 55 টাকা করে জমা হত । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী 2019 সালের এপ্রিল মাসে ঘোষণা করেন শ্রমিকদের কাছ থেকে সেই টাকা নেওয়া যাবে না। এরপরই কাজহীন হয়ে পড়েন দুর্গাপুর মহকুমার প্রায় 90 জন কর্মী ৷
সারা রাজ্যে এই SLO-কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার । তারা প্রত্যেকে শ্রমিকদের কাছ থেকে 25 টাকা আদায় করার কাজ করত ৷ এই কাজের জন্য মাথাপিছু দুই টাকা করে কমিশন পেতেন । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । কোরোনার সময়ে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন । নিশিথ চট্টোপাধ্যায় নামের এক SLO জানান, "আর চালাতে পারছি না । একদিকে লকডাউনের জেরে সব বন্ধ । অন্যদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত । তাই বাধ্য হয়ে আমরা স্বেচ্ছা মৃত্যু চাইছি ।"