আসানসোল, 31 অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন পুরোহিত ভাতা দেওয়া হবে। প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পাবেন পুরোহিতরা। পশ্চিম বর্ধমানে সেই সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। মোট দু'হাজার 633 জনকে পুরোহিত ভাতা দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুধু হিন্দু পুরোহিত নয়, তার সঙ্গে আদিবাসী এবং খ্রিস্টান ধর্মগুরুদের রাখা হয়েছে এই তালিকায়।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পুরোহিত ভাতার জন্য যে আবেদন পাওয়া যায় তার প্রথম অধ্যায়ের ভাতা দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে 685 জনকে পুরোহিত ভাতা দেওয়া হয়েছে এই জেলায়। এরমধ্যে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে 41 জন, দুর্গাপুর-ফরিদপুরে 52 জন, আসানসোল পৌরনিগম এলাকায় 361 জন, বারাবনি ব্লকে 54 জন, আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত রানিগঞ্জ গ্রামীণ এলাকায় 51 জন, জামুরিয়াতে 50 জন, দুর্গাপুর পৌরএলাকায় 50 জন এবং কাঁকসায় 26 জনকে ইতিমধ্যেই পুরোহিত ভাতা দেওযা হয়েছে। কিন্তু এই ভাতা শুরু হওয়ার পর অনেকেই আবেদন করার জন্য এগিয়ে আসেন। আর সেই কারণে আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি পুরোহিত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, “পুরোহিত সম্মেলনে এক হাজার 445 জনকে নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পুরোহিত ভাতার জন্য। এছাড়াও চার্চ এবং আদিবাসীদের ধর্মীয় গুরুদেব 503 জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পুরোহিত ভাতার জন্য। মোট দু'হাজার 633জনকে পুরোহিত ভাতা দেওয়া হবে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সংখ্যাটি নেহাতই কম নয়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “যেভাবে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে লোকশিল্পী বা বেকার যুবক-যুবতিদের জন্য সরকার এগিয়ে এসেছে । তেমনিভাবে পুরোহিতদের ভাতা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার প্রমান করলেন যে তিনি মানুষের নেত্রী।”