হায়দরাবাদ, 28 জানুয়ারি: নিরাপদ এবং দুর্ঘটনামুক্ত ড্রাইভিং নিশ্চিত করার জন্য বীমা কোম্পানিগুলি গাড়ির মালিকদের 'নো ক্লেম বোনাস' (NCB) দিয়ে পুরস্কৃত করে ৷ পুরস্কারটি হয় গাড়ির মালিকের জন্য এবং এটি হস্তান্তরযোগ্য ৷ অনেকেই তাঁদের পুরনো গাড়ি বদল করে এবং নতুন গাড়ি কেনার সময় এই 'নো ক্লেম বোনাস' ট্রান্সফার করতে ভুলে যায় ৷ সুতরাং, একটি নতুন গাড়ির জন্য বীমা নেওয়ার সময় গ্রাহককে বেশি হারে প্রিমিয়াম দিতে হয় ৷ এক্ষেত্রে, এনসিবি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানা দরকার ৷
রাস্তায় চলাচলের জন্য একটি গাড়ির অবশ্যই বীমা থাকা জরুরি, অন্তত থার্ড পার্টি ইনস্যুওরেন্স ৷ এই ইনস্যুওরেন্স বছরে সময়মত পুনর্নবীকরণ করা উচিত ৷ আর কোনও নির্দিষ্ট বছরে, ইনস্যুওরেন্সের দাবি না-করলে, বীমা কোম্পানিগুলো প্রিমিয়ামে ছাড় দেয় (NCB Reduces Vurden of Premium) ৷ এই ডিসকাউন্ট ‘নো ক্লেম বোনাস’ হিসাবে পরিচিত ৷ তবে, এগুলি বিশেষ কিছু প্যারামিটারের উপর নির্ভর করে ৷ প্রথম বছরে ইনস্যুওরেন্সের কোনও দাবি না-করলে, বীমার প্রিমিয়ামে 20 শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যেতে পারে (How No Claim Bonus Work) ৷
এমনকি দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরেও বীমা ক্লেম না করা হয় ৷ তাহলে সেই ‘নো ক্লেম বোনাস’ প্রতি বছর বেড়ে 25, 35, 45 এবং 50 শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে ৷ এই সুবিধা 50 শতাংশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ৷ নো ক্লেম বোনাস (NCB) মোটর বীমা পলিসি পুনর্নবীকরণের সময় প্রিমিয়ামের বোঝা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নেয় ৷ উল্লেখ্য, এই এনসিবি শুধুমাত্র নিজস্ব কোনও ক্ষতির প্রিমিয়াম পলিসির জন্য প্রযোজ্য হবে ৷
এমনকি ছোটখাটো ক্ষতির ক্ষেত্রে বীমার দাবি না করলে, এনসিবি-র হার বেশি থাকবে ৷ উদাহরণস্বরূপ, বীমা পুনর্নবীকরণের সময় আপনি 5,000 টাকা এনসিবি পাওয়ার অধিকারী ৷ এখন একটি ছোট মেরামতের জন্য 2,000 টাকা খরচ হয় ৷ তাহলে, সেই ক্ষতির টাকা নিজের থেকে দেওয়াই ভালো ৷ কিন্তু, এই 2 হাজার টাকাও যদি গ্রাহক দাবি করেন, তাহলে বীমা পুনর্নবীকরণের সময় কোনও এনসিবি পাওয়া যাবে না ৷ এই সব হিসেবগুলি গাড়ির ইনস্যুওরেন্স দাবি করার আগে বিচার বিবেচনা করে দেখা উচিত ৷
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড নেওয়া ও তার সঠিক ব্যবহার কীভাবে হবে ? জেনে নিন
নতুন গাড়ি কেনার সময় এনসিবি খুব সহজের ট্রান্সফার করা যায় ৷ যদি, আগের গাড়ি কেনার সময় অফলাইনে বীমা বা ইনস্যুওরেন্স নিয়ে থাকলে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ৷ সেখানে এনসিবি ট্রান্সফারের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিলেই কাজ হয়ে যাবে ৷ সেই নথি যাচাই করে দেখে বীমা সংস্থা গ্রাহককে এনসিবি শংসাপত্র প্রদান করবে ৷ আর সেই শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট অবশ্যই নতুন বীমা সংস্থা বা বীমা যিনি করাচ্ছেন তাঁকে দিতে হবে ৷ তবে গ্রাহক তাঁর আগের বীমার এনসিবি ট্রান্সফার করাতে পারবেন ৷
আর অনলাইনে বীমা বা ইনস্যুওরেন্স নিয়ে থাকলে, এনসিবি ট্রান্সফার করতে পুরনো পলিসি নম্বর এবং বীমাকারীর নাম নতুন সংস্থাকে দিতে হবে ৷ নতুন সংস্থার বীমাকারী গ্রাহকে তাঁর এনসিবি শংসাপত্র পাইয়ে দেবে ৷ এই শংসাপত্রের মেয়াদ 3 বছর কার্যকরী হয় ৷ তবে, এটাও মাথায় রাখতে হবে পুরনো গাড়ির মালিক থাকলে, নতুন গাড়িতে এনসিবি ট্রান্সফার করা যাবে না ৷
