জেনেভা, 31 মে : সদ্যই পড়াশোনা শেষ করেছেন । দু-চোখে চাকরির স্বপ্ন । কোরোনার থাবায় এবার ভাঙতে বসেছে সেই স্বপ্নও ।
এতদিন চাকরি হারানোর ভয় তো ছিলই । এবার চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কা । আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথাই বলা হয়েছে ।
‘ILO মনিটর: COVID-19 অ্যান্ড দা ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক’-র চতুর্থ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে গত বুধবার । এই সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, প্যানডেমিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুবসমাজ । ফেব্রুয়ারি থেকে যুব সম্প্রদায়ে বেকারত্বের হার দ্রুত বেড়েছে । যুবকদের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুবতিরা । তাঁদের উপর প্যানডেমিকের প্রভাব আরও বেশি ।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, COVID-19 প্যানডেমিক সাধারণের থেকে তিনগুণ বেশি প্রভাব ফেলেছে যুব সমাজের উপর । শুধুমাত্রই তাঁদের কর্মসংস্থান ধ্বংস করেনি । তাঁদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করেছে । সব থেকে কঠিন সময় তৈরি করেছে তাঁদের জন্য যাঁরা সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছেন । অর্থাৎ, পড়াশোনার পর যাঁরা কাজ শুরু করতেন বা চাকরি পরিবর্তনের কথা ভেবেছিলেন তাঁদের জন্য বড় বাধা তৈরি হয়ে গিয়েছে ।
ILO-র ডিরেক্টর জেনেরাল গায় রাইডার এই বিষয়ে বলেন, “আমরা যদি এই পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য এখনই না তৎপর হই বা উপযুক্ত পদক্ষেপ না করি, তবে এই ভাইরাসের প্রভাব দশকের পর দশক ধরে থেকে যাবে । সুযোগের অভাবে যদি মেধা বা শক্তিই প্রান্তিক হয়ে যায়, আমাদের প্রত্যেকের ভবিষ্যতের ক্ষতি করবে । COVID-19 পরবর্তী অর্থনীতিতে তা পুনরায় তৈরি করা খুব কঠিন হবে ।”
লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ চাকরিহারিয়েছেন । সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে প্রকাশিত, প্রতি ছয় জনের মধ্যে এক জনের বেশি কর্মচ্যুতহয়েছেন । আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী দিনেসংখ্যাটা আরও বাড়বে । তবে, শুধুকর্মসংস্থান নয়, প্রভাব পড়েছেশিক্ষাব্যবস্থার উপরেও । প্যানডেমিক-লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল, কলেজ-সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও ।পিছিয়েছে পরীক্ষা । শুরু হয়নি নতুন শিক্ষাবর্ষ ।