আসানসোল, 25 অগস্ট: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হল । তাঁর কোনও মেডিক্যাল বা সার্জিকাল ইমারজেন্সি (Medical emergency) নেই বলে জেলা হাসপাতাল সুত্রে খবর । কিন্তু পুলিশের অতি সক্রিয়তায় আসানসোল জেলা হাসপাতালের (Asansol district hospital) জরুরি বিভাগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে অভিযোগ । যদিও আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারের দাবি, তেমন কোনও অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি ।
বৃহস্পতিবার গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ৷ রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্যই তাঁকে নিয়ে আসা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ এ দিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে এসবি গড়াই রোড দিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । আসানসোলের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা এসডি গড়াই রোডকে প্রায় নো ভেহিকেল জোন করে দেওয়া হয় ৷ অনুব্রত মণ্ডলের কনভয় নিয়ে আসার জন্য রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় অটন রোড, হাসপাতাল মোড়, বুধা মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ।
অন্যদিকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল নিয়ে আসার পর পুলিশ কার্যত মানবপ্রাচীর দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের ইমারজেন্সিতে ঢোকানোর চেষ্টা করে আর তা থেকেই বিশৃঙ্খলা ছড়ায় ৷ সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাঁরা বাধার মুখে পড়েন ৷ এরপর পুলিশের গাড়ির দখলে চলে যায় আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্বর ৷ অন্য কোনও গাড়ি প্রায় 45 মিনিট হাসপাতালে ঢুকতে পারেনি ৷
আরও পড়ুন: আসানসোল সংশোধনাগারের প্রথম রাত হাসপাতালেই কাটল কেষ্টর
আসানসোল জেলা হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ৷ ইমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক ছাড়াও একজন মেডিক্যাল চিকিৎসক এবং একজন সার্জিক্যাল চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেন ৷ অনুব্রতর ইসিজি করা হয় ৷ প্রথমে এক্সরে এবং সিটি স্ক্যান করা হবে বলে ভাবা হলেও তা আর করার প্রয়োজন পড়েনি ৷ কোনও রকমের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়নি ৷ তবে অনুব্রত মণ্ডলের ফিস্টুলা পরীক্ষা করে দেখেছেন চিকিৎসক ৷ এমনই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের এই মুহূর্তে কোনও মেডিক্যাল কিংবা সার্জিক্যাল ইমারজেন্সি নেই ৷ প্রায় 45 মিনিট পর অনুব্রত মণ্ডলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে পুনরায় তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এই 45 মিনিট ধরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ কার্যত পুলিশের দখলে চলে যায় ৷ যেভাবে পুলিশ ইমারজেন্সির দরজা ঘিরে থাকে, তাতে অন্য রোগীরা সেখানে ঢুকতে বাধা পান ৷ চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় অনেককে ৷ যদিও জেলা হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, কোনও রকমের লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি । বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে ।