বহরমপুর, 2 এপ্রিল: "শক্তিপুরের BDO পঞ্চায়েত প্রধানদের বলছেন যেভাবে হোক তৃণমূলকে জেতাতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকও তৃণমূলের নির্দেশ মেনে চলছেন। কারণ তাঁর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।" আজ বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। তিনি জানান, শক্তিপুরের BDO-র বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ জানাবেন।
অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, "সুনীল গুপ্তার পরিবর্তে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদে যাঁকে আনা হয়েছে সেই আফতাব সাহেবও একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাঁর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফোন করলেও উত্তর দিচ্ছেন না। আফতাব সাহেব তৃণমূল পার্টির নির্দেশ-আদেশ মেনে কাজ করছেন।" তিনি আরও বলেন "পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো গায়ের জোর এবার আর প্রয়োগ করা যাবে না। তাই এখন থেকেই প্রশাসকরা পঞ্চায়েত প্রধানদের নানা রকম সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখাচ্ছে।" তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের মিছিলে কেউ এলে তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে কেন তাঁরা মিছিলে হেঁটেছেন। পুলিশ-প্রশাসনের অনেকেই তৃণমূলের চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এই অবস্থায় রাজ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের অধীরবাবুর বার্তা, "আমরা মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েতের পুনারবৃত্তি হতে দেব না। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার তিনটি আসনেই তারা কংগ্রেসকে জয়ী করবে। জেলায় 2004, 2009-এর মতো তিনে তিন কংগ্রেস আবার জিতবে।"