ETV Bharat / briefs

মামার সঙ্গে মিলে নিজেকে অপহরণের নাটক কিশোরের? 30 লাখ মুক্তিপণ দাবি

অপহরণের একটা গোছানো চিত্রনাট্য । একেবারে সিনেমার মতো । প্রথমে বছর পনেরোর কিশোরের গুম হয়ে যাওয়া । পরে অপহরণকারীর ফোন । দিতে হবে 30 লাখ টাকা । ছেলেকে ফিরে পেতে বাবার তাতেই রাজি হয়ে যাওয়া । পরে পুলিশের পরামর্শে বার্গেনিং । 15 লাখে রফা । অবশেষে জানা গেল, কীর্তিমান অপহরণকারী আর কেউ নয়, তাঁর নিজের শ্যালক ।

মণীশ চৌরাশিয়া
author img

By

Published : Apr 21, 2019, 11:01 PM IST

কলকাতা, 21 এপ্রিল : অপহরণের একটা গোছানো চিত্রনাট্য । একেবারে সিনেমার মতো । প্রথমে বছর পনেরোর কিশোরের গুম হয়ে যাওয়া । পরে অপহরণকারীর ফোন । দিতে হবে 30 লাখ টাকা । ছেলেকে ফিরে পেতে বাবার তাতেই রাজি হয়ে যাওয়া । পরে পুলিশের পরামর্শে বার্গেনিং । 15 লাখে রফা । তারপর ছেলেকে ফেরত পেতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীর কথা মতো নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরা । অবশেষে জানা গেল, কীর্তিমান অপহরণকারী আর কেউ নয়, তাঁর নিজের শ্যালক । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের চোখ চড়কগাছ । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মামার সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল অপহৃত কিশোর । বিষয়টি নিয়ে হতে চলছে জেরা পর্ব । পর্দা ফাঁসের চেষ্টায় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা । ঘটনায় আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই যুবককে ।

গত রবিবার জোড়াসাঁকো এলাকার 15 বছরের কিশোর হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে যায় । তার দিন কয়েক আগেই বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন বাবা । তিনি কর্মসূত্রে থাকেন কঙ্গোয় । খোঁজ শুরু হয় কিশোরের । দিনভর খোঁজাখুঁজির পর জোড়াসাঁকো থানায় প্রথমে মিসিং ডায়েরি করা হয় । পরে ফোন আসে কিশোরের বাবার মোবাইলে । বলা হয়, অপহরণ করা হয়েছে ওই কিশোরকে । ছেলেকে জীবিত ফেরত পেতে হলে দিতে হবে 30 লাখ টাকা । পুলিশকে খবর দিলে ফল ভালো হবে না । দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবার প্রথমে রাজি হয়ে যায় অপহরণকারীদের কথায় । ছেলেকে ফেরত পেতে 30 লাখ টাকাই দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যান বাবা । পরে সত্যি খতিয়ে দেখে পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় কিশোরের পরিবার । জোড়াসাঁকো থানায় বিষয়টি জানালে দায়ের করা হয় অপহরণের মামলা । পুরো ঘটনার কথা জানানো হয় গোয়েন্দা বিভাগে । কেসের দায়িত্ব নেন গুন্ডা দমন শাখার অফিসার সুব্রত পাল । এর মাঝে আবারও ফোন আসে অপহরণকারীর । ফোনের টাওয়ার লোকেশন বোঝার জন্য পুলিশ শুরু করতে বলে দর কষাকষি । প্রায় তিনদিন দর কষাকষির পর রফা হয় 15 লাখে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণকারীরা প্রথমে টাকা নিয়ে আসানসোলে যেতে বলে । তৈরি হয় টিম । কিশোরের বাবা-কাকা, সঙ্গে ছদ্মবেশে গুন্ডা দমন শাখার সুব্রত, অন্য পুলিশ অফিসার এবং জোড়াসাঁকো থানার ফোর্স । ট্রেনে আসানসোল যায় পুরো দল । সেখানে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফের ফোন আসে অপহরণকারীর । বলা হয়, আসানসোল নয়, যেতে হবে জোসিডি স্টেশন । ফের অন্য একটি ট্রেনে ঝাড়খণ্ডের জোসিডি স্টেশন হয়ে যায় পুরো দল । ফের ফোন আসে অপহরণকারীর । এবার নির্দেশ আসে যেতে হবে ঝাঁঝা । ঘোরাঘুরিতে কেটে যায় গোটা রাত । আজ ভোরে ঝঞ্ঝা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের উপর একটি ফাঁকা জায়গায় রাখতে বলা হয় টাকার ব্যাগ । নির্দেশ মতো তাই করা হয় । আবারও ফোন করে অপহরণকারী। প্রথমে বলা হয়, কিশোরকে কলকাতায় ফেরত দেওয়া হবে । পরে বলা হয়, ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে তখন বলা হবে কিশোরের সঠিক লোকেশন । কিছুক্ষণ পর ঝাঁঝা স্টেশনের কাছে দুই ব্যক্তিকে ওই ব্যাগের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করতে দেখা যায় । ঘিরে ফেলে পুলিশ । কিশোরের বাবা চিনতে পেরে যান এক ব্যক্তিকে । সে আর কেউ নয়, কিশোরের মামা বছর বাইশের মণীশ চৌরাশিয়া । অন্যজন, তার সহযোগী সুমিত দুবে । তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয় তাদের । জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কিশোর আছে পাটনায় । সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে পরিকল্পনায় ছিল কিশোর নিজেই । তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় । তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ।

কলকাতা, 21 এপ্রিল : অপহরণের একটা গোছানো চিত্রনাট্য । একেবারে সিনেমার মতো । প্রথমে বছর পনেরোর কিশোরের গুম হয়ে যাওয়া । পরে অপহরণকারীর ফোন । দিতে হবে 30 লাখ টাকা । ছেলেকে ফিরে পেতে বাবার তাতেই রাজি হয়ে যাওয়া । পরে পুলিশের পরামর্শে বার্গেনিং । 15 লাখে রফা । তারপর ছেলেকে ফেরত পেতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীর কথা মতো নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরা । অবশেষে জানা গেল, কীর্তিমান অপহরণকারী আর কেউ নয়, তাঁর নিজের শ্যালক । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের চোখ চড়কগাছ । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মামার সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল অপহৃত কিশোর । বিষয়টি নিয়ে হতে চলছে জেরা পর্ব । পর্দা ফাঁসের চেষ্টায় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা । ঘটনায় আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই যুবককে ।

গত রবিবার জোড়াসাঁকো এলাকার 15 বছরের কিশোর হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে যায় । তার দিন কয়েক আগেই বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন বাবা । তিনি কর্মসূত্রে থাকেন কঙ্গোয় । খোঁজ শুরু হয় কিশোরের । দিনভর খোঁজাখুঁজির পর জোড়াসাঁকো থানায় প্রথমে মিসিং ডায়েরি করা হয় । পরে ফোন আসে কিশোরের বাবার মোবাইলে । বলা হয়, অপহরণ করা হয়েছে ওই কিশোরকে । ছেলেকে জীবিত ফেরত পেতে হলে দিতে হবে 30 লাখ টাকা । পুলিশকে খবর দিলে ফল ভালো হবে না । দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবার প্রথমে রাজি হয়ে যায় অপহরণকারীদের কথায় । ছেলেকে ফেরত পেতে 30 লাখ টাকাই দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যান বাবা । পরে সত্যি খতিয়ে দেখে পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় কিশোরের পরিবার । জোড়াসাঁকো থানায় বিষয়টি জানালে দায়ের করা হয় অপহরণের মামলা । পুরো ঘটনার কথা জানানো হয় গোয়েন্দা বিভাগে । কেসের দায়িত্ব নেন গুন্ডা দমন শাখার অফিসার সুব্রত পাল । এর মাঝে আবারও ফোন আসে অপহরণকারীর । ফোনের টাওয়ার লোকেশন বোঝার জন্য পুলিশ শুরু করতে বলে দর কষাকষি । প্রায় তিনদিন দর কষাকষির পর রফা হয় 15 লাখে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণকারীরা প্রথমে টাকা নিয়ে আসানসোলে যেতে বলে । তৈরি হয় টিম । কিশোরের বাবা-কাকা, সঙ্গে ছদ্মবেশে গুন্ডা দমন শাখার সুব্রত, অন্য পুলিশ অফিসার এবং জোড়াসাঁকো থানার ফোর্স । ট্রেনে আসানসোল যায় পুরো দল । সেখানে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফের ফোন আসে অপহরণকারীর । বলা হয়, আসানসোল নয়, যেতে হবে জোসিডি স্টেশন । ফের অন্য একটি ট্রেনে ঝাড়খণ্ডের জোসিডি স্টেশন হয়ে যায় পুরো দল । ফের ফোন আসে অপহরণকারীর । এবার নির্দেশ আসে যেতে হবে ঝাঁঝা । ঘোরাঘুরিতে কেটে যায় গোটা রাত । আজ ভোরে ঝঞ্ঝা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের উপর একটি ফাঁকা জায়গায় রাখতে বলা হয় টাকার ব্যাগ । নির্দেশ মতো তাই করা হয় । আবারও ফোন করে অপহরণকারী। প্রথমে বলা হয়, কিশোরকে কলকাতায় ফেরত দেওয়া হবে । পরে বলা হয়, ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে তখন বলা হবে কিশোরের সঠিক লোকেশন । কিছুক্ষণ পর ঝাঁঝা স্টেশনের কাছে দুই ব্যক্তিকে ওই ব্যাগের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করতে দেখা যায় । ঘিরে ফেলে পুলিশ । কিশোরের বাবা চিনতে পেরে যান এক ব্যক্তিকে । সে আর কেউ নয়, কিশোরের মামা বছর বাইশের মণীশ চৌরাশিয়া । অন্যজন, তার সহযোগী সুমিত দুবে । তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয় তাদের । জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কিশোর আছে পাটনায় । সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে পরিকল্পনায় ছিল কিশোর নিজেই । তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় । তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ।

Intro:কলকাতা, ২১ এপ্রিল: অপহরণের টানটান চিত্রনাট্য। একেবারে সিনেমার মতো। প্রথমে বছর পনেরোর কিশোরের গুম হয়ে যাওয়া। পরে অপহরণকারীর ফোন। দিতে হবে ৩০ লাখ। ছেলেকে ফিরে পেতে বাবার তাতেই রাজি হয়ে যাওয়া। পরে পুলিশের পরামর্শে বার্গেনিং। ১৫ লাখে রফা। তারপর ছেলেকে ফেরত পেতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীর কথা মতো নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরা। অবশেষে আবিষ্কার, কীর্তিমান অপহরণকারী আর কেউ নয় তাঁর নিজের শ্যালক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের চোখ চড়কগাছ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মামার সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল অপহৃত কিশোর। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে চলছে জেরা পর্ব। পর্দাফাঁসের চেষ্টায় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। ঘটনায় আপাতত গ্রেফতার করাBody:ঘটনা গত রবিবারের। জোড়াসাঁকো এলাকার ১৫ বছরের কিশোর আয়ুশ ভগৎ হঠাৎই গুম হয়ে যায়। তার দিন কয়েক আগেই বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন বাবা। তিনি কর্মসূত্রে থাকেন কঙ্গোয়। হাসিখুশি পরিবারে হঠাৎ ছন্দপতন। খোঁজ শুরু হয় আয়ুশের। দিনভর খোঁজাখুঁজির পর জোড়াসাঁকো থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি হয়। পরে ফোন আসে আয়ুশের বাবার মোবাইলে। বলা হয়, অপহরণ করা হয়েছে ওই কিশোরকে। ছেলেকে জীবিত ফেরত পেতে হলে দিতে হবে ৩০ লাখ টাকা। পুলিশকে খবর দিলে ফল ভালো হবে না। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবার প্রথমে রাজি হয়ে যায় অপহরণকারীদের কথায়। ছেলেকে ফেরত পেতে ৩০ লাখ টাকাই দেওয়ার জন্য তৈরী হয়ে যান বাবা। পরে সত্যি খতিয়ে দেখে পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভগত পরিবার। জোড়াসাঁকো থানায় বিষয়টি জানালে দায়ের করা হয় অপহরণের মামলা। পুরো ঘটনার কথা জানানো হয় গোয়েন্দা বিভাগে। কেসের দায়িত্ব নেন গুন্ডা দমন শাখার অফিসার সুব্রত পাল। এর মাঝে আবারো ফোন আসে অপহরণকারীর। ফোনের টাওয়ার লোকেশন বোঝার জন্য পুলিশ শুরু করতে বলে দর কষাকষি। প্রায় তিন দিন দর কষাকষির পর রফা হয় ১৫ লাখে। Conclusion:পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণকারীরা প্রথমে আসানসোলে যেতে বলে টাকাসহ। তৈরি হয় টিম। আয়ুশের বাবা-কাকা, সঙ্গে ছদ্মবেশে গুন্ডা দমন শাখার সুব্রত, অন্য পুলিশ অফিসার এবং জোড়াসাঁকো থানার ফোর্স। ট্রেনে আসানসোল যায় পুরো দল। সেখানে এক ঘন্টা অপেক্ষার পর ফের ফোন আসে অপহরণকারীর। বলা হয়, আসানসোল নয়, যেতে হবে জোসিডি স্টেশন। ফের অন্য একটি ট্রেনে ঝাড়খণ্ডের জোসিডি স্টেশন হয়ে যায় পুরো দল। ফের ফোন আসে অপহরণকারীর। এবার নির্দেশ আসে যেতে হবে ঝাঁঝা। ঘোরাঘুরিতে কেটে যায় গোটা রাত। আজ ভোরে ঝঞ্ঝা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ওপর একটি ফাঁকা জায়গায় রাখতে বলা হয় টাকার ব্যাগ। নির্দেশ মত তাই করা হয়। আবারো ফোন করে অপহরণকারী প্রথমে বলা হয় আয়ুশকে কলকাতায় ফেরত দেওয়া হবে। পরে বলা হয়, ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করতে তখন বলা হবে আয়ুশের সঠিক লোকেশন। কিছুক্ষণ পর ঝাঁঝা স্টেশনের কাছে দুই ব্যক্তিকে ওই ব্যাগের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করতে দেখা যায়। ঘিরে ফেলে পুলিশ। আয়ুশের বাবা চিনতে পেরে যান এক ব্যক্তিকে। সে আর কেউ নয়, আয়ুশের মামা বছর বাইশের মণীশ চৌরাশিয়া। অন্যজন, তার সহযোগী সুমিত দুবে। তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় আয়ুশ আছে পাটনায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে পরিকল্পনায় ছিল আয়ুশও। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।



For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.