ইসলামাবাদ, 15 জুন : আজ সকালে দুই ভারতীয় CISF কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান পুলিশ। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পাকিস্তানি মিডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়, দুই ভারতীয় অফিসারকে হিট অ্যান্ড রান কেসে আটক করা হয়েছে। পরে ওই দুই আধিকারিককে ছেড়ে দেওয়া হলেও দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর বেড়েছে ।
ঘটনাটি ঘটে আজ সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ। এক গাড়িচালকসহ দুই CISF কর্মী আচমকাই প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপরই ভারতীয় হাইকমিশনারের তরফ থেকে বিষয়টি পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়। সন্দেহ করা হয়, ওই দুই ব্যক্তিকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আটক করে রেখেছে। পরে পাকিস্তানি মিডিয়ায় বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দুই ভারতীয় হিট অ্যান্ড রান কেসে যুক্ত এবং তাঁদের আটক করতে গেলে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন।
সূত্র অনুযায়ী, দিল্লিতে নিয়োগিত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ হায়দার শাহকে বিদেশ মন্ত্রকের PAI( পাকিস্তান- আফগানিস্তান- ইরান) ডেস্কের যুগ্ম সেক্রেটারির তরফ থেকে তলব করে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, " ভারতীয় কর্মকর্তাদের কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ বা হয়রানি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্ব পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের। "
যদিও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, হিট অ্যান্ড রান কেসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারের কথা সরকারিভাবে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের তরফে করা হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একজন সদস্য জানান, পাকিস্তানকে ওই দুই আটক ব্যক্তি ও গাড়িটি হাইকমিশনে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। "
সম্প্রতি দুই পাকিস্তানি কর্মী ও তাঁদের গাড়িচালককে নয়াদিল্লিতে প্রথমে আটক ও পরে গুপ্তচরবৃত্তি এবং ভারতীয় সুরক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের নথি হাতানোর চেষ্টার জন্য ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়। ইসলামাবাদের তরফ থেকে এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করা হয় এবং তারপর থেকেই " টিট ফর ট্যাট "-র জল্পনা শুরু হয়। বহিষ্কারের ঘটনার পর থেকেই দুই পক্ষ একে অপরের গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুই দেশের হাই কমিশনার সহ কূটনৈতিক কর্মীদের হয়রানি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে। নিজেদের দাবি সমর্থনের জন্য বিভিন্ন ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে।