কলকাতা, 16 এপ্রিল: ইতিমধ্যেই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গেছে। কিন্তু, বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজ়েন্টেশন থাকায় এবং ভোট দিতে যাওয়ার জন্য ছুটি মঞ্জুর না করায় তাঁদের অনেকেই ভোট দিতে যেতে পারেনি বলে দাবি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। গতকাল ছাত্রদের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ই-মেল করা হয়। মেলে পড়ুয়াদের ভোটদানের অধিকার সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ সরকার বলেন, "১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্সির অনেক ছাত্রছাত্রী ভোট দিতে যেতে পারেনি। কারণ, প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ ক্লাস ডিজ়লভ করেনি। যারা ভোট দিতে যাবে তাদের জন্য আলাদা করে হাজিরার ব্যবস্থাও করা হয়নি। অনেক বিভাগে ইন্টার্নাল পরীক্ষা বা প্রেজেন্টেশন রয়েছে। সবমিলিয়ে অনেকেই ভোট দিতে পারেনি। ১৮ ও ২৩ তারিখ আবার নির্বাচন। অনেকে ভোট দিতে যেতে চায়। আমরা প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছি, যে দিনগুলিতে ভোট রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের যেন ওই দিনগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়। কোনও পরীক্ষা বা প্রেজ়েন্টেশন যেন না রাখা হয়।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতিকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "পরীক্ষার বিষয়টি দেখেন কন্ট্রোলার। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।"
ভোটের সময় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও পরীক্ষা রাখেনি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র জানাচ্ছেন, "ছাত্রছাত্রীরা ভোট দিতে যাতে অসুবিধায় না পড়ে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন কোনও পরীক্ষা ফেলা হয়নি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই শুরু হবে। এছাড়া, কেউ ভোট দেওয়ার জন্য অনুপস্থিত থাকলে তা কনসিডার করা হবে।"
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরি জানান, নির্বাচনের আগের দু'দিন ও পরের দু'দিন কোনও পরীক্ষা রাখা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে। এছাড়া, যে কলেজগুলিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। ভোট চলাকালীন শুধু অনার্স পেপারের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলি পরে হবে।