ETV Bharat / city

যুবতিকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি চরকি গ্রামে খবর দেয় সন্ধ্যা নামে বছর চব্বিশের যুবতিকে পিটিয়ে মেরে কাটোয়া হাসপাতালে তাঁর দেহ ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।

যুবতিকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা
author img

By

Published : Nov 3, 2019, 10:26 AM IST

কেতুগ্রাম, 3 নভেম্বর : কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চলের খাটুন্দি গ্রামে এক যুবতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃত যুবতির নাম সন্ধ্যা মাঝি (24) । যুবতির মৃত্যুর পর দেহ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।

সন্ধ্যার বাড়ির অভিযোগ, যুবতির স্বামী রবিন মাঝি হরিয়ানায় একটি কারখানায় কাজ করেন । সেখানে অন্য সম্পর্ক রয়েছে তাঁর । সন্ধ্যা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে। এই কারণেই সন্ধ্যাকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এই ঘটনায় বধুর স্বামী রবীন মাঝি,তাঁর ছোটো ভাই ছোটন ও অরবিন্দ মাঝি নামে এক আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ । পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।

সন্ধ্যার আত্মীয়া বুলটি মল্লিকের অভিযোগ, ''আমার ননদ জানতে পারে হরিয়ানাতেও রবিনের সংসার রয়েছে । ননদ যখনই ফোন করত, তখন একটি বাচ্চা ফোন ধরত । হিন্দিতে বলত বাবার ফোন এসেছে । এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আমার ননদকে খুনের হুমকি দিত রবীন । পাশাপাশি এই বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বললে উলটে তাঁরা আমার ননদের উপর অত্যাচার করত ।''

পরিবার সূত্রে খবর, কালীপুজোর দিন চরকি গ্রামে যান রবীন । সন্ধ্যাদেবী ভাইফোঁটার দেওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যান । সন্ধ্যাকে মারধর করা হলে ফের তিনি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চরকি গ্রামে ফিরে আসেন । গত বুধবার সন্ধ্যাদেবীর বাপেরবাড়ির লোকজন তাঁকে খাটুন্দি গ্রামে পৌঁছে দিয়ে আসে । কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি চরকি গ্রামে খবর দেয় সন্ধ্যাকে পিটিয়ে মেরে কাটোয়া হাসপাতালে তাঁর দেহ ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।

শনিবার সকালে হাসপাতালে সন্ধ্যাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজন অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পূর্ব বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস বলেন, মৌখিকভাবে পরিবার অভিযোগ করেছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

কেতুগ্রাম, 3 নভেম্বর : কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চলের খাটুন্দি গ্রামে এক যুবতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃত যুবতির নাম সন্ধ্যা মাঝি (24) । যুবতির মৃত্যুর পর দেহ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।

সন্ধ্যার বাড়ির অভিযোগ, যুবতির স্বামী রবিন মাঝি হরিয়ানায় একটি কারখানায় কাজ করেন । সেখানে অন্য সম্পর্ক রয়েছে তাঁর । সন্ধ্যা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে। এই কারণেই সন্ধ্যাকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এই ঘটনায় বধুর স্বামী রবীন মাঝি,তাঁর ছোটো ভাই ছোটন ও অরবিন্দ মাঝি নামে এক আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ । পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।

সন্ধ্যার আত্মীয়া বুলটি মল্লিকের অভিযোগ, ''আমার ননদ জানতে পারে হরিয়ানাতেও রবিনের সংসার রয়েছে । ননদ যখনই ফোন করত, তখন একটি বাচ্চা ফোন ধরত । হিন্দিতে বলত বাবার ফোন এসেছে । এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আমার ননদকে খুনের হুমকি দিত রবীন । পাশাপাশি এই বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বললে উলটে তাঁরা আমার ননদের উপর অত্যাচার করত ।''

পরিবার সূত্রে খবর, কালীপুজোর দিন চরকি গ্রামে যান রবীন । সন্ধ্যাদেবী ভাইফোঁটার দেওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যান । সন্ধ্যাকে মারধর করা হলে ফের তিনি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চরকি গ্রামে ফিরে আসেন । গত বুধবার সন্ধ্যাদেবীর বাপেরবাড়ির লোকজন তাঁকে খাটুন্দি গ্রামে পৌঁছে দিয়ে আসে । কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি চরকি গ্রামে খবর দেয় সন্ধ্যাকে পিটিয়ে মেরে কাটোয়া হাসপাতালে তাঁর দেহ ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।

শনিবার সকালে হাসপাতালে সন্ধ্যাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজন অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পূর্ব বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস বলেন, মৌখিকভাবে পরিবার অভিযোগ করেছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

Intro:পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

সন্তোষ দাস, কেতুগ্রাম

কেতুগ্রামের পান্ডুগ্রাম অঞ্চলের খাটুন্দি গ্রামে গৃহবধুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃত গৃহবধূর নাম সন্ধ্যা মাঝি (২৪)।
গৃহবধুর মৃত্যুর পর দেহটি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।

সন্ধ্যার বাপের বাড়ির অভিযোগ, সন্ধ্যার স্বামী রবিন মাঝি হরিয়ানায় একটি কারখানায় কাজ করে। সেখানে সে পরকীয়ায় জড়িয়েছে। সেই কথা জানতে পেরে সন্ধ্যা জেনে গিয়েছিল। সে ঘটনার প্রতিবাদ করে। এই কারণেই সন্ধ্যাকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এই ঘটনায় বধুর স্বামী রবীন মাঝি,তাঁর ছোট ভাই ছোটন ও অরবিন্দ মাঝি নামে এক আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ । পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।

মৃতার বউদি বুলটি মল্লিকের অভিযোগ, ‘আমার ননদ জানতে পারে হরিয়ানাতেও রবিনের একটা সংসার রয়েছে । কারন ননদ যখনই ফোন করত তখন একটি বাচ্ছা মেয়ে ফোন ধরত । তারপর হিন্দিতে বলত বাবা ফোন এসেছে । এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আমার ননদকে খুনের হুমকি দিত রবীন । পাশাপাশি এই বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বললে উলটে তাঁরা আমার ননদের উপর অত্যাচার ।’
পরিবার সুত্রে খবর,কালীপুজোর দিন চরকি গ্রামে যায় রবীন । তাঁর কথামত সন্ধ্যাদেবী ভাইফোঁটার দেওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যান । কিন্তু সেখানে মারধর করা হলে ফের তিনি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চরকি গ্রামে ফিরে আসেন ।এরপর গত বুধবার সন্ধ্যাদেবীর বাপেরবাড়ির লোকজন তাঁকে খাটুন্দি গ্রামে পৌঁছে দিয়ে আসে । কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি চরকি গ্রামে খবর দেয় সন্ধ্যাদেবীকে পিটিয়ে মেরে কাটোয়া হাসপাতালে তাঁর দেহটি ফেলে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।
আজ শনিবার সকালে হাসপাতালে সন্ধ্যাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজনের নজরে পড়ে সন্ধ্যাদেবীর স্বামী রবীনসসহ কয়েকজন আড়াল থেকে নজর রাখছে । তখন তাঁরা রবীন মাঝি, তার ভাই ছোটন ও অরবিন্দ মাঝি নামে এই আত্মীয়কে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।
পুর্ব বর্ধমান জেলা(গ্রামীন)অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীন ধ্রুব দাস বলেন, মৌখিকভাবে পরিবারটি অভিযোগ করেছে। কোন লিখিত অভিযোগ তারা পায় নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।Body:পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ Conclusion:পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.