ETV Bharat / briefs

জয়েন্টের প্রথম দশে একই স্কুলের তিন, প্রথম দুর্গাপুরের সোহম - Engineering

প্রথম হয়েছে দুর্গাপুরের হেমশিলা মডেল হাইস্কুলের সোহম মিস্ত্রি ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 20, 2019, 1:49 PM IST

Updated : Jun 20, 2019, 3:21 PM IST

কলকাতা, 20 জুন : রাজ্যে জয়েন্টে প্রথম হল দুর্গাপুরের হেমশিলা মডেল হাইস্কুলের সোহম মিস্ত্রি । দ্বিতীয় হয়েছে সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের তমোজিৎ ব্যানার্জি । প্রথম দশে কোনও মেয়ের নাম নেই । 24 জুন থেকে কাউন্সেলিং শুরু হবে । 20 জুলাইয়ের মধ্যে ভরতির পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে । পরের বছর 19 এপ্রিল জয়েন্ট পরীক্ষা হতে পারে ।

চলতি বছর 26 মে রাজ্যে জয়েন্ট পরীক্ষা হয় । 25 দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল । 80 হাজার 989 জন জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছিল । এর মধ্যে 80 হাজার 580 জন ক্রমতালিকায় স্থান পেয়েছে । প্রথম স্থানাধিকারী সোহমের স্কুল থেকে আরও দু'জন প্রথম দশে রয়েছে । তারা হল - কৌস্তভ সেন (তৃতীয়) ও শুভজ্যোতি ঘোষ (দশম) । চতুর্থ হয়েছে সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের অঙ্গীকর ঘোষাল, পঞ্চম হয়েছে সোনারপুরের সারদা বিদ্যাপীঠের অর্ক দাস । ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্নেহিন সেন (দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্ক), বিনীত রাজ (বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল) ও ঋষভ আগরওয়াল (পূর্বাঞ্চল বিদ্যামন্দির) । নবম হয়েছে সুধীর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটের অভিনব দত্ত ।

Joint Entrance
দ্বিতীয় স্থানাধিকারী তমোজিৎ ব্যানার্জি

জয়েন্টে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি লেখেন, "এ বছর পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্র-ছাত্রীদের আমার অনেক অভিনন্দন । তোমাদের অভিভাবকদেরও শুভেচ্ছা জানাই । তোমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক ।"

Joint Entrance
পঞ্চম স্থানাধিকারী অর্ক দাস

কলকাতা, 20 জুন : রাজ্যে জয়েন্টে প্রথম হল দুর্গাপুরের হেমশিলা মডেল হাইস্কুলের সোহম মিস্ত্রি । দ্বিতীয় হয়েছে সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের তমোজিৎ ব্যানার্জি । প্রথম দশে কোনও মেয়ের নাম নেই । 24 জুন থেকে কাউন্সেলিং শুরু হবে । 20 জুলাইয়ের মধ্যে ভরতির পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে । পরের বছর 19 এপ্রিল জয়েন্ট পরীক্ষা হতে পারে ।

চলতি বছর 26 মে রাজ্যে জয়েন্ট পরীক্ষা হয় । 25 দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হল । 80 হাজার 989 জন জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছিল । এর মধ্যে 80 হাজার 580 জন ক্রমতালিকায় স্থান পেয়েছে । প্রথম স্থানাধিকারী সোহমের স্কুল থেকে আরও দু'জন প্রথম দশে রয়েছে । তারা হল - কৌস্তভ সেন (তৃতীয়) ও শুভজ্যোতি ঘোষ (দশম) । চতুর্থ হয়েছে সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের অঙ্গীকর ঘোষাল, পঞ্চম হয়েছে সোনারপুরের সারদা বিদ্যাপীঠের অর্ক দাস । ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্নেহিন সেন (দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্ক), বিনীত রাজ (বার্নপুর রিভারসাইড স্কুল) ও ঋষভ আগরওয়াল (পূর্বাঞ্চল বিদ্যামন্দির) । নবম হয়েছে সুধীর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটের অভিনব দত্ত ।

Joint Entrance
দ্বিতীয় স্থানাধিকারী তমোজিৎ ব্যানার্জি

জয়েন্টে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি লেখেন, "এ বছর পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্র-ছাত্রীদের আমার অনেক অভিনন্দন । তোমাদের অভিভাবকদেরও শুভেচ্ছা জানাই । তোমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক ।"

Joint Entrance
পঞ্চম স্থানাধিকারী অর্ক দাস
Intro:কলকাতা, 18 জুন: বোর্ডারদের সঙ্গে নন-বোর্ডারদের ঝামেলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার হোস্টেল। অভিযোগ, গতকাল রাতে হোস্টেলেরই এক আবাসিক আবাসিক নন এমন দুজনকে নিয়ে নিজের ঘরে নেশা ও হই-হুল্লোড় করছিল। পাশের ঘরে থাকা আবাসিকের পরের দিন পরীক্ষা থাকায় তিনি গিয়ে হই-হুল্লোড় বন্ধ করতে বললে তাঁর উপর ওই দুই নন-বোর্ডারদের নিয়ে অভিযোগকারী আবাসিকের উপর মদ‍্যপ অবস্থায় চড়াও হয় অভিযুক্ত আবাসিক। ধস্তাধস্তি হয় দু-পক্ষের মধ্যে। ভাঙচুর করা হয় হস্টেলের ভিতরে। ঘটনার প্রতিবাদে ও সুস্থ স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ তৈরির দাবিতে আজ সকালে হস্টেলের বাইরে অবস্থানে বসেন আবাসিকরা। ঘটনাস্থলে রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ স্টুডেন্টস এসে ব‍্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর অবস্থান তুলে নেন তাঁরা।




Body:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজি কাম স্কলার হস্টেলের আবাসিক স্কলার শুভঙ্কর রায় গতকাল রাতের ঘটনাটি নিয়ে বলেন, "গতকাল রাতে আমি পিএইচডির কাজ করছিলাম। সেখান থেকে আমি উঠে এসে দেখলাম তখন ধস্তাধস্তি চলছে অলরেডি। তার মধ্যে দুজন বাইরের ছেলে অম্লান ও আরেকটা চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস। আমি দেখি একজন কৃষ্ণদাকে মারছে। আমি তখন ছাড়াতে যাই। আমাদের সুজয়দা তখন মদ্যপ অবস্থায়, গাঁজা, মদ ইত্যাদি সব সময় খেয়ে থাকে, হোস্টেলের পরিবেশটা একদম খুব খারাপ অবস্থায় রেখেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুজয়দাকে হাতজোড় করে বলেছিলাম আমাদের পড়াশোনার একটু ব্যবস্থা দাও, একটু পড়াশোনার পরিবেশ দাও। সে সব কোন তোয়াক্কা করে না। প্রত্যেকদিন মদ, গাঁজা সবসময়ই চলতে থাকে। তারপর সেই অবস্থায় আমি ওদেরকে একটু ছাড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু, ছাড়ার কোন ব্যাপার নেই। আরও ভীষণভাবে চলতে থাকে। তারপরে আমরা সবাই মিলে জড়ো হই আস্তে আস্তে, বিষয়টা মিটমাট করি। বিষয়টা সমাধানের জন্য হোস্টেল সুপারকে ফোন করি। হোস্টেল সুপার আসেন। তিনি ডিনকে ফোন করেন, ডিন সেই মুহূর্তে আসেননি, তবে পরে এসেছিলেন। এসব ঘটনা আগেও অনেকবার ঘটেছে। কিন্তু, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি যে, আমরা পড়াশোনা একটা সুস্থ পরিবেশ চাই। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য, যেন হোস্টেলটাকে একটা সুস্থ পড়াশোনার পরিবেশ করে তোলা হয়।"

গতকাল রাতে ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল? শুভঙ্কর রায় বলেন, "প্রথম দিকের ঘটনাটা কিছুই না। কৃষ্ণদার ঘরে অন্য একজন স্কলার তাঁর আজ এমফিলের ভাইবা আছে, সেটা নিয়ে আলোচনা করছিল। পাশের রুমে ওরা একটু মদ টদ এটা ওটা খাচ্ছিল। প্রচন্ড হই হুল্লোড়, চেঁচামেচি করছিল, তাই এর আগে বলেছিল একটু আস্তে। ও তখন এসে বলে তোর কী। বলে জানলা টালনার কাঁচ ভেঙে দেয়, নোটিশ বোর্ডের কাঁচ ভেঙ্গে দেয়। এই নিয়ে ধস্তাধস্তি, এই নিয়ে ওদের গায়ে হাত দেয়। বাইরে এসে বইয়ের র‍্যাক লাথি মেরে ফেলে দেয়‌‌। তারপরে সবাই বেরিয়ে আসে, মারপিট শুরু হয়। এইসব ঘটনা নিত্যনৈমিত্ত চলে। হোস্টেলের পরিবেশটা এইরকম দু-একজনের জন্য পড়াশোনার অনুপযুক্ত হয়ে আছে। কাল দু'জন নন-বোর্ডার ছিল। এভাবে মাঝে মাঝে 10-12 জন আসতেই থাকে।"

ঘটনার প্রতিবাদে, সুরক্ষা ও সুস্থ স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশের দাবিতে আজ সকালে হস্টেলের আবাসিকরা অবস্থানে বসেন। শুভঙ্কর বলেন, " এর প্রতিবাদে একটা অবস্থান হয়েছিল। স‍্যাররা সবাই এসেছিলেন। তাঁরা ব‍্যাপারটা দেখছেন বলেন। দেখার পর কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখা যাক। উনারা আশার আলো দেখিয়েছেন। আমরা মূলত এই মদ, গাঁজা থেকে দূরে থাকতে চাই। হোস্টেলে একটা পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে চাই।" ঘটনাস্থলে গেছিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ স্টুডেন্টস।


Conclusion:
Last Updated : Jun 20, 2019, 3:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.