ETV Bharat / briefs

টক টু মেয়র প্রোগ্রামে চাকরির আর্জি, দেখা করতে বললেন ফিরহাদ

টক টু মেয়র প্রোগ্রামে করছাড়ের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চাকরির আর্জি । আবেদন নিয়ে অফিসে আসার কথা বললেন মেয়র ।

ফিরহাদ হাকিম
author img

By

Published : Jul 4, 2019, 4:56 AM IST

Updated : Jul 4, 2019, 6:58 AM IST

কলকাতা, 4 জুলাই : ঘড়িতে ঠিক বিকেল ৪টে । ঘোষণা অনুয়ায়ী পৌরনিগমের কনফারেন্স রুমে ঢুকলেন তিনি । খাতা, কলম নিয়ে সঙ্গেই ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা । বাজতে শুরু করল ফোনের রিং । একের পর এক শুনলেন শহরবাসীর সমস্যার কথা । হঠাৎ তার মধ্যেই উঠে এল একটি চাকরির আর্জি । বরানগর থেকে এক মহিলা ফোন করে চাকরির জন্য আবেদন জানালেন মেয়রকে । ফোনে এই আবেদন শুনে প্রথমদিকে খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও পরে, ওই মহিলাকে নগরায়ন দপ্তরে এসে দেখা করার কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম ।

সোমবার সূচনা হয় টক টু মেয়র প্রোগ্রামের । মেয়র বলেছিলেন, প্রত্যেক বুধবার একঘণ্টা করে ফোনে থাকবেন তিনি । শহরবাসীর সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন । সেইমতো গতকাল বিকেলে একের পর এক সমস্যা শুনছিলেন তিনি । হঠাৎ বরানগর থেকে এক মহিলা ফোন করেন মেয়রকে । বলেন, " আমার কোনও অভিযোগ নেই । আমার বাবা বরানগর পৌরসভায় চাকরি করতেন । 2014 সালে তিনি মারা যান । এরপর আমি চাকরির জন্য বহুজনকে বলেছিলাম কোনও সুরাহা হয়নি । আপনি যদি একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দেন ।" প্রথমদিকে খানিকটা হকচকিয়ে গিয়ে মেয়র বলেন, "এটা কলকাতা পৌরনিগমের ফোন ।" পরে বলেন ," আপনি নগরায়ন দপ্তরে আমার সেক্রেটারি কিংবা আমার সঙ্গে দেখা করুন । কিংবা বরানগরের পৌরপ্রধানকে বলুন আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে ।"

টক টু মেয়রে গতকাল নানান সমস্যার কথা উঠে আসে । ঠাকুরপুকুর থেকে এক ব্যাক্তি জলের সমস্যার কথা জানান । বিজয়গড় থেকে এক মহিলা ফোন করে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য ট্যাক্স কম করার আর্জি জানান । B K পাল লেন থেকে এক ব্যক্তি এলাকায় বেআইনি নির্মাণে খবর দেন । এছাড়াও, কসবা থেকে একজন ফোন করে জানান, তাঁদের আড়াই কাঠা জমি আছে । কিন্তু, প্রতিবেশীর চাপে তিনি সেখানে কিছুই করতে পারছেন না । বেশি কিছু বললে জাভেদ খানের ভয় দেখাচ্ছেন । উত্তরে মেয়র বললেন, "আপনি ও ফিরহাদ হাকিমের নাম নিন । যদি সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকে প্ল্যান জমা দিন । এখানে ভয় দেখানোর কোন জায়গা নেই । অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে ।"

নগরবাসীর সমস্যা কথা শোনার পর সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন ,"আমি যা খবর পাচ্ছি মানুষ এই প্রোগ্রামের জন্য ভীষণ উৎসাহিত।" এতগুলি ওয়ার্ড, প্রত্যেকটিতে জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান আপনাকে করতে হচ্ছে কেন? উত্তরে মেয়র বলেন, "জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই দিন রাত কাজ করছেন । অনেক মানুষ আছে বাড়ি থেকে বেরতে পারেন না, তাঁরা ফোন করে মহানাগরিককে বললেন । আমিও তো জনপ্রতিনিধি, আমি তাদের হয়ে যদি কাজটা করি সমস্যা কোথায়?"

কলকাতা, 4 জুলাই : ঘড়িতে ঠিক বিকেল ৪টে । ঘোষণা অনুয়ায়ী পৌরনিগমের কনফারেন্স রুমে ঢুকলেন তিনি । খাতা, কলম নিয়ে সঙ্গেই ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা । বাজতে শুরু করল ফোনের রিং । একের পর এক শুনলেন শহরবাসীর সমস্যার কথা । হঠাৎ তার মধ্যেই উঠে এল একটি চাকরির আর্জি । বরানগর থেকে এক মহিলা ফোন করে চাকরির জন্য আবেদন জানালেন মেয়রকে । ফোনে এই আবেদন শুনে প্রথমদিকে খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও পরে, ওই মহিলাকে নগরায়ন দপ্তরে এসে দেখা করার কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম ।

সোমবার সূচনা হয় টক টু মেয়র প্রোগ্রামের । মেয়র বলেছিলেন, প্রত্যেক বুধবার একঘণ্টা করে ফোনে থাকবেন তিনি । শহরবাসীর সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন । সেইমতো গতকাল বিকেলে একের পর এক সমস্যা শুনছিলেন তিনি । হঠাৎ বরানগর থেকে এক মহিলা ফোন করেন মেয়রকে । বলেন, " আমার কোনও অভিযোগ নেই । আমার বাবা বরানগর পৌরসভায় চাকরি করতেন । 2014 সালে তিনি মারা যান । এরপর আমি চাকরির জন্য বহুজনকে বলেছিলাম কোনও সুরাহা হয়নি । আপনি যদি একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দেন ।" প্রথমদিকে খানিকটা হকচকিয়ে গিয়ে মেয়র বলেন, "এটা কলকাতা পৌরনিগমের ফোন ।" পরে বলেন ," আপনি নগরায়ন দপ্তরে আমার সেক্রেটারি কিংবা আমার সঙ্গে দেখা করুন । কিংবা বরানগরের পৌরপ্রধানকে বলুন আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে ।"

টক টু মেয়রে গতকাল নানান সমস্যার কথা উঠে আসে । ঠাকুরপুকুর থেকে এক ব্যাক্তি জলের সমস্যার কথা জানান । বিজয়গড় থেকে এক মহিলা ফোন করে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য ট্যাক্স কম করার আর্জি জানান । B K পাল লেন থেকে এক ব্যক্তি এলাকায় বেআইনি নির্মাণে খবর দেন । এছাড়াও, কসবা থেকে একজন ফোন করে জানান, তাঁদের আড়াই কাঠা জমি আছে । কিন্তু, প্রতিবেশীর চাপে তিনি সেখানে কিছুই করতে পারছেন না । বেশি কিছু বললে জাভেদ খানের ভয় দেখাচ্ছেন । উত্তরে মেয়র বললেন, "আপনি ও ফিরহাদ হাকিমের নাম নিন । যদি সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকে প্ল্যান জমা দিন । এখানে ভয় দেখানোর কোন জায়গা নেই । অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে ।"

নগরবাসীর সমস্যা কথা শোনার পর সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন ,"আমি যা খবর পাচ্ছি মানুষ এই প্রোগ্রামের জন্য ভীষণ উৎসাহিত।" এতগুলি ওয়ার্ড, প্রত্যেকটিতে জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান আপনাকে করতে হচ্ছে কেন? উত্তরে মেয়র বলেন, "জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই দিন রাত কাজ করছেন । অনেক মানুষ আছে বাড়ি থেকে বেরতে পারেন না, তাঁরা ফোন করে মহানাগরিককে বললেন । আমিও তো জনপ্রতিনিধি, আমি তাদের হয়ে যদি কাজটা করি সমস্যা কোথায়?"

Intro:টক টু মেয়রে চাকরির আর্জি Body:

মানস নস্কর---

"টক টু মেয়র" এ চাকরির ব্যাবস্থা ,করছাড়ের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার আর্জি,মেয়র বললেন আবেদন নিয়ে অফিসে আসুন

কলকাতা ৩জুলাইঃ
ঘড়িতে ঠিক বিকেল ৪ টে।কলকাতা পৌরনিগমের কনফারেন্স রুমে ঢুকলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তার আগে থেকেই সেখানে বসে আছেন বিভিন্ন দপ্তরের ডিজিরা,সঙ্গে খাতা কলম। কিছুক্ষন পর থেকেই ফোন বাজতে শুরু করলো।মহানাগরিক একটি একটি করে ফোন ধরলেন,কথা বললেন, সাধ্যমত সমাধানের আশ্বাস দিলেন।সব থেকে মজার ব্যাপার হলো কলকাতার বরানগর থেকে এক মহিলা ফোন করে একটি চাকরির ব্যাবস্থা যদি মেয়র করে দেন খুব ভালো হয় বলে এই আর্জিও জানালেন। আর মহানাগরিক তাকে তার অন্য একটি দপ্তর নগরায়ন দপ্তরে দেখা করার কথা বললেন।

ঠাকুরপুকুর থেকে ফোন করে এক ব্যাক্তি জানালেন ঘরে জল নেই।পূর্নচন্দ্র মিত্র লেন থেকে এক ব্যাক্তি জানালেন পৈত্রিক বাড়িতে ভাইজির সাথে সহাবস্থানে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে, মেয়র জানালেন এক সপ্তাহের মধ্যে একশান নেওয়া হবে।বিজয়গড় থেকে এক মহিলা ফোন করে জানালেন,স্বামী মারা গেছে ১২ বছর আগে।ছোটো ছোটো বাচ্চা রয়েছে। একটা দোকান রয়েছে। কিন্ত গত ১২ বছরে ট্যাক্স কিছু দিতে পারেন নি।যদি ট্যাক্স টা কিছু করা যায়। মেয়র জানালেন আবেদন নিয়ে অফিসে আসুন দেখি কি করা যায়। বি কে পাল লেন থেকে একজন ফোন করে বললেন, বেয়াইনি নির্মান হচ্ছে এলাকায়।পুলিশকে বললে বন্ধ থাকে। কিছুদিন পর আবার কাজ চলে।মেয়র জানালেন, পুলিশের ক্ষমতা নেই ডেমোলিশ করার।আমি দেখে নিচ্ছি যদি বেয়াইনি হয় আমি ডিজি বিল্ডিং কে বলে দিচ্ছি অবিলম্বে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। কসবা থেকে একজন ফোন করে বললেন তাদের আড়াই কাঠা জমি আছে কিন্ত সেখানে কিছু করতে পারছেন পাশের সম্পত্তির মালিকের বাধায়।তিনি আবার জাবেদ খানের ভয় দেখাচ্ছেন।মেয়র বললেন, আপনি ও ফিরহাদ হাকিমের নাম নিন।যদি সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকে প্ল্যান জমা দিন।এখানে ভয় দেখানোর কোন জায়গা নেই। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।একজন ধাপা থেকে ফোন করে জানালেন,পাড়ায় একজন শুয়োর চাষ করেছেন।নোংরা খাবার, আবর্জনার ব্যাবসা করেন। পাড়ায় একেবারে থাকা যাচ্ছে না।মেয়রের উত্তর,আমি জানি ঐ খানকার পরিস্থিতি, দেখছি। এক ভদ্রমহিলা বরানগর থেকে ফোন করে জানালেন তার কোন অভিযোগ নেই। মহিলার বাবা বরানগর পুরসভায় চাকরি করতেন। ২০১৪ সালে যখন মারা গেলেন তখনও এক বছর চাকরি ছিল।আমি বহুজনকে বলেছি কিছু সুরাহা হয়নি।আপনি যদি একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দেন।মেয়র জানালেন,"আপনি আমার নগরায়ন দপ্তরে দেখা করুন আমার সঙ্গে।

শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন,"আমাদের এই যে টক টু মেয়র সেদিন উদবোধন হয়েছিল,আমরা বুধবার করে এটা করবো।আমি যা খবর পাচ্ছি মানুষ ভীষণ উৎসাহিত। "সাংবাদিকদের পালটা প্রশ্ন, এতগুলো ওয়ার্ড, প্রত্যেক্টাতে জনপ্রতিনিধি রয়েছে তা সত্তেও আপনাকে বলতে হচ্ছে?মেয়রের উত্তর, জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই দিনরাত কাজ করছেন। অনেক মানুষ আছে বাড়ি থেকে বেরতে পারেন না, তারা ফোন করে মহানাগরিককে বললেন।আমিও তো জনপ্রতিনিধি, আমি তাদের হয়ে যদি কাজটা করি সমস্যা কোথায়?"Conclusion:
Last Updated : Jul 4, 2019, 6:58 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.