ETV Bharat / briefs

পর্যবেক্ষক হতে চেয়ে কমিশনের অফিসে বায়োডেটা জমা "বেকার" যুবকদের

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য , সম্প্রতি বিবেক দুবে ও অজয় নায়েকের উপর শাসক দলের তরফে একাধিকভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে । আর এটি তার নবতম সংযোজন ।

অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে
author img

By

Published : Apr 27, 2019, 11:49 PM IST

কলকাতা, 27 এপ্রিল : একজন প্রাক্তন IPS , অপরজন অবসরপ্রাপ্ত IAS । সেই যুক্তিতে তাঁদের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে । তারপর আজ কয়েকজন যুবক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পর্যবেক্ষকের পদে নিয়োগের জন্য বায়োডেটা জমা দিল । তাদের দাবি, বেকার যুবকরা থাকতেও অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের কেন সেই পদে নিয়োগ করা হল ? যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য , সম্প্রতি বিবেক দুবে ও অজয় নায়েকের উপর শাসক দলের তরফে একাধিকভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে । আর এটি তার নবতম সংযোজন ।

আজ দুপুরে 15-20 জন যুবক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বায়োডেটা জমা দেয় । নিজেদের বেকার হিসেবে দাবি করে তাদের বক্তব্য, বিশেষ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পদে বেকার যুবকদের নিয়োগ করতে হবে । অবসরপ্রাপ্তদের অফিসারদের নয় । তাদের দাবি, যদি অবসরপ্রাপ্তদের নতুনভাবে নিয়োগ করা হয়, তবে বেকাররা কী দোষ করল ?

এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনে দুই আধিকারিকের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে । যদিও সেই যুবকদের কাছে দলীয় পতাকা ছিল না । তৃণমূলের নামও উচ্চারণ করেনি কেউ । যদিও একাধিক মহলের বক্তব্য, অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের সঙ্গে তৃণমূলের রীতিমতো ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে । দুই তরফে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে । তাঁদের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে । সম্প্রতি অজয় নায়েক বলেছিলেন, "10 বছর আগে বিহারে যে অবস্থা ছিল, বাংলায় এখন সেরকম অবস্থা ।" সেজন্য নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাঁদের অপসারণের দাবিতে তৃণমূল চিঠি দেয় । তাদের অভিযোগ, BJP-র নির্দেশ মতো কাজ করছেন নায়েক ।

তারপর 22 এপ্রিল অরিন্দম বসু নামে এক আইনজীবী দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাবকে চিঠি দেন । তাঁর দাবি, বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পদে দুই আধিকারিকের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বেআইনি । চিঠিতে তিনি লেখেন, "১৯৮১ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IPS বিবেক দুবে ও ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IAS অজয় নায়ককে বিশেষ ক্ষমতা বলে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। 1951 সালের রিপ্রেজ়েন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্টের 20B ধারায় কমিশনকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ।" অরিন্দমের দাবি, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী, কর্মরত অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে পারে কমিশন । এক্ষেত্রে দু'জনেই যেহেতু অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তাই তাঁদের নিয়োগ বেআইনি । সেজন্য অবিলম্বে দুই পর্যবেক্ষককে সরানোর দাবি তোলেন ।

Election Commission
সেই চিঠি

পাশাপাশি, অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে । দুই আবেদনকারীর দাবি, ইতিমধ্যে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ায় তাঁরা পক্ষপাতিত্ব করতে থাকেন । অজয় নায়েকের মন্তব্য নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে । আর নতুন পন্থা হিসেবে বেকার যুবকদের হাতিয়ার করা হয়েছে ।

কলকাতা, 27 এপ্রিল : একজন প্রাক্তন IPS , অপরজন অবসরপ্রাপ্ত IAS । সেই যুক্তিতে তাঁদের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে । তারপর আজ কয়েকজন যুবক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পর্যবেক্ষকের পদে নিয়োগের জন্য বায়োডেটা জমা দিল । তাদের দাবি, বেকার যুবকরা থাকতেও অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের কেন সেই পদে নিয়োগ করা হল ? যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য , সম্প্রতি বিবেক দুবে ও অজয় নায়েকের উপর শাসক দলের তরফে একাধিকভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে । আর এটি তার নবতম সংযোজন ।

আজ দুপুরে 15-20 জন যুবক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বায়োডেটা জমা দেয় । নিজেদের বেকার হিসেবে দাবি করে তাদের বক্তব্য, বিশেষ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পদে বেকার যুবকদের নিয়োগ করতে হবে । অবসরপ্রাপ্তদের অফিসারদের নয় । তাদের দাবি, যদি অবসরপ্রাপ্তদের নতুনভাবে নিয়োগ করা হয়, তবে বেকাররা কী দোষ করল ?

এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনে দুই আধিকারিকের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে । যদিও সেই যুবকদের কাছে দলীয় পতাকা ছিল না । তৃণমূলের নামও উচ্চারণ করেনি কেউ । যদিও একাধিক মহলের বক্তব্য, অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের সঙ্গে তৃণমূলের রীতিমতো ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে । দুই তরফে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে । তাঁদের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে । সম্প্রতি অজয় নায়েক বলেছিলেন, "10 বছর আগে বিহারে যে অবস্থা ছিল, বাংলায় এখন সেরকম অবস্থা ।" সেজন্য নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাঁদের অপসারণের দাবিতে তৃণমূল চিঠি দেয় । তাদের অভিযোগ, BJP-র নির্দেশ মতো কাজ করছেন নায়েক ।

তারপর 22 এপ্রিল অরিন্দম বসু নামে এক আইনজীবী দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাবকে চিঠি দেন । তাঁর দাবি, বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পদে দুই আধিকারিকের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বেআইনি । চিঠিতে তিনি লেখেন, "১৯৮১ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IPS বিবেক দুবে ও ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IAS অজয় নায়ককে বিশেষ ক্ষমতা বলে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। 1951 সালের রিপ্রেজ়েন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্টের 20B ধারায় কমিশনকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ।" অরিন্দমের দাবি, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী, কর্মরত অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে পারে কমিশন । এক্ষেত্রে দু'জনেই যেহেতু অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তাই তাঁদের নিয়োগ বেআইনি । সেজন্য অবিলম্বে দুই পর্যবেক্ষককে সরানোর দাবি তোলেন ।

Election Commission
সেই চিঠি

পাশাপাশি, অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে । দুই আবেদনকারীর দাবি, ইতিমধ্যে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ায় তাঁরা পক্ষপাতিত্ব করতে থাকেন । অজয় নায়েকের মন্তব্য নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে । আর নতুন পন্থা হিসেবে বেকার যুবকদের হাতিয়ার করা হয়েছে ।

Intro:কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের সঙ্গে রীতিমতো শুরু হয়ে গেছে ছায়াযুদ্ধ। আইনি চিঠি, হাইকোর্টে মামলার পর এবার অজয় এবং বিবেককে সরাতে অভিনব আন্দোলন। বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক হতে চেয়ে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বায়োডাটা জমা দিলেন বেশকিছু বেকার যুবক। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে অজয় এবং বিবেককে সরাতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আজ যে বেকার যুবকরা বায়োডাটা জমা দিলেন তাঁরা তৃণমূল কর্মী। যদিও তাদের সঙ্গে দলীয় পতাকা ছিল না। দলের নামও উচ্চারণ করেনি কেউ।Body:গত 22 এপ্রিল অরিন্দম বসু নামে এক আইনজীবী চিঠি দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে। তাঁর দাবি, বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে বিবেক দুবের নিয়োগ বেআইনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, “ ১৯৮১ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত IPS বিবেক দুবে এবং ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অজয় নায়ককে বিশেষ ক্ষমতা বলে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগ করা হয়েছে রেপ্রেসেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট, ১৯৫১ প্রদত্ত ক্ষমতায়। ওই অ্যাক্টের ২০ বি ধারায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমিশনকে।" অরিন্দমের দাবি, সংশ্লিষ্ট ধারা বলছে, অবজার্ভার হিসেবে কর্মরত অফিসারদের নিয়োগ করতে পারে কমিশন। এক্ষেত্রে দুজনেই যেহেতু অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তাই তাদের নিয়োগ অবৈধ। অবিলম্বে ২ অবজারভারকে সরানোর দাবি তোলেন ওই আইনজীবী।Conclusion:সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলা। আদালতেও দাবি তোলা হয়েছে দুই অবজারভারকে অপসারণের। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি শুরু হয়েছে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি। আজ পনেরো কুড়ি জন বেকার যুবক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সামনে আসেন। তাদের দাবি, অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে নয়, বেকার যুবকদের নিয়োগ করতে হবে বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পদে। যদি অবসর প্রাপ্তরা নতুন করে নিয়োগ হন, তবে বেকাররা কি দোষ করল?

বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকের বেশ কিছু পদক্ষেপ পছন্দ হয়নি বলে আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। সরাসরি না হলেও, দুই অবজার্ভারের পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। পাশাপাশি বিভিন্ন সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট এক বিজেপি নেতার অঙ্গুলিহেলনে চলছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.