ETV Bharat / city

এতদিন কেউ শোনেনি, শিক্ষকের পরামর্শে বস্তিতে বৃষ্টিবাড়ি

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক অভিজিৎ দেবনাথের উদ্যোগে আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত পলাশডিহা গ্রামে তৈরি হয়েছে বৃষ্টিবাড়ি ৷ ফলে দূর হয়েছে জল সমস্যা ৷ এখন বৃষ্টি হলেই ভরে ওঠে জল সংরক্ষণের জন্য রাখা পাত্রগুলি ৷ এই জল নিত্যদিনের নানা কাজে ব্যবহার করতে পারছে গ্রামবাসীরা ৷

author img

By

Published : Jul 25, 2019, 3:37 PM IST

Updated : Jul 25, 2019, 11:08 PM IST

শিক্ষকের পরামর্শে বস্তিতে বৃষ্টিবাড়ি

আসানসোল, 25 জুলাই : বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জল সংকট । সেজন্য প্রয়োজন জল সংরক্ষণের । দীর্ঘদিন ধরেই এই তত্ত্বটাই মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়ে আসছেন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক অভিজিৎ দেবনাথ । কখনও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে শহরের রাস্তায় ঘুরেছেন, কখনও জল নষ্ট হতে দেখে ট্যাপ লাগিয়েছেন টাইম কলের মুখে । একটাই আর্জি, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করুন ৷ এতদিন তাঁর কথায় কেউ কান দেয়নি ৷ কিন্তু "স্যারে"র কথা শুনেছেন গ্রামের দরিদ্র, দিনমজুর মানুষজন । আর তাই বস্তির টালির ছাদে বৃষ্টির জলকে ধরে রাখার প্রকল্প গড়ে উঠল গ্রামেই । বেসরকারিভাবে আসানসোলে প্রথম তৈরি হল বৃষ্টিবাড়ি ।

Economic Rain Water Harvesting project
শিক্ষকের পরামর্শে বস্তিতে বৃষ্টিবাড়ি


আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত পলাশডিহা গ্রাম । এই গ্রামে বেশিরভাগই দিনমজুর । ফলে পৌরনিগমের টাইম কল থাকলেও গ্রামবাসীরা সেই জল সংগ্রহ করার সময় পায় না । কারণ যে সময় টাইম কলে জল আসে সেই সময় গ্রামের পুরুষ-মহিলারা সবাই কাজে চলে যায় ৷ ফলে পানীয় জলটুকু কোনও মতে সংগ্রহ করতে পারত ৷

ওই অঞ্চলেই শিশুদের প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু । তাঁর কাছেই এলাকায় জলের সমস্যার কথা শুনেছিলেন অভিজিৎবাবু । এরপর থেকেই বৃষ্টির জলকে ধরে রাখা ও দৈনন্দিন জীবনে সেই জল ব্যবহারের কথা গ্রামবাসীদের বোঝাতে শুরু করেন তিনি ৷ গ্রামবাসীরাও তাঁর কথায় রাজি হয়ে যায় ৷ শুরু হয় জল সংরক্ষণের কাজ, তৈরি হয় বৃষ্টিবাড়ি ৷ এখন বৃষ্টি হলেই ভরে ওঠে জল সংরক্ষণের জন্য রাখা পাত্রগুলি ৷ এই জল নিত্যদিনের নানা কাজে ব্যবহার করতে পারছে গ্রামবাসীরা ৷

Economic Rain Water Harvesting project
শিক্ষকের পরামর্শে বস্তিতে বৃষ্টিবাড়ি

অভিজিৎবাবু জানান, "এটা আমরা একটা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করেছি । নাম দিয়েছিলাম Economic Rain Water Harvesting ৷ অর্থাৎ অল্প খরচায় কী ভবে জল সংরক্ষণ করা যায় ৷ 200 টাকা থেকে শুরু করে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত আপনি যেমন খরচ করতে চান তেমন ভাবেই এই প্রকল্প তৈরি করা যাবে । নির্ভর করছে জায়গা ও চাহিদার উপর ৷ গ্রামে এই প্রকল্প করার পর শহরবাসীরাও এবার উৎসাহিত হবে বলেই মনে করছি আমি ।"

ভিডিয়োয় দেখুন

জল সংরক্ষণের ফলে উপকৃত হয় এলাকাবাসীরা ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সনকা ভুঁইঞা বলেন, "আমরা যে সময় কাজ করতে যাই, সেই সময় কলে জল এলে নিতে পারতাম না । এখন এই প্রকল্প হওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধে হয়েছে ।"

আসানসোল, 25 জুলাই : বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জল সংকট । সেজন্য প্রয়োজন জল সংরক্ষণের । দীর্ঘদিন ধরেই এই তত্ত্বটাই মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়ে আসছেন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক অভিজিৎ দেবনাথ । কখনও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে শহরের রাস্তায় ঘুরেছেন, কখনও জল নষ্ট হতে দেখে ট্যাপ লাগিয়েছেন টাইম কলের মুখে । একটাই আর্জি, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করুন ৷ এতদিন তাঁর কথায় কেউ কান দেয়নি ৷ কিন্তু "স্যারে"র কথা শুনেছেন গ্রামের দরিদ্র, দিনমজুর মানুষজন । আর তাই বস্তির টালির ছাদে বৃষ্টির জলকে ধরে রাখার প্রকল্প গড়ে উঠল গ্রামেই । বেসরকারিভাবে আসানসোলে প্রথম তৈরি হল বৃষ্টিবাড়ি ।

Economic Rain Water Harvesting project
শিক্ষকের পরামর্শে বস্তিতে বৃষ্টিবাড়ি


আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত পলাশডিহা গ্রাম । এই গ্রামে বেশিরভাগই দিনমজুর । ফলে পৌরনিগমের টাইম কল থাকলেও গ্রামবাসীরা সেই জল সংগ্রহ করার সময় পায় না । কারণ যে সময় টাইম কলে জল আসে সেই সময় গ্রামের পুরুষ-মহিলারা সবাই কাজে চলে যায় ৷ ফলে পানীয় জলটুকু কোনও মতে সংগ্রহ করতে পারত ৷

ওই অঞ্চলেই শিশুদের প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু । তাঁর কাছেই এলাকায় জলের সমস্যার কথা শুনেছিলেন অভিজিৎবাবু । এরপর থেকেই বৃষ্টির জলকে ধরে রাখা ও দৈনন্দিন জীবনে সেই জল ব্যবহারের কথা গ্রামবাসীদের বোঝাতে শুরু করেন তিনি ৷ গ্রামবাসীরাও তাঁর কথায় রাজি হয়ে যায় ৷ শুরু হয় জল সংরক্ষণের কাজ, তৈরি হয় বৃষ্টিবাড়ি ৷ এখন বৃষ্টি হলেই ভরে ওঠে জল সংরক্ষণের জন্য রাখা পাত্রগুলি ৷ এই জল নিত্যদিনের নানা কাজে ব্যবহার করতে পারছে গ্রামবাসীরা ৷

Economic Rain Water Harvesting project
শিক্ষকের পরামর্শে বস্তিতে বৃষ্টিবাড়ি

অভিজিৎবাবু জানান, "এটা আমরা একটা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করেছি । নাম দিয়েছিলাম Economic Rain Water Harvesting ৷ অর্থাৎ অল্প খরচায় কী ভবে জল সংরক্ষণ করা যায় ৷ 200 টাকা থেকে শুরু করে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত আপনি যেমন খরচ করতে চান তেমন ভাবেই এই প্রকল্প তৈরি করা যাবে । নির্ভর করছে জায়গা ও চাহিদার উপর ৷ গ্রামে এই প্রকল্প করার পর শহরবাসীরাও এবার উৎসাহিত হবে বলেই মনে করছি আমি ।"

ভিডিয়োয় দেখুন

জল সংরক্ষণের ফলে উপকৃত হয় এলাকাবাসীরা ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সনকা ভুঁইঞা বলেন, "আমরা যে সময় কাজ করতে যাই, সেই সময় কলে জল এলে নিতে পারতাম না । এখন এই প্রকল্প হওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধে হয়েছে ।"

Intro:বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জল সংকট। প্রয়োজন জল সংরক্ষণের। আর তা দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়ে আসছেন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক অভিজিৎ দেবনাথ। কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে শহরের রাস্তায় ঘুরেছেন, কখনও জল নষ্ট হতে দেখে ট্যাপ লাগিয়েছেন টাইম কলের মুখে। গলা ফাটিয়ে বলে আসছেন বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করুন। শহরবাসীরা অবশ্য সে কথায় কান দেয়নি এখনও। কিন্তু 'স্যারে'র কথা শুনেছেন গ্রামের দরিদ্র,দিনমজুর মানুষজন। আর তাই বস্তির টালির ছাদে বৃষ্টির জল কে ধরে রাখার প্রকল্প গড়ে উঠল গ্রামেই। বেসরকারিভাবে আসানসোলে প্রথম তৈরি হল বৃষ্টিবাড়ি ।অল্প শিক্ষিত গ্রামের মানুষ পথ দেখাল শহরের উচ্চ শিক্ষিত মানুষদের।


Body:আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত পলাশডিহা গ্রাম। এই গ্রামে বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রেণীর বাস। ফলে পুরনিগমের টাইম কল থাকলেও গ্রামের মানুষজন সেই জল সংগ্রহ করার সময় পান না। কারণ যে সময় টাইমকলে জল আসে সেই সময় গ্রামের পুরুষ-মহিলারা সবাই কাজে চলে যা।ন কোন মতে পানীয় জলটুকু সংগ্রহ করতে পারতেন তারা।
ওই অঞ্চলেই বস্তিবাসী শিশুদের প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া এবং পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুন্ডু । বন্ধু চন্দ্রশেখরের কাছেই এলাকায় জলের সমস্যার কথা শুনেছিলেন অভিজিৎ দেবনাথ। বৃষ্টির জল ধরে রাখা এবং তার দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের কথা গ্রামের মানুষজনদের বোঝান অভিজিত বাবু। গ্রামের মানুষও সাগ্রহে রাজী হয়ে যায়। তৈরি হয় প্রকল্প। এখন বৃষ্টি হলেই ভরে উঠছে একের পর এক পাত্র। যা দৈনন্দিন কাজে লাগছে গ্রামের মানুষদের। উপকৃত হয়েছেন তারা ।
গ্রামের বাসিন্দা সনকা ভূঁইঞা জানিয়েছেন "আমরা যে সময় কাজ করতে যাই, সেই সময় কলে জল এলে নিতে পারতাম না। এখন এই প্রকল্প হওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধে হয়েছে।"
শিক্ষক অভিজিৎ দেবনাথ জানান "এটা একটা পাইলট প্রজেক্ট। 2000 টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি যেমন খরচা করতে চান তেমন ভাবেই এই প্রকল্প তৈরি করা যায়। গ্রামে এই প্রকল্প করার পর শহরবাসীরাও এবার উৎসাহিত হবে বলেই মনে করছি আমি।"


Conclusion:
Last Updated : Jul 25, 2019, 11:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.