ETV Bharat / business

US Policy Rates influencing Indian Economy: মার্কিন মূল্যবৃদ্ধির হ্যাপা পোহাতে হচ্ছে ভারতীয়দেরও ! - মার্কিন পলিসি রেট

আমেরিকায় ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি ৷ যার জেরে প্রভাবিত হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি (US Policy Rates influencing Indian Economy) ৷ কীভাবে ঘটছে এমন ঘটনা ?

High Policy Rates by US Federal Reserve putting pressure on Indian Economy
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Mar 10, 2023, 1:56 PM IST

নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: মূল্যবৃদ্ধির বহর বাড়ছে মার্কিন মুলুকে ৷ আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে পড়শি কানাডা থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এমনকী সুদূর এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ভারতকেও (US Policy Rates influencing Indian Economy) ৷ বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাখ্যায় বলছেন, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফলে বিভিন্ন পলিসি রেট বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ তার রেশ গড়াচ্ছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর ৷ কারণ, এই ব্যাংকগুলির মার্কিন পলিসি রেটের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে ৷ ফলে আমেরিকা তার পলিসি রেট বাড়ালে এই ব্যাংকগুলিকেও তাদের সুদের হার বাড়াতে হবে ৷ আর সেই সুদের বোঝা বইতে হবে সাধারণ গ্রাহকদের ৷

আগামী সপ্তাহে আমেরিকা তার মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্যে আনবে ৷ কিন্তু, তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ঝরে পড়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের গলায় ৷ সম্প্রতি সেনেট কমিটির একটি শুনানির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে ৷ সেখানে তিনি জানান, এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম এই অর্থনীতি লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফিতীর মুখে পড়ে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে ৷ পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৷ জেরোমের এমন মন্তব্যে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, আগামী দিনে মার্কিন পলিসি রেট আরও বাড়বে ৷ যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারত-সহ অন্য়ান্য দেশের ব্যাংকগুলির উপর ৷

সম্প্রতি যে তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্য়ে আনা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন গ্রাহকরা পণ্যের দাম হিসাবে যে টাকা জমা করেন, গত জানুয়ারি মাসে তাতে সামগ্রিকভাবে 0.5 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ৷ অন্যদিকে, গত একবছর বা শেষ 12 মাসে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল 6.4 শতাংশ ৷ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে 10 শতাংশ ৷ শক্তিসম্পদের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে 9 শতাংশের কাছাকাছি ৷ এর ফলে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের উপর চাপ মারাত্মক বেড়েছে ৷ যার জেরে তাদের পলিসি রেট প্রায় 0 (শূন্য) থেকে 5 শতাংশের কাছাকাছি পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছে ৷ আর এই বৃদ্ধি ঘটেছে গত একবছরেরও কম সময়ের মধ্যে ৷

জেরোমের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি কমিয়ে 2 শতাংশের কাছাকাছি করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় ব্য়াংকের ৷ সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ করতে হচ্ছে ৷ যা থেকে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, আগামী দিনে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার পলিসি রেট আরও 50 বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে ৷ খুব সম্ভবত, চলতি মাসেই এই বৃদ্ধি ঘটবে ৷

আরও পড়ুন: কর বাবদ কত দিতে হবে ? বলে দেবে আয়কর দফতরের পোর্টাল

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পলিসি রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের বিভিন্ন পলিসি রেট নির্ধারণ করছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই ৷ তবে, এক্ষেত্রে ভারতের বাজার বুঝে পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ কিন্তু, তাতেও মার্কিন মুলুকে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ভারতের পক্ষে এড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ প্রসঙ্গত, 1934 সালের রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া আইনের 45জেডএ ধারার আওতায় আরবিআইকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় ৷ ভারতের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি কত দূর বাড়বে, তা স্থির করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বর্তমানে সেই পরিমাণটি হল 4 শতাংশ ৷ যা আরও 2 শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে ৷ অর্থাৎ, আরবিআইকে মার্কিন পলিসি রেটের পাশাপাশি ভারতীয় বাজার এবং ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যবৃদ্ধির সীমারেখার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে ৷

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ যখন তাদের পলিসি রেট (প্রায়) 0 থেকে বাড়িয়ে (প্রায়) 5 শতাংশ করেছে, অন্যদিকে, আরবিআই গতবছর মে মাসে তাদের রেপো রেট বাড়িয়েছে 250 বেসিস পয়েন্ট ৷ এর ফলে সাধারণ ভারতীয়দের উপর ঋণের বোঝা বেড়েছে ৷ গাড়ি, বাড়ি-সহ নানা কারণে তাঁরা ব্য়াংক থেকে যে ঋণ নিয়েছেন, বর্ধিত হাতে তার সুদ মেটাতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে তাঁদের ৷

নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: মূল্যবৃদ্ধির বহর বাড়ছে মার্কিন মুলুকে ৷ আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে পড়শি কানাডা থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এমনকী সুদূর এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ভারতকেও (US Policy Rates influencing Indian Economy) ৷ বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাখ্যায় বলছেন, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফলে বিভিন্ন পলিসি রেট বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ তার রেশ গড়াচ্ছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর ৷ কারণ, এই ব্যাংকগুলির মার্কিন পলিসি রেটের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে ৷ ফলে আমেরিকা তার পলিসি রেট বাড়ালে এই ব্যাংকগুলিকেও তাদের সুদের হার বাড়াতে হবে ৷ আর সেই সুদের বোঝা বইতে হবে সাধারণ গ্রাহকদের ৷

আগামী সপ্তাহে আমেরিকা তার মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্যে আনবে ৷ কিন্তু, তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ঝরে পড়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের গলায় ৷ সম্প্রতি সেনেট কমিটির একটি শুনানির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে ৷ সেখানে তিনি জানান, এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম এই অর্থনীতি লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফিতীর মুখে পড়ে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে ৷ পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৷ জেরোমের এমন মন্তব্যে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, আগামী দিনে মার্কিন পলিসি রেট আরও বাড়বে ৷ যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারত-সহ অন্য়ান্য দেশের ব্যাংকগুলির উপর ৷

সম্প্রতি যে তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্য়ে আনা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন গ্রাহকরা পণ্যের দাম হিসাবে যে টাকা জমা করেন, গত জানুয়ারি মাসে তাতে সামগ্রিকভাবে 0.5 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ৷ অন্যদিকে, গত একবছর বা শেষ 12 মাসে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল 6.4 শতাংশ ৷ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে 10 শতাংশ ৷ শক্তিসম্পদের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে 9 শতাংশের কাছাকাছি ৷ এর ফলে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের উপর চাপ মারাত্মক বেড়েছে ৷ যার জেরে তাদের পলিসি রেট প্রায় 0 (শূন্য) থেকে 5 শতাংশের কাছাকাছি পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছে ৷ আর এই বৃদ্ধি ঘটেছে গত একবছরেরও কম সময়ের মধ্যে ৷

জেরোমের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি কমিয়ে 2 শতাংশের কাছাকাছি করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় ব্য়াংকের ৷ সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ করতে হচ্ছে ৷ যা থেকে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, আগামী দিনে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার পলিসি রেট আরও 50 বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে ৷ খুব সম্ভবত, চলতি মাসেই এই বৃদ্ধি ঘটবে ৷

আরও পড়ুন: কর বাবদ কত দিতে হবে ? বলে দেবে আয়কর দফতরের পোর্টাল

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পলিসি রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের বিভিন্ন পলিসি রেট নির্ধারণ করছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই ৷ তবে, এক্ষেত্রে ভারতের বাজার বুঝে পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ কিন্তু, তাতেও মার্কিন মুলুকে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ভারতের পক্ষে এড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ প্রসঙ্গত, 1934 সালের রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া আইনের 45জেডএ ধারার আওতায় আরবিআইকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় ৷ ভারতের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি কত দূর বাড়বে, তা স্থির করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বর্তমানে সেই পরিমাণটি হল 4 শতাংশ ৷ যা আরও 2 শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে ৷ অর্থাৎ, আরবিআইকে মার্কিন পলিসি রেটের পাশাপাশি ভারতীয় বাজার এবং ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যবৃদ্ধির সীমারেখার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে ৷

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ যখন তাদের পলিসি রেট (প্রায়) 0 থেকে বাড়িয়ে (প্রায়) 5 শতাংশ করেছে, অন্যদিকে, আরবিআই গতবছর মে মাসে তাদের রেপো রেট বাড়িয়েছে 250 বেসিস পয়েন্ট ৷ এর ফলে সাধারণ ভারতীয়দের উপর ঋণের বোঝা বেড়েছে ৷ গাড়ি, বাড়ি-সহ নানা কারণে তাঁরা ব্য়াংক থেকে যে ঋণ নিয়েছেন, বর্ধিত হাতে তার সুদ মেটাতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে তাঁদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.