আসানসোল, 7 এপ্রিলঃ কন্যাপুর শিল্পতালুকের বন্ধ কারখানার ভিতর থেকেই মদ বিক্রি হচ্ছে। এলাকার কিছু লোক নাকি সেখান থেকেই দেশই মদ কিনে আনছেন। আর এই অভিযোগ পেয়েই আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ পৌঁছাল ঘটনাস্থানে। বাজেয়াপ্ত মদ নষ্ট করতে গিয়ে পুলিশের চোখ চড়কগাছ। 2017 সালের মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলা মদ বিক্রি হচ্ছে ঢালাও ভাবে। এই মদ পান করলে মানুষের মৃত্যুরও সম্ভাবনা আছে।
আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর এলাকায় যে শিল্পতালুক গড়ে উঠেছিল, সেখানে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ পড়ে আছে। দিনের আলোতেও যেখানে ঢুকতে সাধারণ মানুষ ভয় পায়। আর সেই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে লকডাউনে চলছে দেদার মদ বিক্রি। কারখানার ভিতরে পাঁচিলের ওপার থেকে চলছে মদ বিক্রি। এ পাশে মদ কিনছে লোক। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে প্রচুর প্যাকেট। অর্থাৎ স্পষ্ট বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে এই অসাধু কারবার। ক্যামেরার সামনে পড়ে দুই যুবক দৌড় লাগালেন। তাদের পাকড়াও করা হলে প্রথমে একজন জানাল নিজেরা মদ পান করতেই এসেছিলো, অন্য আরেকজন আবার দাবি করল প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট করার জন্য পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে এসেছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।সেই দেখাদেখি বেশ কয়েকজন বাসিন্দাও বেরিয়ে আসেন। পুলিশ ফ্যাক্টরির ভিতরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর দিশি মদ আটক করে। তারপর সেগুলিকে ফেলে নষ্ট করে দেয়। বাজেয়াপ্ত করা মদের বোতলে দেখা যায় 2017সালে ওই মদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। এই মদ পান করাও বিপজ্জনক বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান কোনও দিশি মদের দোকান বা স্টক পয়েন্টে এই মদের বোতলগুলি বাতিল বলে ফেলে দেওয়ার পর, তা থেকেই অসাধু ব্যবসা করছে কিছু সমাজবিরোধী। গরিব মানুষ যাঁরা খুব বেশি পড়াশোনা জানেন না, তাঁদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল এই মদ।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।