ETV Bharat / briefs

ভোটের সময় পরীক্ষা না রাখার আবেদন প্রেসিডেন্সিতে

ভোটদানের অধিকার সুনিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ও ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে আবেদন জানাল ছাত্ররা।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Apr 16, 2019, 9:53 AM IST

Updated : Apr 16, 2019, 12:52 PM IST

কলকাতা, 16 এপ্রিল: ইতিমধ্যেই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গেছে। কিন্তু, বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজ়েন্টেশন থাকায় এবং ভোট দিতে যাওয়ার জন্য ছুটি মঞ্জুর না করায় তাঁদের অনেকেই ভোট দিতে যেতে পারেনি বলে দাবি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। গতকাল ছাত্রদের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ই-মেল করা হয়। মেলে পড়ুয়াদের ভোটদানের অধিকার সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ সরকার বলেন, "১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্সির অনেক ছাত্রছাত্রী ভোট দিতে যেতে পারেনি। কারণ, প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ ক্লাস ডিজ়লভ করেনি। যারা ভোট দিতে যাবে তাদের জন্য আলাদা করে হাজিরার ব্যবস্থাও করা হয়নি। অনেক বিভাগে ইন্টার্নাল পরীক্ষা বা প্রেজেন্টেশন রয়েছে। সবমিলিয়ে অনেকেই ভোট দিতে পারেনি। ১৮ ও ২৩ তারিখ আবার নির্বাচন। অনেকে ভোট দিতে যেতে চায়। আমরা প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছি, যে দিনগুলিতে ভোট রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের যেন ওই দিনগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়। কোনও পরীক্ষা বা প্রেজ়েন্টেশন যেন না রাখা হয়।"

ভিডিয়োয় শুনুন শুভজিৎ সরকারের বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতিকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "পরীক্ষার বিষয়টি দেখেন কন্ট্রোলার। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।"

ভোটের সময় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও পরীক্ষা রাখেনি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র জানাচ্ছেন, "ছাত্রছাত্রীরা ভোট দিতে যাতে অসুবিধায় না পড়ে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন কোনও পরীক্ষা ফেলা হয়নি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই শুরু হবে। এছাড়া, কেউ ভোট দেওয়ার জন্য অনুপস্থিত থাকলে তা কনসিডার করা হবে।"

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরি জানান, নির্বাচনের আগের দু'দিন ও পরের দু'দিন কোনও পরীক্ষা রাখা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে। এছাড়া, যে কলেজগুলিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। ভোট চলাকালীন শুধু অনার্স পেপারের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলি পরে হবে।

কলকাতা, 16 এপ্রিল: ইতিমধ্যেই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গেছে। কিন্তু, বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজ়েন্টেশন থাকায় এবং ভোট দিতে যাওয়ার জন্য ছুটি মঞ্জুর না করায় তাঁদের অনেকেই ভোট দিতে যেতে পারেনি বলে দাবি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। গতকাল ছাত্রদের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ই-মেল করা হয়। মেলে পড়ুয়াদের ভোটদানের অধিকার সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ সরকার বলেন, "১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্সির অনেক ছাত্রছাত্রী ভোট দিতে যেতে পারেনি। কারণ, প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ ক্লাস ডিজ়লভ করেনি। যারা ভোট দিতে যাবে তাদের জন্য আলাদা করে হাজিরার ব্যবস্থাও করা হয়নি। অনেক বিভাগে ইন্টার্নাল পরীক্ষা বা প্রেজেন্টেশন রয়েছে। সবমিলিয়ে অনেকেই ভোট দিতে পারেনি। ১৮ ও ২৩ তারিখ আবার নির্বাচন। অনেকে ভোট দিতে যেতে চায়। আমরা প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছি, যে দিনগুলিতে ভোট রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের যেন ওই দিনগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়। কোনও পরীক্ষা বা প্রেজ়েন্টেশন যেন না রাখা হয়।"

ভিডিয়োয় শুনুন শুভজিৎ সরকারের বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতিকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "পরীক্ষার বিষয়টি দেখেন কন্ট্রোলার। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।"

ভোটের সময় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও পরীক্ষা রাখেনি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র জানাচ্ছেন, "ছাত্রছাত্রীরা ভোট দিতে যাতে অসুবিধায় না পড়ে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন কোনও পরীক্ষা ফেলা হয়নি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই শুরু হবে। এছাড়া, কেউ ভোট দেওয়ার জন্য অনুপস্থিত থাকলে তা কনসিডার করা হবে।"

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরি জানান, নির্বাচনের আগের দু'দিন ও পরের দু'দিন কোনও পরীক্ষা রাখা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে। এছাড়া, যে কলেজগুলিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। ভোট চলাকালীন শুধু অনার্স পেপারের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলি পরে হবে।

Intro:কলকাতা, 11 এপ্রিল: গবেষণায় চুরি অর্থাৎ প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে নীতি তৈরি করতে কমিটি গঠন করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নীতি তৈরির জন‍্য গতকাল এই কমিটি গঠন করা হয়েছে ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে। এই কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ফ‍্যাকাল্টির ডিনরা ও লাইব্রেরিয়ান। এ ছাড়া, গতকাল ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে পিএইচডি রেগুলেশন নিয়ে কয়েকটি সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হয়। যার মধ্যে একটি ছিল আন্তঃবিভাগীয় পিএইচডির ক্ষেত্রে কয়েকটি শব্দের ভূল ব‍্যাখ‍্যা। সেই বিষয়েও বিশদে আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রেগুলেশন রি-ড্রাফ্ট করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে দীর্ঘ সাত বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ‍্যাকাল্টি কাউন্সিল হওয়ায় খানিকটা স্বস্তির পেলেন অধ‍্যাপক মহল।


Body:কিছুদিন আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকলেও রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ফ‍্যাকাল্টির ডিন‍রা, সমস্ত বিভাগীয় প্রধানরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। আর কাউন্সিলের শীর্ষে রয়েছেন উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সহ-উপাচার্য দীপক কর। গতকাল সেই ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বলেন, "প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে UGC-র একটা গাইডলাইন আছে। কিন্তু, প্লেজিয়ারিজ়ম নিয়ে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নিজস্ব পলিসি থাকা উচিত। এরকম কোন সুনির্দিষ্ট নীতি এতদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল না। যদিও, সফ্টওয়্যার ব‍্যবহার করা হত। লাইব্রেরিতে গবেষকরা বিভিন্ন পেপার বা থিসিস পাঠিয়ে দিলে তাঁরা একটা প্ল‍্যাগারিজম রিপোর্ট দিতেন। কিন্তু, তার কতটা আমরা মানব, কতটা মানব না প্লেজিয়ারিজ়মে তার সুনির্দিষ্ট একটা রূপরেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেটা কালকে আলোচনায় এসেছে এবং একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ফ‍্যাকাল্টির ডিনেরা এবং লাইব্রেরিয়ান একটা নীতি তৈরি করবেন, সেটা আমাদের আলোচনার জন‍্য আবার রাখা হবে।"

এ ছাড়া, ওইদিনের আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির নিয়ম নিয়ে সমস‍্যার কথাও উঠে আসে। পার্থিব বসু বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে সেটার কিছু আপডেটিংয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। অনেকগুলো জায়গায় বিশদ ক্ল‍্যারিফিকেশনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কারণ, কতগুলো নির্দিষ্ট অসুবিধে তৈরি হয়েছিল। সেটা আমরা আগেই বলেছিলাম উপাচার্যকে যে, এটার আরও সংশোধন দরকার বা পরিমার্জন করা দরকার। সেইটা কালকে আলোচনায় উঠে এলো এবং সমস্ত অধ্যাপকরা এটা নিয়ে মত দিয়েছেন। রেগুলেশনটাকে আরও কী করে উন্নততর করা যায় বা পরিষ্কার করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উপাচার্য বলেছেন একটি ছোট কমিটি করে দেওয়া হবে। যে কমিটি ওই পুরো রেগুলেশনটাকে রি-ড্রাফ্ট করবে।"

পিএইচডি রেগুলেশনের কোন জায়গা নিয়ে সমস‍্যা দেখা দিচ্ছে বা কোন অংশটা পরিমার্জন করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে? এ বিষয়ে পার্থিববাবু বলেন,"আসলে আমাদের আন্তর্বিভাগীয় কাজকর্ম অর্থাৎ একটা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপিকা আরেকটা বিভাগে পূর্ণ সময়ের সুপারভাইজার হিসাবে যদি গবেষণা করাতে চান কোন ছাত্রকে, সেক্ষেত্রে পিএইচডি নিয়মের কয়েকটি জায়গাতে শব্দচয়নের ত্রুটিটি থাকাতে সেটা করতে অসুবিধা তৈরি হচ্ছিল। কারণ, কতগুলো জায়গার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল। সেই গুলোকে সংশোধন করার প্রয়োজন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আশা করছি সংশোধন করা হবে এবং খুব সমৃদ্ধ আলোচনা হয়েছে গতকাল। এই আলোচনার মধ্যে দিয়ে নিশ্চয়ই একটা অভিমুখ উঠে এসেছে যে রেগুলেশনের চরিত্র কী হওয়া উচিত। সেই অনুযায়ী আমার বিশ্বাস একটা ত্রুটিহীন রেগুলেশন তৈরি হবে।"

দীর্ঘ সাত বছরের দাবি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। অবশেষে পূরণ হল সেই দাবি। যদিও, এই কাউন্সিলে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই, তবু কি বলা যেতে পারে যে এর মধ্য দিয়ে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কথা বলার একটা জায়গা তৈরি হল? পার্থিব বসু বলেন, " অবশ্যই, অবশ্যই। এটাই তো আমরা চাইছিলাম এতদিন ধরে যে, অধ্যাপক অধ্যাপিকা দের কথা বলার কোনো গণতান্ত্রিক পরিসর নেই এবং শিক্ষা সংক্রান্ত, পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার যদি কারো থেকে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। সুতরাং তাদের কথা বলার জায়গাটা ভীষণ দরকার ছিল। সেইটা যে হয়েছে অবশেষে তাতে আমরা খুশি। এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এখনো ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদের জায়গাগুলো খালি আছে। সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপকদের নির্বাচিত হয়ে আসার প্রয়োজন আছে। সেই দাবিটাও আমাদের থাকবে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সমস্ত যে গভর্নিং বডিগুলো রয়েছে বিধি মত যেমন, সিন্ডিকেট, সেনেট সেখানেও নির্বাচন হওয়ার প্রয়োজন আছে।।"


Conclusion:
Last Updated : Apr 16, 2019, 12:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.