ETV Bharat / city

সকাল পর্যন্ত প্রার্থী হওয়ার কথা, বিকেলে অন্যের নামে দেওয়াল লিখন !

জিতেন্দ্র তেওয়ারি নয়। আসানসোলে প্রার্থী হচ্ছেন মুনমুন সেন।

দেওয়ালে জিতেন্দ্র তেওয়ারি নাম লিখছেন মুনমুন সেনের
author img

By

Published : Mar 13, 2019, 4:50 AM IST

আসানসোল, ১৩ মার্চ: সকাল পর্যন্ত অনেকে জানতেন তিনি প্রার্থী হবেন। বিকেলে তিনিই অন্যের নামে দেওয়াল লিখলেন। তিনি আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলে প্রার্থী হিসেবে মুনমুন সেনের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

জল্পনা ছিল। রানিগঞ্জে পীর বাবার মাজারে চাদর চড়াতে গিয়েছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখনই তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন রানিগঞ্জের মানুষ। গতকাল সকালেও জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘাগরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন। দুপুর যত গড়িয়েছে ততই আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। শেষে কর্ণেল দীপ্তাংশ চৌধুরি এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম বারবার শোনা যাচ্ছিল। বাবুলকে টেক্কা দিতে পারেন শুধু জিতেন্দ্র, এই প্রচার আসানসোলে হামেশাই হয়। কারণ বাবুলের সঙ্গে সবচেয়ে বেশী দ্বন্দ্ব হয়েছে জিতেন্দ্র-র। কিন্তু ঠিক বিকেল পৌনে চারটা। আসানসোলের প্রার্থী হিসেবে মুনমুন সেনের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী।

অনেকেই বলছেন, BJP-কে আসনটি ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হল। ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। টুইট করেছেন তিনি। যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ব্যক্তি জিতেন্দ্র তিওয়ারি কিছুই না। আসানসোলে যা কাজ করেছেন সেই কাজ করার সুযোগ তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ থাকলে তিনিও তাই করতেন। ভালো কাজের সুফল দল পাবে। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষের প্রিয় মুনমুন সেন। নিশ্চয় জয় আসবে।

আসানসোল, ১৩ মার্চ: সকাল পর্যন্ত অনেকে জানতেন তিনি প্রার্থী হবেন। বিকেলে তিনিই অন্যের নামে দেওয়াল লিখলেন। তিনি আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলে প্রার্থী হিসেবে মুনমুন সেনের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

জল্পনা ছিল। রানিগঞ্জে পীর বাবার মাজারে চাদর চড়াতে গিয়েছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখনই তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন রানিগঞ্জের মানুষ। গতকাল সকালেও জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘাগরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন। দুপুর যত গড়িয়েছে ততই আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। শেষে কর্ণেল দীপ্তাংশ চৌধুরি এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম বারবার শোনা যাচ্ছিল। বাবুলকে টেক্কা দিতে পারেন শুধু জিতেন্দ্র, এই প্রচার আসানসোলে হামেশাই হয়। কারণ বাবুলের সঙ্গে সবচেয়ে বেশী দ্বন্দ্ব হয়েছে জিতেন্দ্র-র। কিন্তু ঠিক বিকেল পৌনে চারটা। আসানসোলের প্রার্থী হিসেবে মুনমুন সেনের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী।

অনেকেই বলছেন, BJP-কে আসনটি ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হল। ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। টুইট করেছেন তিনি। যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ব্যক্তি জিতেন্দ্র তিওয়ারি কিছুই না। আসানসোলে যা কাজ করেছেন সেই কাজ করার সুযোগ তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ থাকলে তিনিও তাই করতেন। ভালো কাজের সুফল দল পাবে। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষের প্রিয় মুনমুন সেন। নিশ্চয় জয় আসবে।

Intro:নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ও প্রকাশিত হয়েছে।এবার লড়াইয়ে নামার পালা ।প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিজের নিজের লড়াই এর কৌশল তৈরি করতে ব্যস্ত। পিছিয়ে নেই বামেরাও। মাটি হারিয়ে গেছে বলে যাদের কটাক্ষ করা হয় এবার তারাই মাটি কামড়ে লড়াইয়ে নামতে চলেছে। দলের প্রধান হাতিয়ার সাংস্কৃতিক যোদ্ধাদের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার জন্য প্রশিক্ষিত করছে CPI(M)।


Body:অতীতে যে কোন নির্বাচনে, নির্বাচনী প্রচারে বামেদের পথনাটক বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। নাটকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের বক্তব্যকে নিয়ে যেত বামেরা। সেই নাটকে থাকত বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তীব্র কটাক্ষ ও ব্যঙ্গ। তবে শুধু নাটক নয়, গান, কবিতা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে ভোট প্রচারে নামত বামেরা।
এবার লোকসভা নির্বাচনে আবার সেই পুরোনো চিত্র। ক্ষমতা হারানোর গ্লানি ছেড়ে বামেরা আবার উজ্জীবিত হয়ে পথে নামবে। আর তাই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে নিজেদের সাংস্কৃতিক কর্মীদের ইতিমধ্যেই তৈরি করতে নেমেছে CPI(M)।
রানীগঞ্জে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার গণনাট্য সংঘের কর্মীদের নিয়ে হয়ে গেল বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। একেবারে গোপন ভাবে নিজেদের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার জন্য প্রশিক্ষিত করল CPI(M)।
কলকাতা থেকে নাটক এবং গানের প্রশিক্ষক নিয়ে এসে রীতিমত সারাদিন ধরে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলে। এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিল্পীরা নিজের নিজের এলাকায় ফিরে যাবেন। লেখা হবে নাটক, গান। সেই নাটক, গান দ্রুততার সঙ্গে রপ্ত করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবে বামেরা।
গণনাট্য সংঘের সংস্কৃতিকর্মী অভিজিৎ ঘোষ জানালেন "গণনাট্যের একটি রাজনৈতিক অভিমুখ আছে। এবং সেই দিশা থেকেই নতুনদের উদ্বুদ্ধ করে, প্রশিক্ষিত করে নির্বাচনী লড়াইয়ে সাংস্কৃতিক মাধ্যমে তাদের নিয়ে আসা এই কর্মশালার উদ্দেশ্য ।"
কলকাতা থেকে আগত প্রশিক্ষক পীযূষ সরকার জানালেন "এই কর্মশালার মাধ্যমে শিল্পীরা প্রশিক্ষিত হবেন। পথনাটক আরো ভালো হবে। মানুষের কাছে আমাদের বক্তব্য আরো বেশি বেশি করে পৌঁছাতে পারবো আমরা।"


Conclusion:কথাতেই আছে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সংস্কৃতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আর তাই সাংস্কৃতিক নৌকোকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে CPI(M), এই ভোট বৈতরণী পার করার জন্য।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.