পাণ্ডুয়া, ৭ মে : ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত । ভোট মিটতেই পাণ্ডুয়ার হরালে CPI(M)-র এক এজেন্টকে মারধর ও তাঁর বাড়ি ভাঙার অভিযোগ। অপর এক এজেন্টকেও মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি হরালের বড় মসজিদ তলার ।
অভিযোগ, গতরাতে অন্ধকারে বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতীরা । CPI(M) এজেন্ট আবদুল রেজ্জাককে বেধড়ক মারধর করে । বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় । আবদুল ছাড়াও আর এক CPI(M) এজেন্টকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই এজেন্টের নাম শেখ ইসরাফিল। ভোট শেষে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় । তাঁদের অভিযোগ, পাণ্ডুয়ার হরালে ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বুথে বামফ্রন্ট প্রার্থী প্রদীপ সাহার সমর্থনে এজেন্ট বসার কারণেই এই হামলা চালায় তৃণমূল । তাঁরা পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন । খবর পেয়ে বাম প্রার্থী প্রদীপ সাহা দেখা করতে যান তাঁদের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তিনি ।
এই বিষয়ে আবদুল রেজ্জাক বলেন, আমি CPI(M) প্রার্থীর এজেন্ট হয়েছিলাম বলেই আমায় মারধর করা হল । বুথ থেকে বেরোনোর পরই আমায় চার পাঁচজন বেধড়ক মারধর করে । এরপরে রাতে আমার বাড়িতেও চড়াও হয়। ভাঙচুরের চেষ্টা করে । পুরো শরীরে মেরেছে আমায় লাঠি দিয়ে । আমায় পার্টি ছাড়ার হুমকি দেয় ।"
এই বিষয়ে বাম প্রার্থী প্রদীপবাবু বলেন , "রাতের অন্ধকারে ইলেকট্রিক বন্ধ করে দিয়ে ওদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় । তৃণমূলের পঞ্চায়েতে উপপ্রধান হাসিনুর রহমানের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে । ওদের বাড়ির গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা ।"
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি জামাল নাসের বলেন, "রেজ্জাক সাহেব চোরাই জিনিসপত্রের ব্যবসা করে । একটি চোরাই সাইকেল নিয়ে এই ঘটনা ঘটে । এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই । কাল শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে ।"