কালনা, 7 অগাস্ট : কালনায় এক যুবতিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কালনার নিচু ঝাপোট এলাকায় ৷ মৃতার নাম পায়েল হালদার । বয়স 28 বছর ।
10 বছর আগে কালনার বড়ঘড়ি এলাকার বাসিন্দা পলাশ হালদারের মেয়ে পায়েল হালদারের বিয়ে হয় কালনার এক বেকারি ব্যবসায়ী অভিজিৎ বর্মণের সঙ্গে। তাদের 8 বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।
কয়েকদিন আগে পায়েল তাঁর পরিবারের কয়েকজনের সাথে একটি রেস্তরাঁয় খেতে যান। সেখানে পায়েলের ছোটোবেলার কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়। পায়েল পরিবারের লোকজন ও বন্ধুদের নিয়ে ছবি তোলেন । সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন । পরে পায়েলের স্বামী অভিজিৎ বর্মণ এই ছবি দেখতে পেলে আপত্তি জানায়। বন্ধুদের মধ্যে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করেই পায়েল অভিজিৎ- এর মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। তার জেরেই অভিজিৎ পায়েলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে পায়েলের বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ।
পায়েলের মা বলেন, বুধবার রাত আটটা নাগাদ পায়েলের শ্বশুরবাড়ির এলাকার প্রতিবেশী তাঁকে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান । তড়িঘড়ি তাঁরা পায়েলের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে শ্বশুরবাড়ির বাথরুমে পায়েলের অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পান । পরে তাঁরা কালনা থানায় পায়েলের স্বামী অভিজিৎ বর্মণ, শাশুড়ি ও অন্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান । অভিযোগের ভিত্তিতে কালনা থানার পুলিশ শাশুড়িকে আটক করেছে। মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ বর্মণ পলাতক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা হাসপাতালে পাঠায় । সেখান থেকে পরে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় । সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ।