আসানসোল, 26 ডিসেম্বর : এসেছিল শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ৷ কিন্তু বেড়াতে এসে দেখে চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য ৷ দেখার পর থেমে থাকতে পরেনি ৷ নিজেরাই মাঠে নেমে পড়ে ৷ সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট পর্যটনস্থানের সমস্ত প্লাস্টিক বর্জ্য ৷ তাদের দেখে হাতে হাত মিলিয়ে প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়ানোর কাজ শুরু করেন অন্যান্য পর্যটকরাও ৷
গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনে শিক্ষামূলক ভ্রমণে এসেছিল নদিয়ার গাংনাপুর স্কুলের 50 জন ছাত্র-ছাত্রীসহ দু'জন শিক্ষক ৷ কিন্তু বেড়াতে এসে তারা চোখে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট, থার্মোকলের প্লেটসহ অন্যান্য প্লাস্টিক বর্জ্য ৷ সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই এলাকাকে প্লাস্টিক দূষণ মুক্ত করতে নেমে পড়ে ৷ এক এক করে সংগ্রহ করে এলাকার সমস্ত প্লাস্টিক বর্জ্য ৷ সেই সঙ্গে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে চালায় সচেতনতা অভিযান ৷
গাংনাপুর স্কুলের এক শিক্ষক দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণে এসেছিলেন । প্রথমে মাইথন এবং তারপরে শান্তিনিকেতন যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে । মাইথনের মত পর্যটনস্থানে প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে ভ্রমণের পাশাপাশি পরিবেশকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে সচেতনতা অভিযান চালাবেন ৷ উদ্দেশ্য, অন্যান্য পর্যটকরাও যেন ভাবেন বিষয়টি নিয়ে ৷ প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ করেন ৷ ওই স্কুলেরই এক ছাত্রী লাবণী ঘোষ বলেন, পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেই তাদের এই সচেতনতা অভিযান ৷
ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগ দেখে অনেক পর্যটক এগিয়ে আসেন ৷ তাঁরাও প্লাস্টিক বর্জ্য সাফাইয়ের কাজে হাত লাগান ৷ বর্ধমান থেকে এসেছিলেন মনোজ ঘোষ । তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের দেখে নিজেও প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন ৷ বলেন, "ছাত্রদের উদ্যোগ দেখে মনে হল আমারও এই কাজে এগিয়ে আসা দরকার ৷ দেশ প্লাস্টিকমুক্ত হওয়া দরকার ৷ সে'জন্য আমিও এই কাজে হাত লাগালাম ৷ "