ETV Bharat / city

মা দুর্গার পাশে চায়ের দোকানের ছোট্ট গণশা, অসুর শিশুশ্রম - দুর্গাপুজো

''গণশা দুটো চা দিয়ে যা । ওই দিকের বেঞ্চে তাড়াতাড়ি চারটে লাল চা ।'' ছোট্ট গণশা খদ্দের সামলাতে ব্যস্ত । থিমে শিশুশ্রম উঠে এসেছে ৷

মা দুর্গার পাশে চায়ের দোকানের ছোট্ট গণশা
author img

By

Published : Oct 5, 2019, 6:50 PM IST

Updated : Oct 5, 2019, 9:44 PM IST

বর্ধমান: সকাল হতে না হতেই চায়ের দোকানে বিশুদার চায়ের দোকানে ভিড় উপচে পড়ে । শুরু হয় যায় বিশুদার হাঁকডাক । গণশা দুটো চা দিয়ে যা । ওই দিকের বেঞ্চে তাড়াতাড়ি চারটে লাল চা । ছোট্ট গণশা খদ্দের সামলাতে ব্যস্ত । রাতে বিছানায় শুতে না যাওয়া পর্যন্ত তার বিশ্রাম নেই । এরই মধ্যে চলে এসেছে দুর্গাপুজো । গণশা জানে পুজো আসছে কিন্তু দুর্গা পুজো সে কখনও দেখেনি । তাকে চায়ের দোকানে তো ছুটি দেওয়া হয় না । এরকমই অষ্টমীর দিন এক সকালে কাজের ফাঁকে চায়ের কেটলি হাতে নিয়ে গণশা পাশের পূজামণ্ডপে হাজির । অবাক চোখে মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে থাকে । এই শিশুশ্রমের থিমই উঠে এসেছে বর্ধমানের পুজোতে ৷ ইচলাবাদের কিরণ সংঘের ভাবনায় অভিনবত্ব ৷ গণশার চোখে মা দুর্গা ৷ প্রতীকী শিশুশ্রমিক গণশা ৷

image
শিশুশ্রম কীভাবে শৈশবকে সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে তা মণ্ডপের ভাবনায় তুলে ধরেছেন পুজো উদ্যোক্তারা ।

উদ্যোক্তা বলেন, ''মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে গণশা ভাবতে থাকে তাহলে এটাই তার মা । মা-বাবাকে কোনদিন চোখে দেখেনি গণশা । পাড়ার লোকেরা অনাথ শিশুটিকে চায়ের দোকানে কাজ করতে দিয়ে যায় । সেই থেকে দোকান সামলাতে ব্যস্ত সে । মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে তন্ময় হয়ে পড়ে সে । লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক সবাইকে দেখার পরে সে জানতে পারে ইঁদুর বাহনকে নিয়ে গণেশ বসে আছে । নিজের নামের সঙ্গে মিল থাকায় গণেশকে ভালো করে লক্ষ্য করে আর তখনই আনমনে গণেশের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে কল্পনা করতে থাকে মায়ের কাছে বসে আছে সে ।''

image
দুর্গার দিকে তাকিয়ে তন্ময় হয়ে পড়ে সে

বর্ধমান শহরে ইচলাবাদের কিরণ সংঘের থিম গণশার চোখে মা দুর্গা । শিশুশ্রম কীভাবে শৈশবকে সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে তা মণ্ডপের ভাবনায় তুলে ধরেছেন পুজো উদ্যোক্তারা । চায়ের দোকানের উপকরণ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ ৷এখানে অসুর বধ বলতে শিশুশ্রম বধ করার কথা বলা হয়েছে ৷

মা-বাবাকে কোনদিন চোখে দেখেনি গণশা ।

বর্ধমান: সকাল হতে না হতেই চায়ের দোকানে বিশুদার চায়ের দোকানে ভিড় উপচে পড়ে । শুরু হয় যায় বিশুদার হাঁকডাক । গণশা দুটো চা দিয়ে যা । ওই দিকের বেঞ্চে তাড়াতাড়ি চারটে লাল চা । ছোট্ট গণশা খদ্দের সামলাতে ব্যস্ত । রাতে বিছানায় শুতে না যাওয়া পর্যন্ত তার বিশ্রাম নেই । এরই মধ্যে চলে এসেছে দুর্গাপুজো । গণশা জানে পুজো আসছে কিন্তু দুর্গা পুজো সে কখনও দেখেনি । তাকে চায়ের দোকানে তো ছুটি দেওয়া হয় না । এরকমই অষ্টমীর দিন এক সকালে কাজের ফাঁকে চায়ের কেটলি হাতে নিয়ে গণশা পাশের পূজামণ্ডপে হাজির । অবাক চোখে মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে থাকে । এই শিশুশ্রমের থিমই উঠে এসেছে বর্ধমানের পুজোতে ৷ ইচলাবাদের কিরণ সংঘের ভাবনায় অভিনবত্ব ৷ গণশার চোখে মা দুর্গা ৷ প্রতীকী শিশুশ্রমিক গণশা ৷

image
শিশুশ্রম কীভাবে শৈশবকে সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে তা মণ্ডপের ভাবনায় তুলে ধরেছেন পুজো উদ্যোক্তারা ।

উদ্যোক্তা বলেন, ''মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে গণশা ভাবতে থাকে তাহলে এটাই তার মা । মা-বাবাকে কোনদিন চোখে দেখেনি গণশা । পাড়ার লোকেরা অনাথ শিশুটিকে চায়ের দোকানে কাজ করতে দিয়ে যায় । সেই থেকে দোকান সামলাতে ব্যস্ত সে । মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে তন্ময় হয়ে পড়ে সে । লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক সবাইকে দেখার পরে সে জানতে পারে ইঁদুর বাহনকে নিয়ে গণেশ বসে আছে । নিজের নামের সঙ্গে মিল থাকায় গণেশকে ভালো করে লক্ষ্য করে আর তখনই আনমনে গণেশের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে কল্পনা করতে থাকে মায়ের কাছে বসে আছে সে ।''

image
দুর্গার দিকে তাকিয়ে তন্ময় হয়ে পড়ে সে

বর্ধমান শহরে ইচলাবাদের কিরণ সংঘের থিম গণশার চোখে মা দুর্গা । শিশুশ্রম কীভাবে শৈশবকে সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে তা মণ্ডপের ভাবনায় তুলে ধরেছেন পুজো উদ্যোক্তারা । চায়ের দোকানের উপকরণ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ ৷এখানে অসুর বধ বলতে শিশুশ্রম বধ করার কথা বলা হয়েছে ৷

মা-বাবাকে কোনদিন চোখে দেখেনি গণশা ।
Intro:মা দুর্গার কাছে গণেশ নয় আছে চায়ের দোকানের ছোট্ট গণশা

পুলক যশ ,বর্ধমান

সকাল হতে না হতেই চায়ের দোকানে বিশুদার চায়ের দোকানে ভিড় উপচে পড়ে । শুরু হয় যায় বিশুদার হাঁকডাক। গণশা দুটো চা দিয়ে যা।ঐদিকের বেঞ্চে তাড়াতাড়ি চারখানা লাল চা। ছোট্ট গণসা বাচ্চা কান সজাগ রেখে একবার এদিক একবার ওদিক করে খদ্দের সামলাতে ব্যস্ত ।রাতে বিছানায় শুতে না যাওয়া পর্যন্ত তার বিশ্রাম নেই ।এরই মধ্যে চলে এসেছে দুর্গাপুজো। গনশা জানে পুজো আসছে কিন্তু দুর্গা পূজা কি রকম হয় সেটা সে কোনদিন দেখেনি ।আসলে তাকে চায়ের দোকানে তো ছুটি দেওয়া হয় না। এরকমই অষ্টমীর দিন এক সকালে কাজের ফাঁকে চায়ের কেটলি হাতে নিয়ে গণশা পাশের একটা পূজামণ্ডপে হাজির হয়। অবাক চোখে মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে থাকে। সবাই তখন মা মা বলে প্রণাম করতে ব্যস্ত ,গণশার কানে সেই কথা যায়।


Body:মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে গণশা ভাবতে থাকে তাহলে এটাই তার মা ।আসলে জন্ম থেকেই মা-বাবাকে কোনদিন চোখে দেখেনি গণশা। পাড়ার লোকেরা অনাথ শিশুটিকে চায়ের দোকানে কাজ করতে দিয়ে যায়। সেই থেকে গণশা চায়ের সামলাতে ব্যস্ত। মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে তন্ময় হয়ে পড়ে গণশা। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক সবাইকে দেখার পরে সে জানতে পারে ইঁদুর বাহনকে নিয়ে শুঁড়ওয়ালা গণেশ বসে আছে ।নিজের নামের সঙ্গে মিল থাকায় গণেশ কে ভালো করে লক্ষ্য করে আর তখনই আনমনে গণেশের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে কল্পনা করতে থাকে মায়ের কাছে বসে আছে ।



Conclusion:
দৃশ্যটা নিছক কাল্পনিক নয়। বর্ধমান শহরে ইচলাবাদের কিরণ সংঘের থিম গনশার চোখে মা দুর্গা । শিশুশ্রম কিভাবে শৈশবকে সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে তা মন্ডপের প্রতিটি কোনায় কোনায় ফুটিয়ে তুলেছে পুজো উদ্যোক্তারা । চায়ের দোকানের পঁচিশটা উপকরণ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ এবং মা দুর্গার সঙ্গে গনেশকে না রেখে সেই জায়গা বসানো হয়েছে গণশা কে। আর এখানে অসুর বধ মা দুর্গা করেনি। অসুরকে বধ করে গণশা বার্তা দিতে চায় সমাজ থেকে যাতে শিশু শ্রমিক দূর হয়ে যায়।
Last Updated : Oct 5, 2019, 9:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.