নয়াদিল্লি, 24 ফেব্রুয়ারি: শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) খারাপ অবস্থা শুক্রবারও বহাল রইল ৷ এদিনও ওই গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ারের দর নিচের দিকে নেমেছে ৷ ইক্যুইটি মার্কেটে (Equity Markets) কোনও সংস্থার এই ধরনের পরিস্থিতিকে বলা হয় বিয়ারিশ ট্রেন্ড (Bearish Trend) ৷ বিএসইতে (BSE) আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারের দাম 5 শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারের দাম 5 শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দাম 5 শতাংশ ও আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম 4.98 শতাংশ কমেছে ।
এছাড়া আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দর 4.98 শতাংশ, এনডিটিভির শেয়ারের দর 4.05 শতাংশ ও আদানি উইলমারের শেয়ারের দর 3.35 শতাংশ কমেছে । তবে শেয়ারের দরের নিরিখে অম্বুজা সিমেন্টস 2.45 শতাংশ, আদানি পোর্টস 1.24 শতাংশ ও এসিসি 0.03 শতাংশ বেড়েছে । গতাকল, বৃহস্পতিবার আদানি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত দশটি সংস্থার মধ্যে আটটির শেয়ারের দাম কমেছিল ৷ তার আগের দিন বুধবারও পরিস্থিতি একই ছিল ৷
শুক্রবার বিএসই সেনসেক্স 141.87 পয়েন্ট বা 0.24 শতাংশ কমে 59,463.93-এ শেষ হয়েছে ৷ এখানেও বিয়ারিশ ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে ৷ গত 16 ফেব্রুয়ারি থেকে বিএসই বেঞ্চমার্ক 1,855.58 পয়েন্ট বা 3 শতাংশ কমে গিয়েছে ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 2023 সালের জানুয়ারির শেষের দিকে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানি গোষ্ঠী শেয়ারের দরে জালিয়াতি করেছে ৷ এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থাকে ৷ সংস্থার শেয়ারের দর হু হু করে নামতে থাকে ৷ পরে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা বদলায় ৷ শেয়ারের দর বাড়তে থাকে ৷ কিন্তু ফের শেয়ারের দর নামছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার ৷
এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সংস্থা ৷ হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা বলেছে ৷ একাধিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৷ তার পরও পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না ৷ বরং 24 জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার রিপোর্ট প্রকাশ করার পর থেকে আদানিদের দশটি তালিকাভুক্ত সংস্থা 12,03,901.43 কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: আদানির জন্য এলআইসির 3200 কোটি টাকা ক্ষতি, দাবি মহুয়ার