ETV Bharat / business

Hindenburg Report against Tingo Inc: টিঙ্গো ইনকর্পোরেটেডের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ কী কী অভিযোগ এনেছে ? - Hindenburgs accusations

আদানির পর এবার আফ্রিকার কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এসেছে হিন্ডেনবার্গের রিসার্চ রিপোর্টে ৷ কী রয়েছে রিপোর্টে ? দেখে নিন বিস্তারিত ৷

Hindenburg Report
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট
author img

By

Published : Jun 9, 2023, 6:26 AM IST

হায়দরাবাদ, 8 জুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট ঘিরে ভারতে তোলপাড় পড়েছে সম্প্রতি। দেশের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থার স্টকগুলিকে ব্যাপক ধস নেমেছিল ৷ এবার হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে একটি আফ্রিকান কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি করার অভিযোগ করা হয়েছে । ইটিভি ভারতকে পাঠানো একটি গবেষণা রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ টিঙ্গো গ্রুপকে নিশানা করেছে।

নিউ জার্সিতে প্রধান কার্যালয় থাকা এই সংস্থা বিভিন্ন আর্থিক জালিয়াতি করেছে বলে হিন্ডেনবার্গের দাবি ৷ শুধু তাই সংস্থার কর্ণধারকেও নিশানা করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ওই কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে গিয়েছে । একটি সূত্রের দাবি, টিঙ্গো গ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দাম 16 শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে । পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই টিঙ্গোর সিইও ডজি এমমোবুওসি। ডজিকে সংবাদমাধ্যমে একজন বিলিয়নিয়ার হিসেবেই বর্ণনা করা হয় । এই বছরের শুরুর দিকে তিনি নাও-প্রিমিয়ার লিগের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করেন ৷ এই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবার তাঁর সংস্থাকেই জালিয়াতিতে অভিযুক্ত করল হিন্ডেনবার্গ।

আরও পড়ুন: জাতীয়তাবাদ দিয়ে জালিয়াতি ঢাকা যায় না, আদানিকে পালটা তোপ হিন্ডেনবার্গের

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ইটিভি ভারতকে পাঠানো একটি বিবৃতিতে বলেছে,"আমরা ডজির কিছু জালিয়াতির হদিশ পেয়েছি । প্রাথমিকভাবে তিনি নাইজেরিয়াতে প্রথম মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপ তৈরি করার জন্য তাঁর নিজের পড়াশোনা সংক্রান্ত তথ্য জাল করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে । আমরা অ্যাপটির প্রকৃত নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷ যিনি ডজির দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেছেন ৷"

রিপোর্ট অনুসারে, ডজি 2007 সালে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রামীণ উন্নয়নে পিএইচডি করেন বলে দাবি করেছেন । তবে গবেষণা রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, টিঙ্গো গ্রুপের সিইও ডজি এমমোবুসি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন ৷ রিপোর্টে বলা হয়, "আমরা ডিগ্রি যাচাই করার জন্য স্কুলে যোগাযোগ করেছি । কিন্তু তারা তাদের সিস্টেমে যাচাই করে জানিয়েছে তাঁর নামে কেউ ওখানে পড়শোনা করেনি ৷" গবেষণার রিপোর্ট অনুসারে, ডজিকে 2017 সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং নাইজেরিয়ান অর্থনৈতিক ও আর্থিক অপরাধ কমিশন অনুসারে, জাল চেক ইস্যু করার জন্য 8-গণনার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি । পরে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি হয় ।

আরও পড়ুন: এক রিপোর্টেই আঁধারে আদানি ! কী এই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ?

  • এয়ারলাইন ব্যবসার জন্য বানানো জাল ছবি

রিপোর্টে টিঙ্গো গ্রুপকে বিমানে তার লোগো ফটোশপ করে লাগানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে ৷ কারণ সিইও ডজি দাবি করেছিলেন, তিনি টিঙ্গো এয়ারলাইন চালু করেছেন এবং পরে স্বীকার করেছেন যে তাদের কাছে কোনওদিন বিমানের মালিকানা ছিল না ।

  • সাত মাসের খাদ্য ব্যবসা থেকে 577 মিলিয়ন ডলার আয় !

রিপোর্ট অনুসারে, কোম্পানির ব্যবসায় আর্থিক দুর্নীতি সবচেয়ে সুস্পষ্ট হয়েছে যখন তারা দাবি করে যে মাত্র 7 মাসের খাদ্য ব্যবসায় শুধুমাত্র গত ত্রৈমাসিকে 577 মিলিয়নেরও বেশি আয় করেছে ৷ যা কোম্পানির মোট আয়ের 68 শতাংশ ।

নাসডাক তালিকাভুক্ত টিঙ্গো গ্রুপের আর্থিক বিষয়ে প্রশ্ন করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বলেছে যে যদি কোম্পানির দাবি সত্যি হয় তবে তার দাবিকৃত 24.8 শতাংশ অপারেটিং মার্জিন প্রতিটি প্রধান তুলনামূলক খাদ্য কোম্পানির চেয়ে বেশি হবে ।

  • নিজস্ব কোনও প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা ছাড়াই খাদ্য ব্যবসা !

আরও আশ্চর্যের বিষয় হল সংস্থাটির নিজস্ব কোনও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা নেই । বরং, এটি দাবি করে যে এত বেশি রাজস্ব তারা নাইজেরিয়ান কৃষক এবং একটি নামহীন তৃতীয় পক্ষের খাদ্য প্রসেসরের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করার মাধ্যমে তারা লাভ করেছে ।

আরও পড়ুন: বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে আপত্তি নেই, আদানি কাণ্ডে জানাল কেন্দ্র

  • আদানি গ্রুপের উপর হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের প্রভাব

এই বছরের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ গ্রুপ গৌতম আদানি নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়িক সংগঠনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল । এটি আদানি গ্রুপকে অন্যান্য সন্দেহজনক কাজের পাশাপাশি স্টক, হিসেবে গড়মিল, ক্রোনিজম এবং কর ফাঁকির জন্য অভিযুক্ত করেছে । এই রিপোর্টের ফলে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির 104 বিলিয়নেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রভাবের ফলে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ।

হায়দরাবাদ, 8 জুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট ঘিরে ভারতে তোলপাড় পড়েছে সম্প্রতি। দেশের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থার স্টকগুলিকে ব্যাপক ধস নেমেছিল ৷ এবার হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে একটি আফ্রিকান কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি করার অভিযোগ করা হয়েছে । ইটিভি ভারতকে পাঠানো একটি গবেষণা রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ টিঙ্গো গ্রুপকে নিশানা করেছে।

নিউ জার্সিতে প্রধান কার্যালয় থাকা এই সংস্থা বিভিন্ন আর্থিক জালিয়াতি করেছে বলে হিন্ডেনবার্গের দাবি ৷ শুধু তাই সংস্থার কর্ণধারকেও নিশানা করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ওই কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে গিয়েছে । একটি সূত্রের দাবি, টিঙ্গো গ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দাম 16 শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে । পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই টিঙ্গোর সিইও ডজি এমমোবুওসি। ডজিকে সংবাদমাধ্যমে একজন বিলিয়নিয়ার হিসেবেই বর্ণনা করা হয় । এই বছরের শুরুর দিকে তিনি নাও-প্রিমিয়ার লিগের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করেন ৷ এই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবার তাঁর সংস্থাকেই জালিয়াতিতে অভিযুক্ত করল হিন্ডেনবার্গ।

আরও পড়ুন: জাতীয়তাবাদ দিয়ে জালিয়াতি ঢাকা যায় না, আদানিকে পালটা তোপ হিন্ডেনবার্গের

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ইটিভি ভারতকে পাঠানো একটি বিবৃতিতে বলেছে,"আমরা ডজির কিছু জালিয়াতির হদিশ পেয়েছি । প্রাথমিকভাবে তিনি নাইজেরিয়াতে প্রথম মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপ তৈরি করার জন্য তাঁর নিজের পড়াশোনা সংক্রান্ত তথ্য জাল করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে । আমরা অ্যাপটির প্রকৃত নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷ যিনি ডজির দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেছেন ৷"

রিপোর্ট অনুসারে, ডজি 2007 সালে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রামীণ উন্নয়নে পিএইচডি করেন বলে দাবি করেছেন । তবে গবেষণা রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, টিঙ্গো গ্রুপের সিইও ডজি এমমোবুসি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন ৷ রিপোর্টে বলা হয়, "আমরা ডিগ্রি যাচাই করার জন্য স্কুলে যোগাযোগ করেছি । কিন্তু তারা তাদের সিস্টেমে যাচাই করে জানিয়েছে তাঁর নামে কেউ ওখানে পড়শোনা করেনি ৷" গবেষণার রিপোর্ট অনুসারে, ডজিকে 2017 সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং নাইজেরিয়ান অর্থনৈতিক ও আর্থিক অপরাধ কমিশন অনুসারে, জাল চেক ইস্যু করার জন্য 8-গণনার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি । পরে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি হয় ।

আরও পড়ুন: এক রিপোর্টেই আঁধারে আদানি ! কী এই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ?

  • এয়ারলাইন ব্যবসার জন্য বানানো জাল ছবি

রিপোর্টে টিঙ্গো গ্রুপকে বিমানে তার লোগো ফটোশপ করে লাগানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে ৷ কারণ সিইও ডজি দাবি করেছিলেন, তিনি টিঙ্গো এয়ারলাইন চালু করেছেন এবং পরে স্বীকার করেছেন যে তাদের কাছে কোনওদিন বিমানের মালিকানা ছিল না ।

  • সাত মাসের খাদ্য ব্যবসা থেকে 577 মিলিয়ন ডলার আয় !

রিপোর্ট অনুসারে, কোম্পানির ব্যবসায় আর্থিক দুর্নীতি সবচেয়ে সুস্পষ্ট হয়েছে যখন তারা দাবি করে যে মাত্র 7 মাসের খাদ্য ব্যবসায় শুধুমাত্র গত ত্রৈমাসিকে 577 মিলিয়নেরও বেশি আয় করেছে ৷ যা কোম্পানির মোট আয়ের 68 শতাংশ ।

নাসডাক তালিকাভুক্ত টিঙ্গো গ্রুপের আর্থিক বিষয়ে প্রশ্ন করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বলেছে যে যদি কোম্পানির দাবি সত্যি হয় তবে তার দাবিকৃত 24.8 শতাংশ অপারেটিং মার্জিন প্রতিটি প্রধান তুলনামূলক খাদ্য কোম্পানির চেয়ে বেশি হবে ।

  • নিজস্ব কোনও প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা ছাড়াই খাদ্য ব্যবসা !

আরও আশ্চর্যের বিষয় হল সংস্থাটির নিজস্ব কোনও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা নেই । বরং, এটি দাবি করে যে এত বেশি রাজস্ব তারা নাইজেরিয়ান কৃষক এবং একটি নামহীন তৃতীয় পক্ষের খাদ্য প্রসেসরের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করার মাধ্যমে তারা লাভ করেছে ।

আরও পড়ুন: বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে আপত্তি নেই, আদানি কাণ্ডে জানাল কেন্দ্র

  • আদানি গ্রুপের উপর হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের প্রভাব

এই বছরের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ গ্রুপ গৌতম আদানি নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়িক সংগঠনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল । এটি আদানি গ্রুপকে অন্যান্য সন্দেহজনক কাজের পাশাপাশি স্টক, হিসেবে গড়মিল, ক্রোনিজম এবং কর ফাঁকির জন্য অভিযুক্ত করেছে । এই রিপোর্টের ফলে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির 104 বিলিয়নেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রভাবের ফলে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.