হুগলি, 4 জুলাই : লোকসভায় হারের জের । কোপ পড়়ল জেলা সভাপতির উপরই । খবরটা ছড়াচ্ছিল আনাচে-কানাচে । এবার সত্যি সত্যিই বদল করা হল হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতিকে । তপন দাশগুপ্তের জায়গায় এলেন দিলীপ যাদব । তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে আরামবাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি ।
হুগলিতে তৃণমূলের পরাজয় হয়েছে । আর এরপরই কার্যত তপনবাবুকে একঘরে করে দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব । হুগলি জেলার চেয়ারপার্সন করা হয়েছিল রত্না দে নাগকে । বলাগড়, চুঁচুড়া ও আদিসপ্তগ্রামে তৃণমূলের চরম বিপর্যয় হয় । এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তপনবাবুকে । শুধু তাই নয়, তিনিই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য দায়ি বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ । নিচুতলার কর্মীদের আবার অভিযোগ, তোলাবাজি, কাটমানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তপনবাবু । সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মন্ত্রিত্বও খোয়াতে পারেন তিনি । শোনা যাচ্ছে, তপনবাবু BJP-র সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন ।
তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি দিলীপবাবুর সঙ্গে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে চারজনকে রাখা হয়েছে । তাঁরা হলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল ও ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র । এরমধ্যে প্রবীর ঘোষাল ও অসীমা পাত্র কার্যকরী সভাপতি হিসেবে আগে থেকেই কাজ করছিলেন ।