বর্ধমান, 19 সেপ্টেম্বর : আউশগ্রামের দেবশালায় প্রাক্তন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল বক্সিকে খুনের ঘটনায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল আউশগ্রাম থানার পুলিশ । ধৃত শেখ শের আলি ও ইমরান কুরেশিকে গতকাল রাতে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ শনিবার ধৃতদের বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হলে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷
গত 7 সেপ্টেম্বর আউশগ্রামের গেরাই গ্রামে একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চঞ্চল এবং তাঁর বাবা ৷ তাঁরা বাইকে ছিলেন ৷ ভাতকুন্ডার জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ফেরার পথে তাঁদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সি । তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের বরাত পাওয়া নিয়েই এই খুন ৷ এবং এই অভিযোগের তির ছিল চঞ্চল-বিরোধী আনাসুরদের দিকে । এরপরই তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আনাসুর-সহ তিনজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয় । পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবশালা পঞ্চায়েতের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আনাসুর, মনির হোসেন ও বিশ্বরূপদের সঙ্গে চঞ্চল বক্সির গন্ডগোল চলছিল । পাশাপাশি চঞ্চল বক্সির তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছিল ৷ তাই সব মিলিয়েই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে ।
এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় পুলিশ মোট আটজন গ্রেফতার হয়েছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, চঞ্চল বক্সিকে খুনের জন্য শের আলি ছিল সুপারি কিলার ৷ তাকে এ কাজের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল । তারপর থেকে দেবশালা এলাকায় যাতায়াত শুরু করেছিল শের আলি । ঘটনার দিন ইমরান কুরেশি বাইক চালাচ্ছিল । সেই বাইকে চেপেই গুলি চালায় শের আলি । শনিবার ধৃত দু'জনকে জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের আটদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।
আরও পড়ুন : Bhatkunda Murder Case : পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে খুনে আটক চার, টেন্ডারের সমস্যার জেরেই খুন ?