ETV Bharat / city

শিশুর জন্ম রাতে, অথচ মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হল সন্ধ্যায়

পুলিশ জানতে পারে অনুশ্রী সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ একটি শিশুর জন্ম দিয়েছে বলে নার্সিংহোমের তরফে দেখানো হয় ৷ এরপর তার হাতে একটি সদ্যোজাত শিশু তুলে দেওয়া হয়েছিল । অথচ নার্সিংহোমের রেজিস্টারে দেখা যাচ্ছে শিশুটির জন্ম দেখানো হয়েছে রাত্রি সাড়ে দশটার সময় । অনুশ্রী পুলিশকে জানায় সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ তিনি আয়ার কাছ থেকে শিশুটিকে হাতে পান।

aa
ধৃত দম্পতি
author img

By

Published : Dec 14, 2019, 10:38 PM IST

Updated : Dec 15, 2019, 10:43 AM IST

বর্ধমান, 14 ডিসেম্বর: 10 হাজার টাকার বিনিময়ে এক সদ্য়োজাতকে কেনার অভিযোগে গতকাল এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷ আজ সেই ঘটনার নয়া মোড় ৷ নতুন তথ্য হাতে এল পুলিশের ৷ ধৃত তনুশ্রী বিশ্বাস এক রাতের জন্য যে নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন সেই নার্সিংহোম থেকেই শিশুপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত দুই মহিলাকে আটক করল কাটোয়া থানার পুলিশ ৷ শনিবার অনুশ্রীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে আসে। নার্সিংহোমের কর্মী এবং নার্সদের দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । নার্সিংহোমের রেজিস্টার খতিয়ে পুলিশ সেখানে একাধিক গরমিল দেখতে পায় ।

পুলিশ জানতে পারে অনুশ্রী সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ একটি শিশুর জন্ম দিয়েছে বলে নার্সিংহোমের তরফে দেখানো হয় ৷ এরপর তার হাতে একটি সদ্যোজাত শিশু তুলে দেওয়া হয়েছিল । অথচ নার্সিংহোমের রেজিস্টারে দেখা যাচ্ছে শিশুটির জন্ম দেখানো হয়েছে রাত্রি সাড়ে দশটার সময় । অনুশ্রী পুলিশকে জানায় সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ তিনি আয়ার কাছ থেকে শিশুটিকে হাতে পান। দীর্ঘক্ষণ জেরার পরে সেদিন দায়িত্বে থাকা আয়াও জানিয়েছে শিশুটিকে সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ অনুশ্রীর হাতে দিয়েছিল । এরপর সন্ধ্যা সাতটায় ছুটি হয়ে যাওয়ায় সে বাড়ি চলে যায় । যদিও আজ নার্সিংহোমের আয়ারা পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । ঘটনার সঙ্গে জড়িত নার্সিংহোমের এক কর্মী শৈলেন রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পুলিশ জানতে পারে শৈলেনের এক আত্মীয় অনুশ্রীর পাশের বাড়িতে থাকেন । অনুশ্রী তাঁদের বাচ্চা জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ গত জুনে অনুশ্রীকে বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে ভরতি দেখানো হয় । এমনকি তাকে OT-তে নিয়ে গিয়ে বাচ্চার জন্ম হয়েছে বলেও রেজিস্টারে নথিভুক্ত করা হয় । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে অনুশ্রী গত এক বছরে কোনও শিশুর জন্ম দেননি । পুলিশ শিশুর প্রকৃত মায়ের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে।

কাটোয়ার পানুহাটের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস ও অনুশ্রী বিশ্বাস । ১১ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছে । কিন্তু নিঃসন্তান তাঁরা । তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় দাঁইহাটের বাসিন্দা শৈলেন রায়ের। শৈলেন বর্ধমানের জি টি রোডের ওই নার্সিংহোমের টেকনিকাল অ্যাসিস্ট্যান্ট । শৈলেন ওই দম্পতিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । সেই মতো ওই মহিলাকে নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে খাতায়কলমে দেখানো হয় । পরে অনুশ্রী একটি বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যান ৷ কিন্তু, সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের ৷ অন্তঃসত্ত্বা না হওয়ার পরও কী ভাবে জন্ম দিলেন সন্তানের? প্রশ্ন ঘুরতে থাকে স্থানীয়দের মনে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কাটোয়া থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানান ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টাকার বিনিময়ে শিশু কিনেছেন ওই দম্পতি ৷ এরপরেই ওই দম্পতি সহ শৈলেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷

বর্ধমান, 14 ডিসেম্বর: 10 হাজার টাকার বিনিময়ে এক সদ্য়োজাতকে কেনার অভিযোগে গতকাল এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷ আজ সেই ঘটনার নয়া মোড় ৷ নতুন তথ্য হাতে এল পুলিশের ৷ ধৃত তনুশ্রী বিশ্বাস এক রাতের জন্য যে নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন সেই নার্সিংহোম থেকেই শিশুপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত দুই মহিলাকে আটক করল কাটোয়া থানার পুলিশ ৷ শনিবার অনুশ্রীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে আসে। নার্সিংহোমের কর্মী এবং নার্সদের দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । নার্সিংহোমের রেজিস্টার খতিয়ে পুলিশ সেখানে একাধিক গরমিল দেখতে পায় ।

পুলিশ জানতে পারে অনুশ্রী সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ একটি শিশুর জন্ম দিয়েছে বলে নার্সিংহোমের তরফে দেখানো হয় ৷ এরপর তার হাতে একটি সদ্যোজাত শিশু তুলে দেওয়া হয়েছিল । অথচ নার্সিংহোমের রেজিস্টারে দেখা যাচ্ছে শিশুটির জন্ম দেখানো হয়েছে রাত্রি সাড়ে দশটার সময় । অনুশ্রী পুলিশকে জানায় সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ তিনি আয়ার কাছ থেকে শিশুটিকে হাতে পান। দীর্ঘক্ষণ জেরার পরে সেদিন দায়িত্বে থাকা আয়াও জানিয়েছে শিশুটিকে সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ অনুশ্রীর হাতে দিয়েছিল । এরপর সন্ধ্যা সাতটায় ছুটি হয়ে যাওয়ায় সে বাড়ি চলে যায় । যদিও আজ নার্সিংহোমের আয়ারা পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । ঘটনার সঙ্গে জড়িত নার্সিংহোমের এক কর্মী শৈলেন রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পুলিশ জানতে পারে শৈলেনের এক আত্মীয় অনুশ্রীর পাশের বাড়িতে থাকেন । অনুশ্রী তাঁদের বাচ্চা জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ গত জুনে অনুশ্রীকে বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে ভরতি দেখানো হয় । এমনকি তাকে OT-তে নিয়ে গিয়ে বাচ্চার জন্ম হয়েছে বলেও রেজিস্টারে নথিভুক্ত করা হয় । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে অনুশ্রী গত এক বছরে কোনও শিশুর জন্ম দেননি । পুলিশ শিশুর প্রকৃত মায়ের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে।

কাটোয়ার পানুহাটের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস ও অনুশ্রী বিশ্বাস । ১১ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছে । কিন্তু নিঃসন্তান তাঁরা । তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় দাঁইহাটের বাসিন্দা শৈলেন রায়ের। শৈলেন বর্ধমানের জি টি রোডের ওই নার্সিংহোমের টেকনিকাল অ্যাসিস্ট্যান্ট । শৈলেন ওই দম্পতিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । সেই মতো ওই মহিলাকে নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে খাতায়কলমে দেখানো হয় । পরে অনুশ্রী একটি বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যান ৷ কিন্তু, সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের ৷ অন্তঃসত্ত্বা না হওয়ার পরও কী ভাবে জন্ম দিলেন সন্তানের? প্রশ্ন ঘুরতে থাকে স্থানীয়দের মনে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কাটোয়া থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানান ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টাকার বিনিময়ে শিশু কিনেছেন ওই দম্পতি ৷ এরপরেই ওই দম্পতি সহ শৈলেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷

Intro:বর্ধমানে শিশু পাচার কান্ড

শিশুর জন্ম দেখানো হয়েছে রাত সাড়ে দশটায়, শিশুর মায়ের হাতে বাচ্ছা তুলে দেওয়া হয় সন্ধে ছটায়!


সন্তোষ দাস, বর্ধমান

নার্সিংহোমে শিশু পাচার কান্ড দুই মহিলাকে আটক করল কাটোয়া থানার পুলিশ। শনিবার ধৃত অনুশ্রী বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বর্ধমানের লাইফ লাইন নার্সিংহোমে আসে। এরপর নার্সিংহোমের কর্মী এবং নার্সদের প্রায় দীর্ঘক্ষন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নার্সিংহোমে রেজিস্টার ঘাঁটতে গিয়ে পুলিশ সেখানে একাধিক গরমিল দেখতে পায়। পুলিশ জানতে পারে অনুশ্রী বিশ্বাস নামে ওই মহিলা সন্ধ্যে ছটা নাগাদ একটি শিশু জন্ম দিয়েছে বলে তার হাতে একটি সদ্যোজাত শিশুকে তুলে দেওয়া হয়। অথচ নার্সিংহোমের রেজিস্টার দেখা যাচ্ছে শিশুটির জন্ম দেখানো হয়েছে রাত্রি সাড়ে দশটার সময়। ধৃত মহিলা অনুশ্রী বিশ্বাস পুলিশকে জানায় সন্ধ্যে ছটা নাগাদ তিনি আয়ার কাছ থেকে শিশুটিকে হাতে পায়। দীর্ঘক্ষণ জেরার পরে সেদিন দায়িত্বে থাকা আয়াও জানিয়েছে শিশুটিকে সন্ধে ছটা নাগাদ তিনি ওই মহিলাকে হাতে দিয়েছিলেন। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় ছুটি হয়ে যাওয়ায় তিনি বাড়ি চলে যান। যদিও এদিন নার্সিংহোমের আয়ারা পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে। পুলিশ জানতে পেরেছে শৈলেন রায় নামে যে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার এক আত্মীয় অনুশ্রী বিশ্বাসের পাশের বাড়িতে থাকেন। অনুশ্রী বিশ্বাস তাদের বাচ্চা জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলাতে শৈলেন রায়ের আত্মীয় অনুশ্রী বিশ্বাস কে বাচ্চা নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিতে থাকে। এরপর গত জুন মাসে তাকে বর্ধমানের লাইফলাইন নার্সিং হোমে ভর্তি দেখানো হয়। এমনকি তাকে ওটিতে নিয়ে গিয়ে বাচ্চার জন্ম হয়েছে বলে রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই অনুশ্রী বিশ্বাস মহিলাকে মেডিকেল চেকআপ করানো হয়েছে সেখান থেকে জানা গেছে গত এক বছরে ওই মহিলা কোন শিশুর জন্ম দেয়নি। পুলিশ শিশুর প্রকৃত মায়ের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাটোয়ার পানুহাটের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস ও অনুশ্রী বিশ্বাস। ১১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তারা নিঃসন্তান হওয়ায় বাচ্ছার খোঁজ করছিল। তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় দাঁইহাটের বাসিন্দা শৈলেন রায়ের। শৈলেন বর্ধমানের জিটি রোডের লাইফ লাইন নার্সিংহোমের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। শৈলেন ওই দম্পতিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাচ্ছা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই মতো ওই মহিলাকে নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে খাতায়কলমে দেখানো হয়। পরে ওই মহিলা একটি বাচ্ছা নিয়ে বাড়ি যায়।Body:বর্ধমানে শিশু পাচার কান্ড

শিশুর জন্ম দেখানো হয়েছে রাত সাড়ে দশটায়, শিশুর মায়ের হাতে বাচ্ছা তুলে দেওয়া হয় সন্ধে ছটায়! Conclusion:বর্ধমানে শিশু পাচার কান্ড

শিশুর জন্ম দেখানো হয়েছে রাত সাড়ে দশটায়, শিশুর মায়ের হাতে বাচ্ছা তুলে দেওয়া হয় সন্ধে ছটায়!
Last Updated : Dec 15, 2019, 10:43 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.