ETV Bharat / city

শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী যুবতী, খুনের অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে - আসানসোল

বছর তিনেক আগে সৌমেনের বিয়ে হয় । শম্পার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য চাপ দিতে সৌমেন ।

Asansol death
যুবতীকে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে
author img

By

Published : Jun 11, 2020, 8:23 PM IST

আসানসোল, 11 জুন : শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার যুবতী ঝুলন্ত দেহ । সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর এলাকার ঘটনা । মৃতের নাম শম্পা ঘটক (২৯) । গতকাল রাতে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয় । মৃতের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁঁদের মেয়েকে । ঘটনায় সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ময়নাতদন্তের পর ওই মহিলার দেহ তাঁঁর বাপের বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । ঘটনার পর থেকে মহিলার স্বামী পলাতক ।

চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর শম্পার সঙ্গে রূপনারায়ণপুরের সৌমেন ঘটকের বিয়ে হয়েছিল । তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় তাঁঁদের । তাদের এক বছরের সন্তান আছে । শম্পার বাবা বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অশান্তি করত । স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়ের উপর অত্যাচার অত্যাচার করত ।” তিনি আরও বলেন, “আমি সব সময় ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করতাম । আমার অবসরের পর মেয়েকে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত জামাই । জামাইয়ের একটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন ছিল । সেটা নতুন করে তৈরি করতে ওই পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানায় । কিন্তু আমি ওই টাকা দিতে পারিনি ।”

বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, তারপর থেকে শম্পার উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায় ।গতকাল রাতে তাঁঁদের কাছে শম্পার মৃত্যুর খবর যায় । কিন্তু তাঁঁরা পৌঁছনোর আগে শম্পার স্বামী, শাশুড়ি ও আরেক আত্মীয় দেহ নিয়ে চলে যায় থানায় । বিশ্বনাথবাবু জানান, "থানায় গিয়ে আমরা দেখি মেয়ের গালে-হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । আমি নিশ্চিত আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে ।"

মৃতের বাপের বাড়ির তরফে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক । পুলিশ মৃতের শাশুড়ি এবং আত্মীয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ।

আসানসোল, 11 জুন : শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার যুবতী ঝুলন্ত দেহ । সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর এলাকার ঘটনা । মৃতের নাম শম্পা ঘটক (২৯) । গতকাল রাতে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয় । মৃতের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁঁদের মেয়েকে । ঘটনায় সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ময়নাতদন্তের পর ওই মহিলার দেহ তাঁঁর বাপের বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । ঘটনার পর থেকে মহিলার স্বামী পলাতক ।

চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর শম্পার সঙ্গে রূপনারায়ণপুরের সৌমেন ঘটকের বিয়ে হয়েছিল । তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় তাঁঁদের । তাদের এক বছরের সন্তান আছে । শম্পার বাবা বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অশান্তি করত । স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়ের উপর অত্যাচার অত্যাচার করত ।” তিনি আরও বলেন, “আমি সব সময় ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করতাম । আমার অবসরের পর মেয়েকে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত জামাই । জামাইয়ের একটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন ছিল । সেটা নতুন করে তৈরি করতে ওই পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানায় । কিন্তু আমি ওই টাকা দিতে পারিনি ।”

বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, তারপর থেকে শম্পার উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায় ।গতকাল রাতে তাঁঁদের কাছে শম্পার মৃত্যুর খবর যায় । কিন্তু তাঁঁরা পৌঁছনোর আগে শম্পার স্বামী, শাশুড়ি ও আরেক আত্মীয় দেহ নিয়ে চলে যায় থানায় । বিশ্বনাথবাবু জানান, "থানায় গিয়ে আমরা দেখি মেয়ের গালে-হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । আমি নিশ্চিত আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে ।"

মৃতের বাপের বাড়ির তরফে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক । পুলিশ মৃতের শাশুড়ি এবং আত্মীয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.