কলকাতা, 2 জুলাই : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের আবেদনের ভিত্তিতে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল রি-ওপেন করার ছাড়পত্র আগেই দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর । সেই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে গতকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলেজগুলিতে স্নাতক কোর্সে ভরতির জন্য সময়সীমা বাড়াল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । 10 জুলাই পর্যন্ত কলেজগুলিকে ভরতি নেওয়ার অনুমতি দিল তারা । ভরতি প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে আবেদন গ্রহণে পোর্টাল রি-ওপেনেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনও কলেজে যদি কোনও বিষয়ে বা বিভাগে আসন ফাঁকা থাকে তাহলে সেই কলেজ চাইলে আবার ভরতির আবেদন গ্রহণের জন্য পোর্টাল খুলতে পারে । শুধুমাত্র স্নাতক কোর্সগুলির প্রথম সিমেস্টারে ভরতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ভরতি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে 10 জুলাইয়ের মধ্যে । যদিও, বিষয় ও কোর্স পরিবর্তনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ 13 জুলাই অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে । 2019-2020 শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়াদের ভরতির জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 14 মে যে শিডিউল দিয়েছিল তা অনুসারে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভরতির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে । মেধাতালিকা 10 জুনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে । 12 জুন থেকে ভরতির প্রক্রিয়া শুরু হবে । সেক্ষেত্রে 6 জুলাই ভরতি নেওয়ার শেষ তারিখ । অর্থাৎ ভরতি প্রক্রিয়া শেষ করার নতুন তারিখ অনুযায়ী পড়ুয়া ভরতির জন্য কলেজগুলিকে আরও চারদিন সময় দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীন অধিকাংশ কলেজেই পাঁচ থেকে ছ'টি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ফাঁকা রয়ে গেছে বহু আসন । তার মধ্যে বেশিরভাগই সংরক্ষিত । যারা ভরতি হচ্ছে তাদের অনেকে শেষ পর্যন্ত আসবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে । পরিস্থিতি জানিয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে চিঠি পাঠান । শুক্রবার সেই চিঠির উত্তরে উচ্চশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছিল প্রয়োজন হলে আবার ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করতে তাদের আপত্তি নেই । আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, "অনেক কলেজেরই অনেক সমস্যা হয়েছে । কারও টেকনিকাল সমস্যা, কেউ ভরতি নিতে পারেনি । কার কী সমস্যা সেগুলো তুলে ধরেছিলাম । সেই কারণে 2019-2020 শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ভরতির জন্য ভরতির পোর্টাল রি-ওপেন করার অনুমতি চেয়েছিলাম ।" শুক্রবার সেই চিঠির উত্তর দেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর । সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, দপ্তরের কোনও আপত্তি নেই এই প্রস্তাবে । প্রয়োজন হলে, 2019-2020 শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে প্রথম বর্ষের ফাঁকা আসন পূরণ করার জন্য আবার অ্যাডমিশন পোর্টাল চালু করা যেতে পারে । উচ্চশিক্ষার তরফে একই ছাড়পত্র পেয়েছিল রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ।