হায়দরাবাদ, 17 মে: উচ্চশিক্ষার খরচ দিন দিন বাড়ছে ৷ যখন সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তখন বিনিয়োগ এবং শিক্ষা ঋণ এই ক্রমবর্ধমান খরচে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে ৷ কিন্তু, যদি পরিবারের উপার্জনকারীর সঙ্গে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে, তবে সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ৷ তাই এমন পরিস্থিতি এড়াতে সর্বদা সতর্ক থাকা প্রয়োজন ৷ তাই সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও আর্থিক প্রয়োজনের জন্য বীমা সুরক্ষা প্রদান করে ৷ ফলে ভবিষ্যত নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না ৷
সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য পিপিএফ, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার, রিয়েল এস্টেট, সোনা ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করা লাভজনক ৷ একটি জীবন বীমা নেওয়া জরুরি ৷ এর বাইরে শুধুমাত্র সন্তানদের প্রয়োজনের বীমানীতি উপলব্ধ আছে ৷ অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে তহবিল হিসেবে সাহায্য করাই এই বীমাগুলির আসল লক্ষ্য ৷ তবে, এগুলি সাধারণ বীমার তুলনায় একটু আলাদা ৷ এই বীমার সুবিধা হল, বীমা গ্রহণকারীর কিছু হলে তৎক্ষণাত কিছু অর্থ সেখান থেকে সংশ্লীষ্ট সংস্থা প্রদান করবে ৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে বীমার মূল্য ম্যাচুরিটির পর গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷
চাইল্ড ইন্স্যুরেন্স পলিসি সম্পর্কে বলার প্রধান কারণ হল, দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ লাভ করা ৷ যাঁর নামে পলিসি রয়েছে, তাঁর কিছু ঘটলে বীমা সংস্থা নমিনি বা মনোনীত ব্যক্তিকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে দেয় ৷ এর পরে পলিসির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, বীমা কোম্পানি গ্রাহকের পক্ষ থেকে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে ৷ এর অর্থ বীমাটি ভবিষ্যতের জন্যও চালু থাকবে ৷
মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংস্থা মনোনীত ব্যক্তিকে আবারও বীমার মূল্য প্রদান করবে ৷ যাঁদের দু’টি সন্তান রয়েছে, তাঁদের জন্য এই বীমা সময়ে সময়ে প্রয়োজন মতো অর্থ সাহায্য করবে ৷ আর এই বীমাগুলির সময়কাল নির্ধারিত হয় গ্রহীতার সন্তানের পড়াশোনার বিভিন্ন পর্যায় অনুযায়ী ৷ যেমন উচ্চশিক্ষা, বিয়ে এবং অন্যান্য খরচ ৷
আরও পড়ুন: স্থায়ী আমানতে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই পান বেশি রিটার্ন
বাচ্চাদের বীমার ক্ষেত্রে এনডাউমেন্ট প্ল্যান এবং ইউনিট-লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স পলিসি পাওয়া যায় ৷ যাঁরা কম ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন, তাঁরা এনডাউমেন্ট প্ল্যান নিতে পারেন ৷ এক্ষেত্রে বীমা সংস্থা বোনাস এবং লয়্যালটি অ্যাডিশনের সুবিধা দিয়ে থাকে ৷ সেক্ষেত্রে 5-6 শতাংশ রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ থাকে ৷ ইক্যুইটিতে এনডাউমেন্ট প্ল্যান এবং ইউনিট-লিঙ্কডে বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ৷
ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয় ও বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ৷ বিয়ের পর ব্যক্তির উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত ৷ বিশেষত, সন্তান জন্মের পর 21 বছর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক সুরক্ষা থাকাটা জরুরি ৷ অবশ্যই এককভাবে বিনিয়োগে সব সম্ভব নাও হতে পারে ৷ সেই মতো, আগে থেকে পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷