হায়দরাবাদ, 26 মে: আজকের দিনে প্রায় চারদিক থেকে সাইবার অপরাধিদের থেকে হুমকির শিকার হন মানুষজন ৷ আগেকার দিনে সই জাল করা হত ৷ কিন্তু, উন্নত প্রযুক্তির যুগে এই প্রতারকরা আরও চালাক হয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের পরিচয় চুরি করে কয়েক মুহূর্তে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে ৷ এমনকী কোনও ব্যক্তির অজান্তেই তার পরিচয় ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে টাকা নিচ্ছে প্রতারকরা ৷ আর সেই ঋণের বোঝা গিয়ে চাপছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর ৷
তাই সবসময় সতর্ক থাকা উচিত ৷ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্যান, আধার, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড-সহ অন্য জরুরি তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না ৷ ফোন করে বা বিশেষত অনলাইনে কেউ যোগাযোগ করলে, তাদের বিশ্বাস করা মোটেই উচিত হবে না ৷ কোনও ব্যক্তির পরিচয়পত্র চুরি হয়ে যাওয়ার অর্থ, ওই ব্যক্তিকে অতিসহজেই আর্থিকভাবে প্রতারিত করতে পারবে সাইবার অপরাধিরা ৷ আপনি যদি সহজেই জানতে চান যে আপনার কতগুলি ঋণ এবং কার্ড আছে ? ক্রেডিট রিপোর্ট সেক্ষেত্রে সাহায্য করে ৷
আমাদের দেশে প্রধানত তিনটি ক্রেডিট ব্যুরো রয়েছে ৷ সেগুলি হল সিবিল, এক্সপেরিয়ান এবং ইকুইফ্যাক্স ৷ বছরে একবার প্রতিটি ক্রেডিট ব্যুরো থেকে নিজেদের ক্রেডিট রিপোর্ট যাচাই করে নেওয়া উচিত ৷ সেই রিপোর্টে যদি কোনও অননুমোদিত অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে অবিলম্বে ক্রেডিট ব্যুরোতে অভিযোগ করতে হবে ৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সেই অননুমোদিত অ্যাকাউন্টকে নিজের ক্রেডিট রিপোর্ট থেকে সরাতে হবে ৷
আর এই জালিয়াতি নিয়ে অভিযোগ তিনটি ক্রেডিট ব্যুরোতে করা উচিত ৷ এর ফলে যদি আপনার নামে কোনও ঋণের আবেদন জমা পড়ে বা কেউ আপনার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করে, তাহলে সেই সংক্রান্ত একটি মেসেজ ফোন আসবে ৷ আর সেই আবেদন সম্পর্কে আপনি অবগত না হলে, অভিযোগ জানাতে পারবেন ৷ এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, সাইবার অপরাধিরা কারও পরিচয়পত্রের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পর, তৎক্ষণাৎ সেটি ব্যবহার করে না ৷ সাইবার অপরাধিরা দীর্ঘ কয়েকমাস অপেক্ষা করে ৷ তার পরে ওই পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সংশ্লীষ্ট ব্যক্তিকে নিশানা করে ৷
আরও পড়ুন: সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় বীমা গ্রহণ প্রয়োজন
আর তাই প্রত্যেকের উচিত সময়ে সময়ে নিজেদের ক্রেডিট রিপোর্ট যাচাই করা ৷ আজকাল অনলাইন এবং সোশাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্যান এবং আধার পাঠানো খুবই সাধারণ ব্যাপার ৷ এটা সবার আগে বন্ধ করতে হবে ৷ যদি খুব জুরুরি হলে, এই তথ্য খুব কাছের ব্যক্তিকেই পাঠানো উচিত ৷ এমনকি অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নম্বর এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করে কঠিন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা উচিত ৷ নিশ্চিত করতে হবে যাতে পরিচয়পত্র কোনওভাবেই সাইবার অপরাধিদের কাছে না যায় ৷
